ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিভিন্ন পেশার ১৬ জন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন । এর মধ্যে রয়েছেন ছাত্র, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শ্রমিকসহ নানা পেশার মানুষ।

সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বানিয়াচং উপজেলায়। এ উপজেলায় নিহতের সংখ্যা ৯ জন। এছাড়া হবিগঞ্জ সদরে ২ জন, নবীগঞ্জে ১ জন, লাখাইয়ে ৩ জন এবং মাধবপুর উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। এসব ঘটনায় কয়েকশ ছাত্রজনতা আহত হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বৈরশাসকের পতনের দিন ৫ আগস্ট দুপুরে বানিয়াচং উপজেলা সদরে শিক্ষার্থীদের মিছিলে গুলি ছুড়ে পুলিশ। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ৮ জন। এ ছাড়া সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মারা যান ১ জন সাংবাদিক।

নিহতরা হলেন- উপজেলা সদরের ৯ম শ্রেণির ছাত্র আনাস, শ্রমিক মোজাক্কির মিয়া, নির্মাণ শ্রমিক নয়ন মিয়া, নির্মাণ শ্রমিক তোফাজ্জল মিয়া, মাদ্রাসাছাত্র আশরাফুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান, আকিনুর মিয়া, হাসান মিয়া এবং সাংবাদিক সোহেল আখঞ্জি।

হবিগঞ্জ শহরে ২ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতাদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন শিক্ষার্থীদের মিছিলে অংশ নেওয়া শ্রমিক মোস্তাক মিয়া। ফের ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতারা ছুড়া গুলিতে মারা যান রিপন শীল নামে এক সেলুন কর্মচারী।

এছাড়া 20 জুলাই ঢাকার সাভারে আমিন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ভাড়া বাসায় পুলিশের গুলিতে মারা যান মাধবপুর উপজেলার শিমুলঘর গ্রামের শফিকুল ইসলাম । তিনি সেখানে ফেরি করে শরবত বিক্রি করতেন।

নবীগঞ্জ পৌর এলাকার হরিপুর গ্রামের আজমত আলী ৫ আগষ্ট ঢাকার মুগদা এলাকায় এবং একই দিন তেঘরিয়া গ্রামের মামুন আহমেদ রাফসান কুমিল্লা শহরে ও লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের বাসিন্দা মাদ্রাসাছাত্র নাহিদ বিন আব্দুল আজিজ ঢাকার আদাবর থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
লাখাই উপজেলার কামালপুর গ্রামের মাদ্রাসাছাত্র মোনায়েল আহমেদ ইমরান ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া এলাকায় পুলিশের গুলিতে মারা যান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:২৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
৩৩ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন

আপডেট সময় ০৯:২৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিভিন্ন পেশার ১৬ জন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন । এর মধ্যে রয়েছেন ছাত্র, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শ্রমিকসহ নানা পেশার মানুষ।

সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বানিয়াচং উপজেলায়। এ উপজেলায় নিহতের সংখ্যা ৯ জন। এছাড়া হবিগঞ্জ সদরে ২ জন, নবীগঞ্জে ১ জন, লাখাইয়ে ৩ জন এবং মাধবপুর উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। এসব ঘটনায় কয়েকশ ছাত্রজনতা আহত হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বৈরশাসকের পতনের দিন ৫ আগস্ট দুপুরে বানিয়াচং উপজেলা সদরে শিক্ষার্থীদের মিছিলে গুলি ছুড়ে পুলিশ। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ৮ জন। এ ছাড়া সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মারা যান ১ জন সাংবাদিক।

নিহতরা হলেন- উপজেলা সদরের ৯ম শ্রেণির ছাত্র আনাস, শ্রমিক মোজাক্কির মিয়া, নির্মাণ শ্রমিক নয়ন মিয়া, নির্মাণ শ্রমিক তোফাজ্জল মিয়া, মাদ্রাসাছাত্র আশরাফুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান, আকিনুর মিয়া, হাসান মিয়া এবং সাংবাদিক সোহেল আখঞ্জি।

হবিগঞ্জ শহরে ২ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতাদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন শিক্ষার্থীদের মিছিলে অংশ নেওয়া শ্রমিক মোস্তাক মিয়া। ফের ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতারা ছুড়া গুলিতে মারা যান রিপন শীল নামে এক সেলুন কর্মচারী।

এছাড়া 20 জুলাই ঢাকার সাভারে আমিন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ভাড়া বাসায় পুলিশের গুলিতে মারা যান মাধবপুর উপজেলার শিমুলঘর গ্রামের শফিকুল ইসলাম । তিনি সেখানে ফেরি করে শরবত বিক্রি করতেন।

নবীগঞ্জ পৌর এলাকার হরিপুর গ্রামের আজমত আলী ৫ আগষ্ট ঢাকার মুগদা এলাকায় এবং একই দিন তেঘরিয়া গ্রামের মামুন আহমেদ রাফসান কুমিল্লা শহরে ও লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের বাসিন্দা মাদ্রাসাছাত্র নাহিদ বিন আব্দুল আজিজ ঢাকার আদাবর থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
লাখাই উপজেলার কামালপুর গ্রামের মাদ্রাসাছাত্র মোনায়েল আহমেদ ইমরান ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া এলাকায় পুলিশের গুলিতে মারা যান।