ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বৈষম্যহীন সুখী সমৃদ্ধিশালী দারিদ্রমুক্ত বাংলদেশ গঠনে যাকাতের বিকল্প নেই -ধর্ম উপদেষ্টা Logo ফারুক ও সাজিদের নেতৃত্বে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবে কমিটি গঠন Logo হবিগঞ্জে হাত-পা বেঁধে সড়কে ডাকাতি, জনতার হাতে আটক ৩ Logo লন্ডন ক্লিনিক থেকে ১৭ দিন পর বাসায় গেলেন বেগম খালেদা জিয়া Logo সুইজারল্যান্ড থেকে ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা Logo এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় চুক্তি Logo হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান শরফ উদ্দিন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত Logo হবিগঞ্জ প্রজন্ম উশু সান্দা ফাইট ক্লাব শিক্ষার্থীদের ১৭তম বেল্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo Kanouj Beanerjee AttachmentsJan 23, 2025, 11:55 PM (20 hours ago) to me, newsalldbp, newsmorningpost24 আজমিরীগঞ্জে কয়েকদিন ধরে জেঁকে বসেছে শীত ও কূয়াসা, দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ Logo শায়েস্তাগঞ্জে লেপ-তোশকের দোকানে আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

২০ লাখ মানুষ পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান জানিয়েছেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চলমান বন্যায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।

শনিবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে ১৫ জেলা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলাগুলো হলো- সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কক্সবাজার।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এসব জেলায় এখন পর্যন্ত নগদ তিন কোটি ১০ লাখ টাকা, ৮ হাজার ৭০০ টন ত্রাণের চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো খাবারের ব্যাগ ও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই বন্যা বিস্তৃতি লাভ করছে। ১৫ জেলার সব মানুষই পানিবন্দি নয়। কোনো কোনো জেলা আংশিকভাবে বন্যা কবলিত। এখন পর্যন্ত আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ২২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
পবিত্র আশুরা ১৭ জুলাই

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি বন্যাদুর্গত এলাকায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যা আক্রান্ত অঞ্চল নিয়ে সরকার কাজ করছে। বন্যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃতি লাভ করলে সেই জায়গাগুলোকেও আমরা অ্যাড্রেস করব। বন্যার কারণে দক্ষিণ দিকেও প্লাবন হতে পারে। আগামী মাস (আগস্ট) কিংবা তার পরের মাসেও (সেপ্টেম্বর) এ রকম আরেকটা বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।

তিনি বলেন, সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। তারপরও বিভিন্ন সময় পত্রিকায় দেখি যে কোনো কোনো জায়গায় মানুষজন খাদ্য পায়নি। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলব।

স্থানীয় পর্যায়ে সংসদ সদস্য, ডিসি, ইউএনও যখন যেটা চাচ্ছে আমরা দিচ্ছি। ‌তারপরও গ্যাপ থাকার কোনো কারণ নেই- বলেন প্রতিমন্ত্রী।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
৬৩ বার পড়া হয়েছে

২০ লাখ মানুষ পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত

আপডেট সময় ০৯:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান জানিয়েছেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চলমান বন্যায় ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।

শনিবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে ১৫ জেলা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলাগুলো হলো- সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কক্সবাজার।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এসব জেলায় এখন পর্যন্ত নগদ তিন কোটি ১০ লাখ টাকা, ৮ হাজার ৭০০ টন ত্রাণের চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো খাবারের ব্যাগ ও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই বন্যা বিস্তৃতি লাভ করছে। ১৫ জেলার সব মানুষই পানিবন্দি নয়। কোনো কোনো জেলা আংশিকভাবে বন্যা কবলিত। এখন পর্যন্ত আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ২২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
পবিত্র আশুরা ১৭ জুলাই

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি বন্যাদুর্গত এলাকায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যা আক্রান্ত অঞ্চল নিয়ে সরকার কাজ করছে। বন্যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃতি লাভ করলে সেই জায়গাগুলোকেও আমরা অ্যাড্রেস করব। বন্যার কারণে দক্ষিণ দিকেও প্লাবন হতে পারে। আগামী মাস (আগস্ট) কিংবা তার পরের মাসেও (সেপ্টেম্বর) এ রকম আরেকটা বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।

তিনি বলেন, সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। তারপরও বিভিন্ন সময় পত্রিকায় দেখি যে কোনো কোনো জায়গায় মানুষজন খাদ্য পায়নি। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলব।

স্থানীয় পর্যায়ে সংসদ সদস্য, ডিসি, ইউএনও যখন যেটা চাচ্ছে আমরা দিচ্ছি। ‌তারপরও গ্যাপ থাকার কোনো কারণ নেই- বলেন প্রতিমন্ত্রী।