News
- ৯ মে, ২০২৪ / ১৮ দেখেছেন
সলিল বরণ দাশ নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি,উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণের দৃষ্টি আর্কষন করতে শহীদ পরিবারের সন্তান না হয়েও শহীদ পরিবারের সন্তান ব্যবহার করে প্রচারনা করার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবী করেছেন অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায়।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান গতি গোবিন্দ দাশ তার নির্বাচনী লিফলেট পোস্টারে নিজেকে শহীদ পরিবারের সন্তান হিসাবে দাবী করে পোস্টার ছেপেছেন কিন্তু প্রকৃত অর্থে ভাইস চেয়ারম্যানের দাদা দেবেন্দ্র দাশ মুক্তিযুদ্ধের অনেক আগে মারা যান এবং পিতা গৌরাঙ্গ দাশ বয়স্ক আবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা যান।উনি পিতার একমাত্র সন্তান হওয়ায় উনার কোন ভাই বোন থাকায় উনার পরিবারের কেউই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়ার প্রশ্ন উঠে না বলে অভিযোগ জানান এলাকার প্রবিন নেতৃত্ব বৃন্দ।
এব্যাপারে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের বিশ্বজিৎ দাশ জানিয়েছেন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী গতি গোবিন্দ দাশ শহীদ পরিবারের সন্তান নন। অথচ জনগণের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে এবং দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তার পোস্টার ও লিফলেটে শহীদ পরিবারের সন্তান ব্যবহার করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আরও বলেন, তিনি মূলত মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে নির্বাচনে আলাদা সুবিধা নিতে চাচ্ছেন। আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয় ছাড়াও সচিব, লমুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রনালয় ও জেলা-নির্বাচন কমিশনার বরাবর মিথ্যা শহীদ পরিবারের সন্তান পরিচয় দানকারী গতি গোবিন্দ দাশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এডঃ গতি গোবিন্দ দাশের জানান, প্রতিহিংসাবশতঃ আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৯৭১ সনের আগষ্ট মাসে আমাদের গ্রামে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা হামলা করতে পারে এ খবরে আমরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ভারত সীমান্তে চলে যাই। ভারত সীমান্তের কাঠালবাড়ি এলাকায় যাবার পর আমাদের জন্য খাবারের জিনিস আনার জন্য আমার বাবা বের হয়ে যান। আমরা এ সময় গুলাগুলির শব্দ পেয়েছি। পরে আমার বাবা আর ফিরে আসেননি। অনেক খোজাখুজি করেও পাকবাহিনীর হাতে নিহত অনেক লাশের ভীরে আমার বাবার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমার ভাই এবং দাদাও মারা যান। আমার কাকাও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাই আমি শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান দাবী করতে পারি।
এব্যাপারে নবীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ জানান, শহীদ পরিবারের সন্তান ব্যবহার করে এক প্রার্থী প্রাচার-প্রচারণা চালিয়েছেন, এমন কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত আমার কাছে আসেনি।জেলা থেকে এব্যাপারে কোন নির্দেশনা আসলে এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।