ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে উচ্ছেদ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা, উদ্বোধন হলো পুলিশ বক্স Logo বিচার ও সাজা ছাড়াই ৩০ ধরে কারাগারে কনু মিয়া Logo মৌলভীবাজারের বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষের সময় দেখা মিললো গ্ৰেনেড Logo নবীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু Logo নবীগঞ্জে সংঘর্ষের পাঁচ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিমনের মৃত্যু Logo শায়েস্তাগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দুইজনের মৃত্যু Logo নবীগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা Logo নবীগঞ্জে নিহতের ঘটনায় সাংবাদিক সহ ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা। Logo শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে কিশোরী ধর্ষণ, ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo হবিগঞ্জে জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৬৫.১৪ শতাংশ, ১০ বছরে চরম বিপর্যয়

কেউ সচেতন ভাবে কাজ করতে আসে না, তারা আসে ফায়দা লুটতে: প্রয়াত অভিনেতা প্রবীর মিত্র

বিনোদন প্রতিবেদক

চার দশক রুপালী পর্দায় অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র গতকাল রাতে মারা গেছেন। জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় এই শক্তিমান অভিনেতাকে হারালো দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার পর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে সংস্কৃতির ভুবনে আসেন প্রবীর মিত্র। ‘লালকুটি’ থিয়েটারে কাজ করেছেন অনেক দিন। এরপর পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। প্রবীর মিত্রের প্রথম সিনেমার নাম ‘জলছবি’। এরপর অসংখ্য সিনেমায় বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি।

মৃত্যুর আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রবীর মিত্র বলেছিলেন, এখনকার বেশিরভাগ শিল্পীদেরই মঞ্চের সঙ্গে উল্লেখ করার মতো যোগাযোগ নেই। এ জন্যই শিল্পী নেই। কারণ মঞ্চটা হচ্ছে প্রধান এবং প্রথম। এখান থেকে শিল্পী আসবে। এখানে অভিনয়ের হাতেখড়ি হয়। মাসের মাস রিহার্সাল দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হয়। শিল্পী তৈরি হবে মঞ্চ থেকে। সেটাকে উপেক্ষা করলে হবে না।

অনেকে প্রযোজনায় নাম লেখান অন্য উদ্দেশ্যে উল্লেখ করে বলেছিলেন, গ্লামারের জায়গা তাই এখানে অনেকে আসে আনন্দ ফুর্তি করতে। এ রকম কিছু লোক আছে। এদের কে এভোয়েড করা উচিত।

এদিন বরেণ্য এই অভিনেতার কথায় উঠে আসে চলচ্চিত্রের সঙ্কটের কথা৷ কাজে কেউই সচেতন না জানিয়ে বলেন, কেউ সচেতন ভাবে কাজ করতে আসে না। তারা আসে ফায়দা লুটতে। ফায়দা লুটে চলে যায়। এটা ঠিক না। খুব খারাপ। আগে অনেক সিনেমা হয়েছে এবং সবাই সিনেমা হলে যেত। তাদের মুখে তখন ছিল সিনেমা হলে যাওয়া। সেটা থেকে যদি বিমুখ হয়ে যায় তাহলে আমরা হতভাগ্য। যে দর্শকদের আমরা হারাচ্ছি। দর্শকরা সিনেমা দেখতে চায় না, হলে আসতে চায় না। আগে দর্শক হুমরি খেয়ে পড়ত সিনেমা দেখার জন্য। মাসের পর মাস হাউজফুল। সবাই সিনেমা দেখার জন্য অস্তির। সবাইকে হলমুখী করতে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। প্রতিটি মানুষের কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। তাহলে ভালো কিছু তৈরি হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
৮২ বার পড়া হয়েছে

কেউ সচেতন ভাবে কাজ করতে আসে না, তারা আসে ফায়দা লুটতে: প্রয়াত অভিনেতা প্রবীর মিত্র

আপডেট সময় ০৮:৩০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

চার দশক রুপালী পর্দায় অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র গতকাল রাতে মারা গেছেন। জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় এই শক্তিমান অভিনেতাকে হারালো দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার পর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে সংস্কৃতির ভুবনে আসেন প্রবীর মিত্র। ‘লালকুটি’ থিয়েটারে কাজ করেছেন অনেক দিন। এরপর পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। প্রবীর মিত্রের প্রথম সিনেমার নাম ‘জলছবি’। এরপর অসংখ্য সিনেমায় বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি।

মৃত্যুর আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রবীর মিত্র বলেছিলেন, এখনকার বেশিরভাগ শিল্পীদেরই মঞ্চের সঙ্গে উল্লেখ করার মতো যোগাযোগ নেই। এ জন্যই শিল্পী নেই। কারণ মঞ্চটা হচ্ছে প্রধান এবং প্রথম। এখান থেকে শিল্পী আসবে। এখানে অভিনয়ের হাতেখড়ি হয়। মাসের মাস রিহার্সাল দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হয়। শিল্পী তৈরি হবে মঞ্চ থেকে। সেটাকে উপেক্ষা করলে হবে না।

অনেকে প্রযোজনায় নাম লেখান অন্য উদ্দেশ্যে উল্লেখ করে বলেছিলেন, গ্লামারের জায়গা তাই এখানে অনেকে আসে আনন্দ ফুর্তি করতে। এ রকম কিছু লোক আছে। এদের কে এভোয়েড করা উচিত।

এদিন বরেণ্য এই অভিনেতার কথায় উঠে আসে চলচ্চিত্রের সঙ্কটের কথা৷ কাজে কেউই সচেতন না জানিয়ে বলেন, কেউ সচেতন ভাবে কাজ করতে আসে না। তারা আসে ফায়দা লুটতে। ফায়দা লুটে চলে যায়। এটা ঠিক না। খুব খারাপ। আগে অনেক সিনেমা হয়েছে এবং সবাই সিনেমা হলে যেত। তাদের মুখে তখন ছিল সিনেমা হলে যাওয়া। সেটা থেকে যদি বিমুখ হয়ে যায় তাহলে আমরা হতভাগ্য। যে দর্শকদের আমরা হারাচ্ছি। দর্শকরা সিনেমা দেখতে চায় না, হলে আসতে চায় না। আগে দর্শক হুমরি খেয়ে পড়ত সিনেমা দেখার জন্য। মাসের পর মাস হাউজফুল। সবাই সিনেমা দেখার জন্য অস্তির। সবাইকে হলমুখী করতে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। প্রতিটি মানুষের কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। তাহলে ভালো কিছু তৈরি হবে।