ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জে পাখি শিকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা বন্য বালিহাস পাখি অবমুক্তি,পাখি শিকারীকে অর্থদন্ড Logo আবারও প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিচ্ছে চুনারুঘাটের শাপলা বিল Logo বাহুবল শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০ Logo হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৯ জনকে কারাদন্ড Logo হবিগঞ্জ পৌরসভার কোটি টাকার অব্যবহৃত যানে গজিয়েছে গাছ Logo দুটি স্পেশাল ট্রেন চালুসহ ৯ দফা দাবীতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে মানববন্ধন পালন Logo হবিগঞ্জ থেকে প্রতিদিন মিলবে আরও ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস Logo নবীগঞ্জে পিতার দায়ের কোপে মেয়ে খুন,ঘাতক পিতা আটক। Logo হবিগঞ্জে বাস উল্টে যুবকের মৃত্যু, আহত ৫০ Logo তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জে ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠিত

কেউ সচেতন ভাবে কাজ করতে আসে না, তারা আসে ফায়দা লুটতে: প্রয়াত অভিনেতা প্রবীর মিত্র

বিনোদন প্রতিবেদক

চার দশক রুপালী পর্দায় অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র গতকাল রাতে মারা গেছেন। জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় এই শক্তিমান অভিনেতাকে হারালো দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার পর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে সংস্কৃতির ভুবনে আসেন প্রবীর মিত্র। ‘লালকুটি’ থিয়েটারে কাজ করেছেন অনেক দিন। এরপর পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। প্রবীর মিত্রের প্রথম সিনেমার নাম ‘জলছবি’। এরপর অসংখ্য সিনেমায় বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি।

মৃত্যুর আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রবীর মিত্র বলেছিলেন, এখনকার বেশিরভাগ শিল্পীদেরই মঞ্চের সঙ্গে উল্লেখ করার মতো যোগাযোগ নেই। এ জন্যই শিল্পী নেই। কারণ মঞ্চটা হচ্ছে প্রধান এবং প্রথম। এখান থেকে শিল্পী আসবে। এখানে অভিনয়ের হাতেখড়ি হয়। মাসের মাস রিহার্সাল দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হয়। শিল্পী তৈরি হবে মঞ্চ থেকে। সেটাকে উপেক্ষা করলে হবে না।

অনেকে প্রযোজনায় নাম লেখান অন্য উদ্দেশ্যে উল্লেখ করে বলেছিলেন, গ্লামারের জায়গা তাই এখানে অনেকে আসে আনন্দ ফুর্তি করতে। এ রকম কিছু লোক আছে। এদের কে এভোয়েড করা উচিত।

এদিন বরেণ্য এই অভিনেতার কথায় উঠে আসে চলচ্চিত্রের সঙ্কটের কথা৷ কাজে কেউই সচেতন না জানিয়ে বলেন, কেউ সচেতন ভাবে কাজ করতে আসে না। তারা আসে ফায়দা লুটতে। ফায়দা লুটে চলে যায়। এটা ঠিক না। খুব খারাপ। আগে অনেক সিনেমা হয়েছে এবং সবাই সিনেমা হলে যেত। তাদের মুখে তখন ছিল সিনেমা হলে যাওয়া। সেটা থেকে যদি বিমুখ হয়ে যায় তাহলে আমরা হতভাগ্য। যে দর্শকদের আমরা হারাচ্ছি। দর্শকরা সিনেমা দেখতে চায় না, হলে আসতে চায় না। আগে দর্শক হুমরি খেয়ে পড়ত সিনেমা দেখার জন্য। মাসের পর মাস হাউজফুল। সবাই সিনেমা দেখার জন্য অস্তির। সবাইকে হলমুখী করতে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। প্রতিটি মানুষের কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। তাহলে ভালো কিছু তৈরি হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
১২৮ বার পড়া হয়েছে

কেউ সচেতন ভাবে কাজ করতে আসে না, তারা আসে ফায়দা লুটতে: প্রয়াত অভিনেতা প্রবীর মিত্র

আপডেট সময় ০৮:৩০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

চার দশক রুপালী পর্দায় অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র গতকাল রাতে মারা গেছেন। জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় এই শক্তিমান অভিনেতাকে হারালো দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার পর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে সংস্কৃতির ভুবনে আসেন প্রবীর মিত্র। ‘লালকুটি’ থিয়েটারে কাজ করেছেন অনেক দিন। এরপর পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। প্রবীর মিত্রের প্রথম সিনেমার নাম ‘জলছবি’। এরপর অসংখ্য সিনেমায় বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি।

মৃত্যুর আগে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রবীর মিত্র বলেছিলেন, এখনকার বেশিরভাগ শিল্পীদেরই মঞ্চের সঙ্গে উল্লেখ করার মতো যোগাযোগ নেই। এ জন্যই শিল্পী নেই। কারণ মঞ্চটা হচ্ছে প্রধান এবং প্রথম। এখান থেকে শিল্পী আসবে। এখানে অভিনয়ের হাতেখড়ি হয়। মাসের মাস রিহার্সাল দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হয়। শিল্পী তৈরি হবে মঞ্চ থেকে। সেটাকে উপেক্ষা করলে হবে না।

অনেকে প্রযোজনায় নাম লেখান অন্য উদ্দেশ্যে উল্লেখ করে বলেছিলেন, গ্লামারের জায়গা তাই এখানে অনেকে আসে আনন্দ ফুর্তি করতে। এ রকম কিছু লোক আছে। এদের কে এভোয়েড করা উচিত।

এদিন বরেণ্য এই অভিনেতার কথায় উঠে আসে চলচ্চিত্রের সঙ্কটের কথা৷ কাজে কেউই সচেতন না জানিয়ে বলেন, কেউ সচেতন ভাবে কাজ করতে আসে না। তারা আসে ফায়দা লুটতে। ফায়দা লুটে চলে যায়। এটা ঠিক না। খুব খারাপ। আগে অনেক সিনেমা হয়েছে এবং সবাই সিনেমা হলে যেত। তাদের মুখে তখন ছিল সিনেমা হলে যাওয়া। সেটা থেকে যদি বিমুখ হয়ে যায় তাহলে আমরা হতভাগ্য। যে দর্শকদের আমরা হারাচ্ছি। দর্শকরা সিনেমা দেখতে চায় না, হলে আসতে চায় না। আগে দর্শক হুমরি খেয়ে পড়ত সিনেমা দেখার জন্য। মাসের পর মাস হাউজফুল। সবাই সিনেমা দেখার জন্য অস্তির। সবাইকে হলমুখী করতে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। প্রতিটি মানুষের কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। তাহলে ভালো কিছু তৈরি হবে।