ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে উচ্ছেদ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা, উদ্বোধন হলো পুলিশ বক্স Logo বিচার ও সাজা ছাড়াই ৩০ ধরে কারাগারে কনু মিয়া Logo মৌলভীবাজারের বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষের সময় দেখা মিললো গ্ৰেনেড Logo নবীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু Logo নবীগঞ্জে সংঘর্ষের পাঁচ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিমনের মৃত্যু Logo শায়েস্তাগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দুইজনের মৃত্যু Logo নবীগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা Logo নবীগঞ্জে নিহতের ঘটনায় সাংবাদিক সহ ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা। Logo শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে কিশোরী ধর্ষণ, ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo হবিগঞ্জে জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৬৫.১৪ শতাংশ, ১০ বছরে চরম বিপর্যয়

জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ : প্রধানমন্ত্রী

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

আওয়ামী লীগে থাকলে তারকা, আর ছেড়ে গেলে নিভে যায়। যারা দলের চেয়ে নিজেকে বড় মনে করেছেন এবং দল ছেড়ে গেছেন তারা ভুল করেছেন। আওয়ামী লীগে থাকা অবস্থায় তারকা থাকলেও পরবর্তীতে সে তারা আর জ্বলেনি, নিভে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৩ জুন) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হককে স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাঙালির সব অর্জনেই আওয়ামী লীগ জড়িত। জন্ম থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের কারণেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সবসময় মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিল সংগঠনটি। কিন্তু বারবার এই দলকে আঘাত করা হয়েছে নিশ্চিহ্নের চেষ্টা হয়েছে কিন্তু যতবার এই আঘাত এসেছে দলটি ততবারই জেগে উঠেছে।
Unibots.com

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা সন্ত্রাসবাদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, দুর্নীতি করেছে। তারা জনগণের শক্তি ভুলে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে।
অঝোরে কাঁদলেন মির্জা ফখরুল

তিনি আরও বলেন, আজ বাঙালির যতটুকু অর্জন, এই অর্জনগুলো আওয়ামী লীগের দ্বারাই। কিন্তু বারবার এ দলের উপর আঘাত এসেছে। বারবার এ দলকে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছে। বারবার এ দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ৫৮ সালে সেই আইয়ুব খানের মার্শাল ল থেকে শুরু করে বারবার আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নতি করার সংগঠন। কাজেই বার বার আঘাত এসেও এই সংগঠনের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। বেশি দিন আগের কথা নয়, ২০০৭ সালেও চেষ্টা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে নতুন কিংস পার্টি গড়ে তোলার। সেটাও সফল করতে পারেনি। কারণ, আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ, সাধারণ জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, মুজিব আদর্শের সৈনিক। এ সৈনিকরা কখনো পরাভব মানে না। মাথা নথ করে না। হয়ত কখনো কখনো নেতারা ভুল করেছেন। কেউ মনে করেছেন আওয়ামী লীগে থাকলে তারাই হয়ত বড় নেতা। দলের থেকে নিজেকে বড় মনে করেন, কেউ দল ছেড়ে গিয়ে অন্য দল করেছেন। তারা ভুল করেছেন।

তিনি বলেন, আকাশে মিটি মিটি তারা জ্বলে, তারা আলোকিত হয় কার দ্বারা? সূর্যের আলোতে আলোকিত হয়। যেসব নেতারা আওয়ামী লীগ ছেড়েছিলেন তারা ভুলে গিয়েছিলেন দলের কথা। তারা আলোকিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন বলেই। চলে যাওয়ার পর ওই তাঁরা আর জ্বলেনি। অনেকেই নিভে গেছেন। কেউ ভুল বুঝে ফিরে এসেছে আমরা নিয়েছি। আবার কেউ কেউ এখনো আওয়ামী লীগের সরকারের পতন কল্পনা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, যা আমরা প্রমাণ করেছি।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর বার বার ক্ষমতা বদল হয়েছে। হয় অস্ত্রের মাধ্যমে বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শাসকরা ক্ষমতায় এসেছে। সেই সময় জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি তারা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
১০৮ বার পড়া হয়েছে

জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

আওয়ামী লীগে থাকলে তারকা, আর ছেড়ে গেলে নিভে যায়। যারা দলের চেয়ে নিজেকে বড় মনে করেছেন এবং দল ছেড়ে গেছেন তারা ভুল করেছেন। আওয়ামী লীগে থাকা অবস্থায় তারকা থাকলেও পরবর্তীতে সে তারা আর জ্বলেনি, নিভে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৩ জুন) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হককে স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাঙালির সব অর্জনেই আওয়ামী লীগ জড়িত। জন্ম থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের কারণেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সবসময় মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিল সংগঠনটি। কিন্তু বারবার এই দলকে আঘাত করা হয়েছে নিশ্চিহ্নের চেষ্টা হয়েছে কিন্তু যতবার এই আঘাত এসেছে দলটি ততবারই জেগে উঠেছে।
Unibots.com

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা সন্ত্রাসবাদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, দুর্নীতি করেছে। তারা জনগণের শক্তি ভুলে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে।
অঝোরে কাঁদলেন মির্জা ফখরুল

তিনি আরও বলেন, আজ বাঙালির যতটুকু অর্জন, এই অর্জনগুলো আওয়ামী লীগের দ্বারাই। কিন্তু বারবার এ দলের উপর আঘাত এসেছে। বারবার এ দলকে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছে। বারবার এ দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ৫৮ সালে সেই আইয়ুব খানের মার্শাল ল থেকে শুরু করে বারবার আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নতি করার সংগঠন। কাজেই বার বার আঘাত এসেও এই সংগঠনের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। বেশি দিন আগের কথা নয়, ২০০৭ সালেও চেষ্টা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে নতুন কিংস পার্টি গড়ে তোলার। সেটাও সফল করতে পারেনি। কারণ, আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ, সাধারণ জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, মুজিব আদর্শের সৈনিক। এ সৈনিকরা কখনো পরাভব মানে না। মাথা নথ করে না। হয়ত কখনো কখনো নেতারা ভুল করেছেন। কেউ মনে করেছেন আওয়ামী লীগে থাকলে তারাই হয়ত বড় নেতা। দলের থেকে নিজেকে বড় মনে করেন, কেউ দল ছেড়ে গিয়ে অন্য দল করেছেন। তারা ভুল করেছেন।

তিনি বলেন, আকাশে মিটি মিটি তারা জ্বলে, তারা আলোকিত হয় কার দ্বারা? সূর্যের আলোতে আলোকিত হয়। যেসব নেতারা আওয়ামী লীগ ছেড়েছিলেন তারা ভুলে গিয়েছিলেন দলের কথা। তারা আলোকিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন বলেই। চলে যাওয়ার পর ওই তাঁরা আর জ্বলেনি। অনেকেই নিভে গেছেন। কেউ ভুল বুঝে ফিরে এসেছে আমরা নিয়েছি। আবার কেউ কেউ এখনো আওয়ামী লীগের সরকারের পতন কল্পনা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, যা আমরা প্রমাণ করেছি।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর বার বার ক্ষমতা বদল হয়েছে। হয় অস্ত্রের মাধ্যমে বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শাসকরা ক্ষমতায় এসেছে। সেই সময় জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি তারা।