সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক ,ওজন কমানোর জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কত কিছুই করি। খাওয়ার রুটিন থেকে শুরু করে নিয়মিত হাঁটাচলা, সব কিছু করেও অনেক সময় ওজন কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রন করা যায় না। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ডিম খেয়েও কিন্তু সহজেই আপনি কমাতে পারেন শরীরের বাড়তি ওজন। ওজন কমাতে চাইছেন এমন ব্যক্তি এবং বডি বিল্ডারদের মধ্যে সর্বাধিক প্রিয় খাবার হলো ডিম।
ডিম কিন্তু বেশ কয়েকটি পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এবং সম্পূর্ণ প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস। এটি নানাভাবে খাওয়া যায়, রান্না করা সহজ এবং ব্যয়বহুলও নয়।
এদিকে ডিম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, তাই ক্ষুধা কম লাগে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার চাহিদা কমে, তাই ওজনও কমে। তাই আপনি যদি আপনার অতিরিক্ত মেদ ঝড়াতে চান তবে প্রতিদিন পাতে রাখুন এই খাবারটি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি ভাবে ডিম খেলে অতিরিক্ত ওজন কমবে
অনেকেই বুঝতে পারেন না ডিম সেদ্ধ করে খাবেন নাকি ডিম ভাজা বানিয়ে। তবে ডিম নানাভাবে খাওয়া যায়। কিন্তু ডিম ভেজে খাবেন না। ভাজা ডিমের স্বাদ সুস্বাদু হলেও, প্রচুর ক্যালোরি থাকে। তাই সিদ্ধ, পোচড বা স্ক্র্যাম্বলড করে ডিম খাবেন। ডিম পোচ বা স্ক্র্যাম্বলড করার সময় অবশ্যই অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। তেলের পরিমাণ যতটা সম্ভব কমিয়ে দিন।
ডিমের সঙ্গে ক্যাপসিকাম
পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের সঙ্গে ক্যাপসিকাম মিশিয়ে কোনো পদ তৈরি করলে তা দেখতে যেমন সুন্দর লাগে, তেমনি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা মেদ কমাতে উপকারী ভূমিকা রাখে।
চিলি ফ্লেক্স
ডিম ওমলেট তৈরিতে অনেকেই চিলি ফ্লেক্স ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসেন। ওজন কমানোর যাত্রায় এটি ভালো সঙ্গী। মরিচের গুঁড়া বা চিলি ফ্লেক্স মেদ কমাতে সাহায্য করে।
সয়াবিন তেল নয়
সমীক্ষা অনুযায়ী, সয়াবিন তেলে ফ্যাটের পরিমাণ অতিরিক্ত। ডিম ভাজার ক্ষেত্রে সয়াবিন তেল ব্যবহার করবেন না। এতে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। এর পরিবর্তে সরিষা বা নারকেল তেল ব্যবহার করুন।
এ ছাড়াও ডায়েটে থাকলে সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন। প্রতিদিন কুসুমসহ একটি ডিম খাওয়া যায়। তবে একের বেশি খেলে সে ক্ষেত্রে কুসুম বাদ দেবেন।