ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

তাহিরপুর উপজেলার পালই,বন্নোয়াসহ মোট ছোট বড় ৫টি হাওরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্তা

শামছুল আলম আখঞ্জী তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা:-

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পালই,বন্নোয়াসহ মোট ছোট বড় ৫টি হাওরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্তা করে, জলাবদ্ধতা নিরসনের মধ্যে দিয়ে,একের ভিতর দুইয়ের পথ সুগম করলেন,নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি)বিকাল ৪টার সময় উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের পালই, বন্নোয়া হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসনে, হাওরের বিভিন্ন সাইট সরজমিন ঘুরে, কৃষকগণের মতামতের ভিত্তিতে বন্নোয়ার হাওরের নাওটানা নামক স্থান দিয়ে,পানি নিষ্কাশনের পথ তৈরি করেন তিনি।

এ পানি নিষ্কাশনের পথ হওয়ায়, দ্রুত সময়ের মধ্যে হাওরের ভিতর থেকে পানি সরে যাবে । উপযোগী হয়ে ওঠবে,এক ফসলি বোরোধানের জমি গুলো। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কৃষকের আবাদি জমিগুলোতে রোপণ করতে পারবে। অপর দিকে, আগাম বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষার বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাটিগুলো হাওরের নিন্মভূমি থেকে সংগ্রহ করা যাবে। অন্যথায় ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)’র কাজ বিলম্ব হতো। এর আশেপাশে কোথাও মাটির সংগ্রহের পরিত্যক্ত ভূমি নেই, সবেই ছিল জলের নিচে । এতে একের ভিতর দুইয়ের পথ সুগম হয়েছে বলে, জানান স্থানীয় কৃষকগন।

জানা যায়, এ উপজেলার ছোট বড় ২৩টি হাওরে হাওরে ১৭হাজার ৪শত ১৭ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষাবাদ করা হবে। আর এসব রোপণ করা ফসল রক্ষায়,বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ৭৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)’র গঠনের মাধ্যমে,বাঁধ নির্মাণ কাজ করাবেন কতৃপক্ষ।এতে বরাদ্দ রয়েছে ১২কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
এর মধ্যে(প্রায়) দুই হাজার একর জমি জলাবদ্ধতায়,তরং,শিবরামপুর, বেতাগড়া, ছিলানীতাহিরপুর, কামালপুর, ছিরারগাওসহ (প্রায়)১০টি গ্রামের কৃষকের জমি রোপণে, অনুপযোগী হওয়ার শংস্কা তৈরি হয়েছিল। পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায়, এমন চিত্র দেখে, চাপা কান্নায় ব্যতিত,দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক । বীজতলায় চারা গজিয়ে উঠেছে, জমি আছে জলে। জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করলেন ইউএনও।

ভোক্তভোগী কৃষক আব্দুল ওয়াহাব মিয়া বলেন, হাওর পাড়ের কৃষকের ডাকে সাড়া দিয়ে, ৫টি হাওরের পানি নিষ্কাশনের পথ তৈরি করায়, কৃষকের জমি রোপণে রইলনা ব্যাঘাত। ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাটি ওঠবে এখন বাঁধে সংকট হল মুক্তি। এই মহতি পদক্ষেপ গ্রহণ করায়, (ইউএনও) মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান ।

তাহিরপুর উপজেলার সচেতন মহলের নজরে আসার পর, এ পদক্ষেপেকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কৃষক- জনতাসহ সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গ।

হাওর পাড়ের কৃষকগণরা বলেন, আমার এক ফসলি জমি চাষাবাদ করি,তা-ও নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে রোপণ করতে হয়। সময় চলে গেলে রোপণ করে লাভ হয়না। প্রতিবছর পাহাড়ি ঢল কিংবা উজানের প্রবলের স্রোতের বেগে বাঁধ ভেঙে পানি নিষ্কাশনের পথ তৈরি হয়ে থাকে। কিন্তু এবার এর ব্যতিক্রয় হয়েছে।

একারণে, (মাটিয়ান হাওর উপ প্রকল্পের আওতাধীন), পালই, বন্নোয়া,কাটটুয়াপুরা, নাইন্দা,ছিয়ারগাও হাওরসহ ছোট বড় পাঁচটি হাওরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যাঁর কারণে আবাদি জমিগুলো অনাবাদিতে রুপ নিয়েছিল। এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বার বার আবেদন ও মৌখিক ভাবে এ বিষয়ে অবগত করে আসছিলাম। কৃষক বান্ধব ইউএনও স্যার, কৃষকের কষ্টে ব্যতিত হয়ে, সরজমিনের এসে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্তা করলেন।

এজন্য, হাওর বাসীর পক্ষ থেকে, স্যারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা এখন অল্প সময়ের মধ্যে জমি গুলো রোপণ করতে পারবো।যে স্থান দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ তৈরি করা হয়েছে। এ পথে নালা আছে নিষ্কাশনের পথ সুগম,মাঝ পথে শুকানোর সম্ভবনা নেই। তবে, স্থায়ী ভাবে পালই- বন্নোয়া হাওরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্তা জন্য, একটি সুইস গেইট নির্মানের ব্যবস্তা গ্রহণ করার জন্য, উর্ধতন কতৃপক্ষ কাছে জোরালো দাবী জানাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ প্রকৌশলী মনির হোসেন, উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর প্রতিনিধি সোহেল মিয়া, জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মাফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল , সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা আব্দুল হালিম, কৃষক আব্দুল হামিদ, আব্দুল ওয়াহাব, শাহাজ উদ্দিন, লায়েছ মিয়া, বাবুল মিয়া, জানে আলম প্রমুখ।

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, মাটিয়ান হাওরে ২৯টি পিআইসি কাজ শুরু করতে অন্যতম বাধা এই ফালইর হাওর জলাবদ্ধতা । পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় (প্রায়) ৪০০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এর ফলে নান্দিয়া, বনুয়া, ছিরিয়ার গাঁও হাওর, কাটুয়াপুরা এবং ফালঈ হাঁওরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। এতে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কৃষক জমিতে রোপণ করতে পারবে, অপর দিকে বেড়িবাঁধের মাটি সংগ্রহ করা সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন জনস্বার্থে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্তা করা হয়েছে। এতে অতি শীঘ্রই এ হাওরে ধান চাষের পাশাপাশি ফসল রক্ষা বাধের কার্যক্রম গ্রহন করা সম্ভব হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:১৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
০ বার পড়া হয়েছে

তাহিরপুর উপজেলার পালই,বন্নোয়াসহ মোট ছোট বড় ৫টি হাওরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্তা

আপডেট সময় ০৯:১৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পালই,বন্নোয়াসহ মোট ছোট বড় ৫টি হাওরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্তা করে, জলাবদ্ধতা নিরসনের মধ্যে দিয়ে,একের ভিতর দুইয়ের পথ সুগম করলেন,নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি)বিকাল ৪টার সময় উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের পালই, বন্নোয়া হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসনে, হাওরের বিভিন্ন সাইট সরজমিন ঘুরে, কৃষকগণের মতামতের ভিত্তিতে বন্নোয়ার হাওরের নাওটানা নামক স্থান দিয়ে,পানি নিষ্কাশনের পথ তৈরি করেন তিনি।

এ পানি নিষ্কাশনের পথ হওয়ায়, দ্রুত সময়ের মধ্যে হাওরের ভিতর থেকে পানি সরে যাবে । উপযোগী হয়ে ওঠবে,এক ফসলি বোরোধানের জমি গুলো। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কৃষকের আবাদি জমিগুলোতে রোপণ করতে পারবে। অপর দিকে, আগাম বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষার বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাটিগুলো হাওরের নিন্মভূমি থেকে সংগ্রহ করা যাবে। অন্যথায় ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)’র কাজ বিলম্ব হতো। এর আশেপাশে কোথাও মাটির সংগ্রহের পরিত্যক্ত ভূমি নেই, সবেই ছিল জলের নিচে । এতে একের ভিতর দুইয়ের পথ সুগম হয়েছে বলে, জানান স্থানীয় কৃষকগন।

জানা যায়, এ উপজেলার ছোট বড় ২৩টি হাওরে হাওরে ১৭হাজার ৪শত ১৭ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষাবাদ করা হবে। আর এসব রোপণ করা ফসল রক্ষায়,বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ৭৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)’র গঠনের মাধ্যমে,বাঁধ নির্মাণ কাজ করাবেন কতৃপক্ষ।এতে বরাদ্দ রয়েছে ১২কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
এর মধ্যে(প্রায়) দুই হাজার একর জমি জলাবদ্ধতায়,তরং,শিবরামপুর, বেতাগড়া, ছিলানীতাহিরপুর, কামালপুর, ছিরারগাওসহ (প্রায়)১০টি গ্রামের কৃষকের জমি রোপণে, অনুপযোগী হওয়ার শংস্কা তৈরি হয়েছিল। পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায়, এমন চিত্র দেখে, চাপা কান্নায় ব্যতিত,দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক । বীজতলায় চারা গজিয়ে উঠেছে, জমি আছে জলে। জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করলেন ইউএনও।

ভোক্তভোগী কৃষক আব্দুল ওয়াহাব মিয়া বলেন, হাওর পাড়ের কৃষকের ডাকে সাড়া দিয়ে, ৫টি হাওরের পানি নিষ্কাশনের পথ তৈরি করায়, কৃষকের জমি রোপণে রইলনা ব্যাঘাত। ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাটি ওঠবে এখন বাঁধে সংকট হল মুক্তি। এই মহতি পদক্ষেপ গ্রহণ করায়, (ইউএনও) মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান ।

তাহিরপুর উপজেলার সচেতন মহলের নজরে আসার পর, এ পদক্ষেপেকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কৃষক- জনতাসহ সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গ।

হাওর পাড়ের কৃষকগণরা বলেন, আমার এক ফসলি জমি চাষাবাদ করি,তা-ও নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে রোপণ করতে হয়। সময় চলে গেলে রোপণ করে লাভ হয়না। প্রতিবছর পাহাড়ি ঢল কিংবা উজানের প্রবলের স্রোতের বেগে বাঁধ ভেঙে পানি নিষ্কাশনের পথ তৈরি হয়ে থাকে। কিন্তু এবার এর ব্যতিক্রয় হয়েছে।

একারণে, (মাটিয়ান হাওর উপ প্রকল্পের আওতাধীন), পালই, বন্নোয়া,কাটটুয়াপুরা, নাইন্দা,ছিয়ারগাও হাওরসহ ছোট বড় পাঁচটি হাওরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যাঁর কারণে আবাদি জমিগুলো অনাবাদিতে রুপ নিয়েছিল। এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বার বার আবেদন ও মৌখিক ভাবে এ বিষয়ে অবগত করে আসছিলাম। কৃষক বান্ধব ইউএনও স্যার, কৃষকের কষ্টে ব্যতিত হয়ে, সরজমিনের এসে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্তা করলেন।

এজন্য, হাওর বাসীর পক্ষ থেকে, স্যারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা এখন অল্প সময়ের মধ্যে জমি গুলো রোপণ করতে পারবো।যে স্থান দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ তৈরি করা হয়েছে। এ পথে নালা আছে নিষ্কাশনের পথ সুগম,মাঝ পথে শুকানোর সম্ভবনা নেই। তবে, স্থায়ী ভাবে পালই- বন্নোয়া হাওরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্তা জন্য, একটি সুইস গেইট নির্মানের ব্যবস্তা গ্রহণ করার জন্য, উর্ধতন কতৃপক্ষ কাছে জোরালো দাবী জানাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ প্রকৌশলী মনির হোসেন, উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর প্রতিনিধি সোহেল মিয়া, জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মাফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল , সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা আব্দুল হালিম, কৃষক আব্দুল হামিদ, আব্দুল ওয়াহাব, শাহাজ উদ্দিন, লায়েছ মিয়া, বাবুল মিয়া, জানে আলম প্রমুখ।

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, মাটিয়ান হাওরে ২৯টি পিআইসি কাজ শুরু করতে অন্যতম বাধা এই ফালইর হাওর জলাবদ্ধতা । পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় (প্রায়) ৪০০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এর ফলে নান্দিয়া, বনুয়া, ছিরিয়ার গাঁও হাওর, কাটুয়াপুরা এবং ফালঈ হাঁওরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। এতে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কৃষক জমিতে রোপণ করতে পারবে, অপর দিকে বেড়িবাঁধের মাটি সংগ্রহ করা সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন জনস্বার্থে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্তা করা হয়েছে। এতে অতি শীঘ্রই এ হাওরে ধান চাষের পাশাপাশি ফসল রক্ষা বাধের কার্যক্রম গ্রহন করা সম্ভব হবে।