নবীগঞ্জে এক্সেভেটর ও ট্রাকসহ আটক ৪
নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল টিম গভীর রাতে বিশাল এক অভিযান পরিচালনা করেছে। পাহাড়ি মাটি খেকোদের পাকরাও করেছে সেনা সদস্যরা। এনিয়ে হইছই পড়েছে সর্বত্র ,যারা বিএনপি নেতাদের নামে কমিশন নিয়ে মাটি কাটার কাজ করছিলেন তারা গা ঢাকা দিয়েছেন।
সেনাবাহিনী নেপথ্যে নায়কদের খোঁজছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে এ অভিযান সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ হারূন অর রশিদ এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয় ।
এ সময় সেনাবাহিনী ২টি মাটি বহনকারী ১০ চাকার ড্রামার ট্রাক, একটি মাটি কাটার এক্সেভেটর(বেকু) ৪ জন মাটি কাটার শ্রমিককে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো ট্রাক চালক মোঃ আঃ হান্নান(৪০) মোঃ আকরামুল আহসান (৩৫) ড্রাম ট্রাক হেলপার, মোঃ আল আমীন(৩৬) ড্রাম ট্রাক এর ড্রাইভার, ট্রাক চালক মোঃ আঃ করিম। বাকিরা সেনাবাহিনীর টহলটিম দেখে পালিয়ে যায়।
জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে দিনারপুর পাহাড়ি এলাকায় এলাকা গ্রাম কুড়াগ্রাম (মিয়াকান্দি) ১৩ নং পানি উমদা ইউনিয়ন পানিউমদা এলাকায় বনজ পাহাড় কেটে বিক্রি করার কারণে লালমাটি ও টিলা কাটার ধুম চলছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব টিলা কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল কিছু পাতিনেতারা। এখবর পেয়ে গতকাল জটিকা অভিযান চালায় নবীগঞ্জের দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর টহল টীম।
গতকাল রাত আনুমানিক ১টা ১৫ মিনিটে সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল পরিচালনা সময়, সেনাবাহিনীর আওতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ান্টে অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র ছাড়া টিলা কতন করিয়া জীব ও বৈচিত্রের ক্ষতি প্রকৃতির ভারসাম্য হানি ফসলের ক্ষতি বৃক্ষ রাজির ক্ষতি মাটির ভূ-গঠনের পরিবর্তন পাহাড়ের বাইডিং ক্যাপাসিটি নষ্ট করে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ সংশোধিত ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, আটককৃত তিনটি গাড়ি ও গ্রেফতার ৪জনকে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।