ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুটবলপ্রেমীদের নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে হামজা-শমিতরা

স্পোর্টস ডেস্ক

সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। একের পর এক প্রবাসী ফুটবলার লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়াতে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান শীর্ষ লিগের বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দেশের ফুটবলে এক অন্যরকম উন্মাদনা বিরাজ করছে।

চলতি বছর ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা হামজা চৌধুরীর। তার সাথে এবার জাতীয় দল মাতাতে যোগ দেবেন ইতালিয়ান লিগে খেলা ফাহামিদুল ইসলাম এবং কানাডা লিগ মাতানো শমিত সোম। এর আগে জামাল ভূঁইয়া এবং তারিক কাজীর মতো প্রবাসী ফুটবলাররা বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন।

আগামী ১০ জুন এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে র‌্যাংকিংয়ে ২২ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই ম্যাচ ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ। বিশেষ করে প্রবাসী ফুটবলার শমিত সোম ও ফাহামিদুল ইসলামের সম্ভাব্য অভিষেক ঘিরে বাড়ছে প্রত্যাশার পারদ।

জাতীয় দলে একসঙ্গে হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামিদুলদের মতো প্রবাসী খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলে এনেছে নতুন মাত্রা। ফুটবল বিশ্লেষক ও সমর্থকরা মনে করছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এখন বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য শক্তি হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান এই পরিবর্তনকে দেখছেন খুবই ইতিবাচকভাবে। তিনি বলেন, ‘ফুটবলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ না হলে একজন হামজাও যথেষ্ট নয়। তাকে ঘিরে ভালো মানের দেশীয় খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামজার আগমনে আমাদের ফুটবলের ব্র্যান্ডিং অনেক বেড়েছে। এতে করে স্পন্সরদের আগ্রহও অনেক বেড়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রবাসী খেলোয়াড়দের উপর নির্ভরশীলতা নিয়ে ইমরুল হাসান বলেন, ‘শুধু প্রবাসীদের উপর ভরসা করে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ তারা সবসময় জাতীয় দলের জন্য ‘অ্যাভেইলেবল’ নাও থাকতে পারে। তাই ঘরোয়া খেলোয়াড়দেরও সেই মানে নিয়ে আসতে হবে।’

নতুন মুখ শমিত সোম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শমিতের প্রোফাইল অসাধারণ। তার অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে জাতীয় দলকে আরও শক্তিশালী করবে।’

তবে হামজা ও শমিতের মতো খেলোয়াড়দের ঘরোয়া লিগে দেখা যাবে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তাদের পারিশ্রমিক ও প্রোফাইল বিবেচনায় বাংলাদেশের ক্লাবগুলো এখনো তাদের দাবি পূরণে প্রস্তুত নয়। তাই ঘরোয়া লিগে খেলানো কঠিন হবে।’

বাংলাদেশ দলের এই নতুন রূপ নিয়ে আশাবাদী কোটি ভক্ত, যারা ১০ জুনের ম্যাচে মাঠে কিংবা পর্দায় চোখ রাখবেন দেশের সম্মান ধরে রাখার প্রত্যাশায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:১০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
৩০ বার পড়া হয়েছে

ফুটবলপ্রেমীদের নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে হামজা-শমিতরা

আপডেট সময় ০৮:১০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। একের পর এক প্রবাসী ফুটবলার লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়াতে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান শীর্ষ লিগের বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দেশের ফুটবলে এক অন্যরকম উন্মাদনা বিরাজ করছে।

চলতি বছর ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা হামজা চৌধুরীর। তার সাথে এবার জাতীয় দল মাতাতে যোগ দেবেন ইতালিয়ান লিগে খেলা ফাহামিদুল ইসলাম এবং কানাডা লিগ মাতানো শমিত সোম। এর আগে জামাল ভূঁইয়া এবং তারিক কাজীর মতো প্রবাসী ফুটবলাররা বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন।

আগামী ১০ জুন এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে র‌্যাংকিংয়ে ২২ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই ম্যাচ ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ। বিশেষ করে প্রবাসী ফুটবলার শমিত সোম ও ফাহামিদুল ইসলামের সম্ভাব্য অভিষেক ঘিরে বাড়ছে প্রত্যাশার পারদ।

জাতীয় দলে একসঙ্গে হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামিদুলদের মতো প্রবাসী খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলে এনেছে নতুন মাত্রা। ফুটবল বিশ্লেষক ও সমর্থকরা মনে করছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এখন বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য শক্তি হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান এই পরিবর্তনকে দেখছেন খুবই ইতিবাচকভাবে। তিনি বলেন, ‘ফুটবলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ না হলে একজন হামজাও যথেষ্ট নয়। তাকে ঘিরে ভালো মানের দেশীয় খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামজার আগমনে আমাদের ফুটবলের ব্র্যান্ডিং অনেক বেড়েছে। এতে করে স্পন্সরদের আগ্রহও অনেক বেড়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রবাসী খেলোয়াড়দের উপর নির্ভরশীলতা নিয়ে ইমরুল হাসান বলেন, ‘শুধু প্রবাসীদের উপর ভরসা করে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ তারা সবসময় জাতীয় দলের জন্য ‘অ্যাভেইলেবল’ নাও থাকতে পারে। তাই ঘরোয়া খেলোয়াড়দেরও সেই মানে নিয়ে আসতে হবে।’

নতুন মুখ শমিত সোম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শমিতের প্রোফাইল অসাধারণ। তার অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে জাতীয় দলকে আরও শক্তিশালী করবে।’

তবে হামজা ও শমিতের মতো খেলোয়াড়দের ঘরোয়া লিগে দেখা যাবে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তাদের পারিশ্রমিক ও প্রোফাইল বিবেচনায় বাংলাদেশের ক্লাবগুলো এখনো তাদের দাবি পূরণে প্রস্তুত নয়। তাই ঘরোয়া লিগে খেলানো কঠিন হবে।’

বাংলাদেশ দলের এই নতুন রূপ নিয়ে আশাবাদী কোটি ভক্ত, যারা ১০ জুনের ম্যাচে মাঠে কিংবা পর্দায় চোখ রাখবেন দেশের সম্মান ধরে রাখার প্রত্যাশায়।