ঢাকা ০৩:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষ

বগুড়ার প্রতিনিধিঃ

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছে এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছে একজন। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর অপারেশন করতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহতরা হলেন সুমন রানা, মামুন, তাফসি, মিলন ও সুমন কুমার পাল। তারা সবাই অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

১৬ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে কলেজের আমচত্বরে এই ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বিভিন্ন স্লোগানে মিছিল করেছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। কলেজ চত্বরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসের জামিলনগর গেটে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এসময় হঠাৎ দুর্বৃত্তরা কলেজের আমচত্বরে একটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায়। এতে চারজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে দলে দলে মিছিল করতে থাকে।

হামলায় আহত মিলন শেখ বলেন কোটা বিরোধি আন্দোলন প্রায় ২০ মিনিট হয়। এর পর যার যার মতো আন্দোলনকারীরা সবাই চলে যায়। এসময় আমরা কয়েকজন বন্ধু ক্যাম্পাসের বটতলায় বসে গল্প করতেছিলাম হঠাৎ পিছন থেকে কে বা কারা ককটেল নিক্ষেপ করে, এতে আমরা আহত হয়ে য়াই। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী আন্দোলনকারী নই আমাদের উপর এমন হামলা যারা ঘটনালো তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।আজিজুল হক কলেজে দায়িত্বে থাকা বগুড়া স্টেডিয়াম ফাঁড়ির পরিদর্শক আশিক ইকবাল বলেন, যে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মেডিকেল ফাড়ির ইনচার্জ মিলাদুন্নবী বলেন, সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে আহত হয়ে চারজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, বেলা সাড়ে ১০টার পর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের এক পাশ অবরোধ করে। প্রায় আধাঘন্টার মতো সড়কে অবস্থান নিয়ে কোটা বিরোধী বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান দেন। এ সময় ওই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এসে তাদের সাথে কথা বললে সড়ক থেকে সরে যান।

অন্যদিকে বগুড়া পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধি আন্দোলনের স্লোগান দিয়ে কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তারা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের আনেন।

এছাড়া বগুড়া শাহসুলতান কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধি আন্দোলনের স্লোগান দিয়ে কলেজের মধ্যে দফায় দফায় মিছিল করেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
২৫ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষ

আপডেট সময় ০৩:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছে এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছে একজন। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর অপারেশন করতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহতরা হলেন সুমন রানা, মামুন, তাফসি, মিলন ও সুমন কুমার পাল। তারা সবাই অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

১৬ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে কলেজের আমচত্বরে এই ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বিভিন্ন স্লোগানে মিছিল করেছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। কলেজ চত্বরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসের জামিলনগর গেটে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এসময় হঠাৎ দুর্বৃত্তরা কলেজের আমচত্বরে একটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায়। এতে চারজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে দলে দলে মিছিল করতে থাকে।

হামলায় আহত মিলন শেখ বলেন কোটা বিরোধি আন্দোলন প্রায় ২০ মিনিট হয়। এর পর যার যার মতো আন্দোলনকারীরা সবাই চলে যায়। এসময় আমরা কয়েকজন বন্ধু ক্যাম্পাসের বটতলায় বসে গল্প করতেছিলাম হঠাৎ পিছন থেকে কে বা কারা ককটেল নিক্ষেপ করে, এতে আমরা আহত হয়ে য়াই। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী আন্দোলনকারী নই আমাদের উপর এমন হামলা যারা ঘটনালো তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।আজিজুল হক কলেজে দায়িত্বে থাকা বগুড়া স্টেডিয়াম ফাঁড়ির পরিদর্শক আশিক ইকবাল বলেন, যে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মেডিকেল ফাড়ির ইনচার্জ মিলাদুন্নবী বলেন, সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে আহত হয়ে চারজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।

এদিকে, বেলা সাড়ে ১০টার পর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের এক পাশ অবরোধ করে। প্রায় আধাঘন্টার মতো সড়কে অবস্থান নিয়ে কোটা বিরোধী বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান দেন। এ সময় ওই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এসে তাদের সাথে কথা বললে সড়ক থেকে সরে যান।

অন্যদিকে বগুড়া পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধি আন্দোলনের স্লোগান দিয়ে কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তারা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের আনেন।

এছাড়া বগুড়া শাহসুলতান কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধি আন্দোলনের স্লোগান দিয়ে কলেজের মধ্যে দফায় দফায় মিছিল করেছে।