মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিভিন্ন সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হয়েছে এবং তারা তাদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমি চাই যুগ যুগ ধরে দেশের মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।’
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪-২৫’ এর নির্বাচিত ফেলোদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধা যে দলেরই হোক, তাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।’বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা সবচেয়ে বেশি মেধাবী। তাদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সেটাই আমাদের কর্তব্য। সেই সুযোগটি আমরা করে দিতে চাই। সেই কারণে ফেলোশিপটা চালু করেছি।২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। আমাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।’ বলেন সরকারপ্রধান।
নারী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তার জন্য সরকার সচেষ্ট বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড ভবিষ্যতে কেউ যেন বাতিল করতে না পারে সেজন্য একে ট্রাস্টের আওতায় আনা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এজন্য ৫০০০ কোটি টাকার ফান্ড প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় তরুণদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার প্রত্যয়ের কথা জানান সরকারপ্রধান।
সরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষক, গবেষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৮ সালে চালু করা হয় প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ। এর আওতায় ২০২৪ সালে ৩৭ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১১ জন পিএইচডি ফেলো আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। আজ নিজ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ফেলোশিপ আ্যওয়ার্ড প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বক্তব্য দেন।