বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এপিবিএনের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। এপিবিএনের দাবী, নিহত যুবক মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসার কমান্ডার ছিলেন।
এ ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরসার আরও ৩ সদস্যকে। গোলাগুলির ঘটনায় এপিবিএন-৮ ব্যাটালিয়নের ২ সদস্যও আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এপিবিএন-৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. ফারুক আহমেদ।
তিনি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী উখিয়ার ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ গোলাগুলি চলে।
এতে নিহত আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ প্রকাশ লালাইয়া উখিয়ার ১৩ নম্বর ক্যাম্পের নুরুল আমিনের ছেলে এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত ৪টি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। এ সময় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি হলেন, ১৯ নম্বর ক্যাম্পের মোহাম্মদ তাহের, একই ক্যাম্পের জামাল হোসেন ও লিয়াকত আলী। তারা তিনজনই আরসা সদস্য বলে জানায় এপিবিএন।
এপিবিএন-৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ১৯ নম্বর ক্যাম্পের ৮ নম্বর ব্লকের আমিন মাঝির বাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘিরে রাখার খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্য অভিযানে যান। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী পাহাড়ের দিকে পালাতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলের আশে-পাশের এলাকা থেকে আরসার ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ক্যাম্পের একটি ঘরের রুমে আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ প্রকাশ লালাইয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। সেখানে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি ছিল।
তিনি জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উখিয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।