শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন

শ্রীমঙ্গলে লোডশেডিং-এর কারনে জনজীবনসহ বিপর্যস্ত ও চা শিল্পে বিরূপ প্রভাব

রুবেল আহম্মদ,মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঘন ঘন লোডশেডিং-এর কারনে মানুষের জনজীবনসহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চা শিল্প । ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে শ্রীমঙ্গল শহরের সর্বক্ষেত্রে।মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়,উপজেলায় মোট বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪৫ মেগাওয়াট কিন্তু এর বিপরীতে সরবরাহ হয় ৩০ মেগাওয়াট। বাকী ১৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়।
গত কয়েকমাস পূর্বে লোডশেডিং মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকাকে ৭ টি ফিডারে ভাগ করা হয়েছিল ।সম্প্রতি লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি ফিডারে সকাল থেকে ভোর রাত পর্যন্ত গড়ে প্রতিটি ফিডারে ৬/৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা। ফলে চা বাগানের ফ্যাক্টরিতে চা উৎপাদনে ও মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বিরুপ এর প্রভাব পড়েছে।
এ ব্যাপারে দেশের বৃহৎ চা কোম্পানি ফিনলে টি কোম্পানির সিইও তাহসিন আহমেদ চৌধুরী জানান,ফিনিস চায়ের উৎপাদনে গুনগত মান ধরে রাখতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন। কিন্তু যেভাবে লোডশেডিং হচ্ছে এতে তৈরি চা উৎপাদনে বহু বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ।
শ্রীমঙ্গল শহরের শাপলা সুপার মার্কেটের রিলেশন ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী এম এ রহিম বলেন,বিদ্যুৎ এর ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারনে ব্যবসায় বাণিজ্যে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন,একদিকে আবহাওয়ার কারনে অত্যাধিক গরম আবার তার উপর লোডশেডিং বুঝতেই পারছেন কতটুকুু কষ্টে আছি আমরা।
শ্রীমঙ্গল সরকারী কলেজের এইস.এস,সি পরিক্ষার্থী ছাত্রী সিরাজুম মনিরা তৃষা জানান,যে সামনে আমাদের পরিক্ষা কিন্তু ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারনে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বাসা ও স্কুলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারনে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো.শাখাওয়াত হোসেন জানান,মৌলভীবাজার জেলায় গত মঙ্গলবার রাত ৯ টায় সর্ব্বোচ লোড ওঠেছিল ১০১ মেগাওয়াট এবং চাহিদাও ১০১ মেগাওয়াট ছিল। পবিস এর ইতিহাসে এটা বিরল বলেন। তবে চাহিদা ও যোগান পরিবর্তনশীল,এতে শ্রীমঙ্গলে মোট প্রায় ৪৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ থাকে ৩০/৩৫ মেগাওয়াট বলে জানান।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.