বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি : বইছে শৈত্যপ্রবাহ

স্টাফ রিপোর্টার, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আজ সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গায় ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এ জেলার এখন পর্যন্ত মওসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলার উপর দিয়ে। তবে সকালেই সুর্যের মুখ দেখা গেছে।

সুর্যের ঝলমলে রোদের উত্তাপটুকুই আজ আর্শীবাদ হয়েছে এ জেলার মানুষের জন্য।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যেক্ষনাগার কেন্দ্র থেকে আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৮ ডিগ্রি সেলিসযাস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬%.।

আর সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৬° ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭%।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, আজ রাতের তাপমাত্রা একটু বাড়বে। আগামীকাল বুধবার এ জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিটাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর বৃহস্পতিবার দিনের তাপমাত্রা আরো কমে যাবে।

এদিকে হাঁড় কাঁপানো শীতে কাবু চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। শীতল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে মানুষ।

কাঠের ‘স’ মিলে কাজ করেন আরিফ। সকাল মিলে এসে কাজ করতে পারেননি। আরিফ বলেন, সকাল ১০ টা বাজে। মিল চারু করতে পারলাম না। এতো ঠান্ডা। হাতে কাঠ ধরতে পারছিনা।

ভ্যান চালক আফিল উদ্দিন বলেন, সকালে ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে ছিলাম বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। ঠান্ডায় ভ্যান চালাতে পারছিনা। দিন মজুর মোশারফ বলেন, সকালে ধান হাটকাতে এসেছি। এতো ঠান্ধা ধানের জমিতে কাঁদায় নামতে পারছিনা।

এদিকে শীত আর শৈত্য প্রহাবের কারনে আজ মঙ্গল (২৩ জানুয়ারি) জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটি দেয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।

খড়-কুটোর আগুনে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে শীতার্ত মানুষ। খেটে খাওয়া কৃষক৷, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা বেশী বিপাকে পড়েছে।

সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির উদ্যোগে জেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল ও শুকনা খাবার বিতরন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.