রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক, হবিগঞ্জ শহরতলীর ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটক এলাকায় কেরাম খেলায় সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পিকআপ ও মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর, ইট পাটকেল নিক্ষেপে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মাস্টার বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে ৭ পুলিশসহ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটক এলাকায় কেরাম খেলায় বসে মাস্টার বাড়ির আলমগীর, সেলিম ও মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের লোকজন। খেলা চলাচলে একটি পক্ষ সিগারেট খেয়ে তার ধোঁয়া ছাড়ে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মাস্টার বাড়ির আলমগীর এবং মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইট পাটকেল নিক্ষেপে পিকআপ ও মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এতে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে সদর থানার এসআই আবু জাবেরসহ ৭ পুলিশ এবং শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৪ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় রুবিনা আক্তার, আব্দুল শহিদ, জাবেদ মিয়া, আল মামুন, নাজিমুদ্দিন, সফিক মিয়া, এসআই আবু জাবের , রবিউল হাসান, শিমুল, মিজবাহুল হাসান, ফখরুল ইসলাম, রাজু মিয়া, শরীফুল মিয়া, আনোয়ার, সাজ্জাদ হোসেন, উজ্জ্বল মিয়া , শামসুর রহমান ও মিতু মিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব বলেন, কেরাম খেলায় সিগারেটের ধোঁয়া ছড়ানোকে কেন্দ্র করে মাস্টার বাড়ি ও মোল্লাবাড়ির লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ লাগে। খবর পেয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দাঙ্গাবাজদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।