সুভাষ সিংহ ও নাঈমুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে সাজ্জাদ হোসেন নিহতের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা ছাড়াও সুভাষ সিংহ রায় ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নিহত সাজ্জাদ হোসেনের সহধর্মিণী জিতু বেগম বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত কোতোয়ালিতে মামলাটি করেন।
বাদী জিতু বেগম মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অপু উকিলকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে বলা হয়, নিহত সাজ্জাদ হোসেন একজন ব্যবসায়ী।
গত ১৯ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর নগরীর রাজা রাম মোহন মার্কেটের সামনে ১ থেকে ১০ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্য নামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এসময় সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে তার মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে আসামিদের বাঁধার মুখে পড়েন বাদী। পরে বাধ্য হয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এরআগে রোববার (১৮ আগস্ট) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ, আব্দুল্লাহ আল তাহির ও ফল বিক্রেতা মেরাজুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক তিনটি হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদসহ ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৩৩৫ জনকে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) অটোচালক মানিক মিয়া হত্যার ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।