ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বানিয়াচংয়ে সড়ক বেহাল জনদুর্ভোগে নিত্যদিনের যাত্রী ও শিক্ষার্থীরা Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo হবিগঞ্জে বিজিবির অভিযানে মাদকসহ ১০ লাখ টাকা মূল্যের চোরাচালান জব্দ Logo হবিগঞ্জে আদালতের হাজতে শিশুসন্তান কোলে ছাত্রলীগ নেতা ২ পুলিশ সদস্য ক্লোজড Logo নবীগঞ্জে বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কনের মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু কালিমন্দিরে মালা বদল Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৪ আগস্ট শায়েস্তাগঞ্জে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা পরাজয় মেনে আত্মগোপন ও পালাতে শুরু করে Logo বিগত সরকার লুটপাট করে বিদেশে বাড়ি করেছে – এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে হবে” নবীগঞ্জে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন Logo ২০ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ পেলো হবিগঞ্জবাসী এলাকাভিত্তিক ভাগে চলছে সরবরাহ Logo শাহজিবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন: ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল হবিগঞ্জ Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার

মনু নদী ভাঙনে সড়কে পানি, যোগাযোগ বিচ্ছিন্

অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

টানা ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানি ঢলে আকষ্মিক বন্যায় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, রাজনগর, কমলগঞ্জ, বড়লেখা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য বসতঘর, আঞ্চলিক মাহসড়ক, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। সড়কে পানি উঠে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে জেলা সদরের সাথে। বন্যায় কমপক্ষে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মনু ও ধলাই নদীর একাধিক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার রাতে কমলগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এতে নতুন করে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। অপরদিকে মনু নদীর টিলাগাঁও এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে কুলাউড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম।

মনু নদীর ভাঙনে রাজনগর উপজেলার টেংরা, কামারচাক, মনসুরনগর, রাজনগর সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে।

সরজমেিন রাজনগর উপজেলার কদমহাটা এলাকায় গেলে দেখা যায়, মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে পানির তীব্র স্রোত ভেসে আসছে। পানিতে তলিয়ে গেছে মৌলভীবাজার-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কদমহাটা এলাকা। যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জেলা সদরের সাথে চারটি উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

কদমহাটা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মুনায়েম কবির বলেন, রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। এখানে চতুরদিকে পানি আর পানি। ২০১৮ সালে মনু নদী ভাঙনে একই জায়গায় প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এবছর একই জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। যদি এই বাঁধটি আগে সঠিকভাবে দেওয়া হত তাহলে এরকম ঘটনা ঘটতো না। আমরা পানিবন্দি হতাম না।

তিনি বলেন, উপজেলার অনেক বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকেই তাদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। কিন্তু পানির তীব্র ¯্রােতের কারণে তারা বাড়ি থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পারছেন না। আমরা সেনাবাহিনীকে বলেছি স্পীড বোটের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার। সেনাবাহিনী বলেছে তারা উদ্ধার কাজ চালাবে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার আপডেট অনুযায়ী জেলার মনু নদী (রেলওয়ে ব্রীজ) বিপদসীমার ৮৫ সে.মি, চাঁদনীঘাট এলাকায় ১১৮ সে.মি, ধলাই নদীতে ৩০ সে.মি ও জুড়ী নদীতে বিপদসীমার ১৯৩ সে.মি এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় ২১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে ১৬ টি, আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৪৩২৫ জন লোক, মেডিক্যাল টিম রয়েছে ২৫টি।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, মনু ও ধলাই নদীতে পানি কমেছে। নিচের দিকে পানি বাড়ছে। রাতে মনু নদীর উজানে ভাঙন দিয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে। এ ছাড়া যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙেছে সেগুলোতে কাজ চলছে বলে তিনি জানান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৫২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
৯৪ বার পড়া হয়েছে

মনু নদী ভাঙনে সড়কে পানি, যোগাযোগ বিচ্ছিন্

আপডেট সময় ০৫:৫২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

টানা ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানি ঢলে আকষ্মিক বন্যায় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, রাজনগর, কমলগঞ্জ, বড়লেখা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য বসতঘর, আঞ্চলিক মাহসড়ক, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। সড়কে পানি উঠে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে জেলা সদরের সাথে। বন্যায় কমপক্ষে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মনু ও ধলাই নদীর একাধিক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার রাতে কমলগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এতে নতুন করে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। অপরদিকে মনু নদীর টিলাগাঁও এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে কুলাউড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম।

মনু নদীর ভাঙনে রাজনগর উপজেলার টেংরা, কামারচাক, মনসুরনগর, রাজনগর সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে।

সরজমেিন রাজনগর উপজেলার কদমহাটা এলাকায় গেলে দেখা যায়, মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে পানির তীব্র স্রোত ভেসে আসছে। পানিতে তলিয়ে গেছে মৌলভীবাজার-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কদমহাটা এলাকা। যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জেলা সদরের সাথে চারটি উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

কদমহাটা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মুনায়েম কবির বলেন, রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। এখানে চতুরদিকে পানি আর পানি। ২০১৮ সালে মনু নদী ভাঙনে একই জায়গায় প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এবছর একই জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। যদি এই বাঁধটি আগে সঠিকভাবে দেওয়া হত তাহলে এরকম ঘটনা ঘটতো না। আমরা পানিবন্দি হতাম না।

তিনি বলেন, উপজেলার অনেক বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকেই তাদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। কিন্তু পানির তীব্র ¯্রােতের কারণে তারা বাড়ি থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পারছেন না। আমরা সেনাবাহিনীকে বলেছি স্পীড বোটের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার। সেনাবাহিনী বলেছে তারা উদ্ধার কাজ চালাবে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার আপডেট অনুযায়ী জেলার মনু নদী (রেলওয়ে ব্রীজ) বিপদসীমার ৮৫ সে.মি, চাঁদনীঘাট এলাকায় ১১৮ সে.মি, ধলাই নদীতে ৩০ সে.মি ও জুড়ী নদীতে বিপদসীমার ১৯৩ সে.মি এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় ২১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে ১৬ টি, আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৪৩২৫ জন লোক, মেডিক্যাল টিম রয়েছে ২৫টি।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, মনু ও ধলাই নদীতে পানি কমেছে। নিচের দিকে পানি বাড়ছে। রাতে মনু নদীর উজানে ভাঙন দিয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে। এ ছাড়া যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙেছে সেগুলোতে কাজ চলছে বলে তিনি জানান।