ঢাকা ১১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেরগুল, সম্পাদক মাসুম Logo বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের Logo গাজীপুরে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১ Logo বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক Logo উপজেলার সভায় সিদ্ধান্ত শায়েস্তাগঞ্জে আহলে সুন্নাতওয়াল জামাতের মাহফিল হবে নির্ধারিত তারিখে Logo শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মঈনুল হাসান রতনের মায়ের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত Logo আজমিরীগঞ্জ কাকাইলছেওয়ে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্টিত Logo রাখাইনে জান্তার সেনা সদর দপ্তর দখল করলো আরাকান আর্মি Logo গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের খসড়া তালিকা প্রকাশ Logo টাংগুয়ায় মোবাইল কোর্ট অভিযানে, দুইলক্ষ টাকার অবৈধ জাল জব্দ

বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রবর্তক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

মঈনুল হাসান রতন

১লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী । জাতীয়তাবাদী ইতিহাস শুরু ১৯৭৮সালে। জিয়াউর রহমান শাসন বার গ্রহনের পর ১৯৭৬ সালে ২৮ শে জুলাই রাজনৈতিক দল বিধি জারি করেন।

১৯৭৭ সালে বিচারপতি আব্দুর ছাত্তারকে আহ্বায়ক করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) গঠন করেন। আর সময়ের দাবী মেতানোর জন্যই জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্ম হয়েছিল।

তখন রাজনীতি শূন্যতা ছিল। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে ১লা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসী একটি আলাদা প্লাটফরমে একত্রিত করার জন্যই গড়ে ছিলেন জাতীয়তাবাদী দল।

শহীদ জিয়া ছিলেন আধুনিক কর্মমুখর বাংলাদেশের রূপকার। জিয়াউর রহমানের দুরদর্শী চিন্তা চেতনার ফসল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। বিএনপি জন্ম দিয়ে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি উপহার দিয়েছিলেন শহীদ জিয়া।

১৯৭৭ সালে ২১শে এপ্রিল জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথমেই এক দলীয় শাসনের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে মানুষের বাগ স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রে স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন তিনি। শহীদ জিয়া চুড়ান্তভাবে দেশের শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

১৮ই ফেবুয়ারী ১৯৭৯ সালে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ৩১টি দলের অংশগ্রহন করেন। এদের থেকে ৩শ আসনের বিএনপি ২০৫টি আসন জয়ী হন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জনগন ও দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মনে করতেন গণতন্ত্র সর্বৎকৃষ্ট শাসন ব্যবস্থা।

যা দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে এদেশে মানুষের কাছে জননন্দিত রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে পরিচিত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধগত আদর্শের দ্বারাই বিশ্বাসী বলেই বিএনপি এখোনো এ দেশের মানুষের কাছে তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

শহীদ জিয়া উন্নয়ন আর উৎপাদনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। শহীদ জিয়া মনে করতেন গণতন্ত্র হলো জনসাধারণের ক্ষমতা দ্বারা পরিচালিত শাসন ব্যবস্থা। দেশের সকল নাগরিকের কল্যাণ সাধন এর প্রধান লক্ষ্যে হলো গণতন্ত্র। তাই এ দেশের মানুষের কাছে শহীদ জিয়া গনতন্ত্রের সিংহপুরুষ।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার কর্মের দ্বারাই এদেশের আপামর জনতার প্রাণপ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি দক্ষ, যোগ্য ও সুনিপুন নেতৃত্বের মাধ্যমে এদেশের মানুষের মন জয় করে। নেতৃত্ব এক অন্যান্য ও অসাধারণ গুণ ছিল তার।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের প্রতি অধিক গুরুত্ব আরব করেছিলেন। তিনি মনে করতেন ব্যক্তিত্ব ও মনুষ্যত্বের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জুড়ি নেই।

আর গনতন্ত্র মানুষের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের সেই লক্ষ্যে পৌছে দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করেগেছেন। বাংলাদেশের ঘটনাবহুল রাজনীতিতে এই দলটি ৩৫টি বছর অতিক্রম করেছে। শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি দেশের বৃহত্তর একটি রাজনৈতিক দল।
জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বনামধন্য একজন সামরিক ব্যক্তিত্ব। লেফট্যানেন্ট জেনারেল পদবীর অধিকারী হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান মনে করতেন দেশ জয় বা দেম রক্ষায় সামরিক প্রশাসন জরুরী। কিন্তু দেশ পরিচালনায় গণতান্ত্রিক বেসামরিক প্রশাসন প্রয়োজন। রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়ে বেসামরিক প্রশাসন প্রয়োজন।

রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়ে বেসামরিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সামরিক ব্যক্তিত্ব জিয়াউর রহমানের অবদান যুগান্তকারী। সময়ের দাবী মেতানোর জন্যই জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্ম হয়েছিলগণতান্ত্রিক ধাপগুলোকে পূর্ণ করতে তৃণমূলের সাথে সমন্বয় করে রাজনীতি চাঙ্গা করে । প্রেসিডেন্ট জিয়া তৃণমূল নির্বাচন শেষে জাতিকে উৎপাদনে না দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের দিকে পা বাড়ান।

জিয়া সরকার ১৯৭৬ সালে ২৮ শে জুলাই রাজনৈতিক দল বিধি (পিপিআর) জারি করেন (পিপিআর) জারির ফলে প্রথমে ২১টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন লাভ করেন। পরে আরও নতুন পুরাতন দল ছাড়পত্র পায়।

শহীদ জিয়ার চিন্তা চেতনা গঠিত জাতীয়তা বাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে। জিয়ার সরকার সব রাজনৈতিক দলকে প্রাথমিক ভাবে রাজনীতি করার অনুমতি দেন। ১৯৭৮ সালে ১লা মে থেকে (পিপিআর) উঠিয়ে দেওয়া হয়।

এর দরুন সারা দেশ ব্যাপী ঘরে বাইরে মাঠে ময়দানে অবাধ রাজনীতি দোয়ার খুলে। এভাবে বাকশালী আইনে কেড়ে নেওয়া বহুদলীয় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতিকে আবার ফিরিয়ে দেন। এ ধারাবাহিকতায় জিয়ার সরকার দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জাগদল কে কেন্দ্র করে (ন্যাপ ভাসানী) ছয়টি দল সমন্বয়ে গঠিত হয় জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট। জিয়া ছিলেন জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী।

অপরদিকে জেনালের উসমানী উদ্যোগে জাতীয় জনতা পার্টির নামে একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন লাভ করে। আসন্ন প্রেডিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় জনতা পার্টিকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ সহ ৬টি পার্টি সমবায়ে গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট গঠিত হয়। গণতান্ত্রিক ঐক্যজোটের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন জেনারেল এম.এ.জি ওসমানী।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্ধিতা হয় জেনারেল ওসমানি লেফট্যানেন্ট জেনারেল জিয়ার মধ্যে ।

এই দুই ব্যক্তি জাতির কাছে পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে ৩ জুন ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাঙ্গালী জাতি বিপুল ভোট দিয়ে জেনারেল জিয়াকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। জেনারেল ওসমানী ঐ নির্বাচনের রায়কে শ্রদ্ধাভরে মেনে নেন।
প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোস্তাক আহমেদেরে জারি করা মার্শাল ল’ ক্ষমতাসীন হয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়া দেশ থেকে উঠিয়ে দেন। প্রেসিডেন্ট জিয়ার হাত ধরে ৬ এপ্রিল ১৯৭৮ ইং থেকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা দেশে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। তাই বলা হয় বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রবর্তক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৪৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৬৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রবর্তক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

আপডেট সময় ০৭:৪৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী । জাতীয়তাবাদী ইতিহাস শুরু ১৯৭৮সালে। জিয়াউর রহমান শাসন বার গ্রহনের পর ১৯৭৬ সালে ২৮ শে জুলাই রাজনৈতিক দল বিধি জারি করেন।

১৯৭৭ সালে বিচারপতি আব্দুর ছাত্তারকে আহ্বায়ক করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) গঠন করেন। আর সময়ের দাবী মেতানোর জন্যই জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্ম হয়েছিল।

তখন রাজনীতি শূন্যতা ছিল। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে ১লা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসী একটি আলাদা প্লাটফরমে একত্রিত করার জন্যই গড়ে ছিলেন জাতীয়তাবাদী দল।

শহীদ জিয়া ছিলেন আধুনিক কর্মমুখর বাংলাদেশের রূপকার। জিয়াউর রহমানের দুরদর্শী চিন্তা চেতনার ফসল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। বিএনপি জন্ম দিয়ে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি উপহার দিয়েছিলেন শহীদ জিয়া।

১৯৭৭ সালে ২১শে এপ্রিল জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথমেই এক দলীয় শাসনের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে মানুষের বাগ স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রে স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন তিনি। শহীদ জিয়া চুড়ান্তভাবে দেশের শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

১৮ই ফেবুয়ারী ১৯৭৯ সালে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ৩১টি দলের অংশগ্রহন করেন। এদের থেকে ৩শ আসনের বিএনপি ২০৫টি আসন জয়ী হন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জনগন ও দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মনে করতেন গণতন্ত্র সর্বৎকৃষ্ট শাসন ব্যবস্থা।

যা দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে এদেশে মানুষের কাছে জননন্দিত রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে পরিচিত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধগত আদর্শের দ্বারাই বিশ্বাসী বলেই বিএনপি এখোনো এ দেশের মানুষের কাছে তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

শহীদ জিয়া উন্নয়ন আর উৎপাদনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। শহীদ জিয়া মনে করতেন গণতন্ত্র হলো জনসাধারণের ক্ষমতা দ্বারা পরিচালিত শাসন ব্যবস্থা। দেশের সকল নাগরিকের কল্যাণ সাধন এর প্রধান লক্ষ্যে হলো গণতন্ত্র। তাই এ দেশের মানুষের কাছে শহীদ জিয়া গনতন্ত্রের সিংহপুরুষ।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার কর্মের দ্বারাই এদেশের আপামর জনতার প্রাণপ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি দক্ষ, যোগ্য ও সুনিপুন নেতৃত্বের মাধ্যমে এদেশের মানুষের মন জয় করে। নেতৃত্ব এক অন্যান্য ও অসাধারণ গুণ ছিল তার।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের প্রতি অধিক গুরুত্ব আরব করেছিলেন। তিনি মনে করতেন ব্যক্তিত্ব ও মনুষ্যত্বের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জুড়ি নেই।

আর গনতন্ত্র মানুষের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের সেই লক্ষ্যে পৌছে দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করেগেছেন। বাংলাদেশের ঘটনাবহুল রাজনীতিতে এই দলটি ৩৫টি বছর অতিক্রম করেছে। শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি দেশের বৃহত্তর একটি রাজনৈতিক দল।
জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বনামধন্য একজন সামরিক ব্যক্তিত্ব। লেফট্যানেন্ট জেনারেল পদবীর অধিকারী হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান মনে করতেন দেশ জয় বা দেম রক্ষায় সামরিক প্রশাসন জরুরী। কিন্তু দেশ পরিচালনায় গণতান্ত্রিক বেসামরিক প্রশাসন প্রয়োজন। রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়ে বেসামরিক প্রশাসন প্রয়োজন।

রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়ে বেসামরিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সামরিক ব্যক্তিত্ব জিয়াউর রহমানের অবদান যুগান্তকারী। সময়ের দাবী মেতানোর জন্যই জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্ম হয়েছিলগণতান্ত্রিক ধাপগুলোকে পূর্ণ করতে তৃণমূলের সাথে সমন্বয় করে রাজনীতি চাঙ্গা করে । প্রেসিডেন্ট জিয়া তৃণমূল নির্বাচন শেষে জাতিকে উৎপাদনে না দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের দিকে পা বাড়ান।

জিয়া সরকার ১৯৭৬ সালে ২৮ শে জুলাই রাজনৈতিক দল বিধি (পিপিআর) জারি করেন (পিপিআর) জারির ফলে প্রথমে ২১টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন লাভ করেন। পরে আরও নতুন পুরাতন দল ছাড়পত্র পায়।

শহীদ জিয়ার চিন্তা চেতনা গঠিত জাতীয়তা বাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে। জিয়ার সরকার সব রাজনৈতিক দলকে প্রাথমিক ভাবে রাজনীতি করার অনুমতি দেন। ১৯৭৮ সালে ১লা মে থেকে (পিপিআর) উঠিয়ে দেওয়া হয়।

এর দরুন সারা দেশ ব্যাপী ঘরে বাইরে মাঠে ময়দানে অবাধ রাজনীতি দোয়ার খুলে। এভাবে বাকশালী আইনে কেড়ে নেওয়া বহুদলীয় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতিকে আবার ফিরিয়ে দেন। এ ধারাবাহিকতায় জিয়ার সরকার দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘোষণা করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জাগদল কে কেন্দ্র করে (ন্যাপ ভাসানী) ছয়টি দল সমন্বয়ে গঠিত হয় জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট। জিয়া ছিলেন জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী।

অপরদিকে জেনালের উসমানী উদ্যোগে জাতীয় জনতা পার্টির নামে একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন লাভ করে। আসন্ন প্রেডিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় জনতা পার্টিকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ সহ ৬টি পার্টি সমবায়ে গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট গঠিত হয়। গণতান্ত্রিক ঐক্যজোটের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন জেনারেল এম.এ.জি ওসমানী।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেন। তবে মূল প্রতিদ্বন্ধিতা হয় জেনারেল ওসমানি লেফট্যানেন্ট জেনারেল জিয়ার মধ্যে ।

এই দুই ব্যক্তি জাতির কাছে পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে ৩ জুন ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাঙ্গালী জাতি বিপুল ভোট দিয়ে জেনারেল জিয়াকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। জেনারেল ওসমানী ঐ নির্বাচনের রায়কে শ্রদ্ধাভরে মেনে নেন।
প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোস্তাক আহমেদেরে জারি করা মার্শাল ল’ ক্ষমতাসীন হয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়া দেশ থেকে উঠিয়ে দেন। প্রেসিডেন্ট জিয়ার হাত ধরে ৬ এপ্রিল ১৯৭৮ ইং থেকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা দেশে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। তাই বলা হয় বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রবর্তক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।