ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শাহজিবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন: ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল হবিগঞ্জ Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে জমি বিরোধে কৃষক খুন Logo হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। Logo নবীগঞ্জে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ পুলিশ সুপার Logo বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে- নাহিদ ইসলাম Logo হবিগঞ্জে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ Logo শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু

জামায়াত নেতারা ফাঁসির মঞ্চে যেতে রাজি হয় কিন্ত দেশ থেকে পালায় না: এডভোকেট মতিউর রহমান

অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, জামায়াত নেতারা হাসি মূখে ফাঁসির মঞ্চে যেতে রাজি হয় কিন্তু দেশ থেকে পালায় না। প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না । এই রাজনীতি আর বাংলাদেশে থাকবে না। হিংসা বিদ্বেষ দূর করার জন্য কাজ করতে হবে। এখন থেকে এলাকায় এলাকায় গণযোগাযোগ শুরু করতে হবে। আমরা কাজ করবো দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। আমরা সব কিছু করবো আল্লাহর জন্য।

তিনি জামায়াতের সংগঠকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রত্যেক সংগঠককে ইমানের ব্যাপারে দূর্বলতা দেখানো যাবে না। ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের কোন ঘাটতি থাকা যাবে না। কুরআন, হাদিস ও ইসলামি সাহিত্য নিয়মিত অধ্যায়ন করতে হবে। তাওহীদ, রেসালাত ও আখিরাতের ধারণা লাভ করতে হবে। সকল ধরণের কু-ধারণা বজর্ন করতে হবে। হিংসা ও বিদ্বেষ দূর করতে হবে। যেখানেই মানুষ আছে সেখানে কাজ করতে হবে। মানুষের কাছে নিজেদের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি খলিফা হিসেবে মানুষকে পাঠিয়েছেন। এখন আপনি আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা বাদ দিয়ে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে লাগলেন। এটা হবে না। সমাজে যত রাজনৈতিক দল আছে তারা আল্লাহর বিধান কায়েমের জন্য চেষ্টা চালাবে। সুতরাং কোন মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের বাইরে থাকতে পারে না। যে ব্যক্তি ইসলামকে লালন করে সেই হবে আমাদের প্রতিনিধি সেটা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার পৌরসভার হলরুমে পৌর দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, কোন সময় নিজের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে না। আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। কোন ধরণের দূর্বলতা প্রদর্শন করা যাবে না। সাফল্য এবং ব্যর্থতা সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। আপনি লড়াই করেছেন সত্যের পথে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। অনেকেই নির্বাচন আসলে বলে ভোটটা নষ্ট করবেন না! আসলে ভোট তো তখনই নষ্ট হয় যখন আপনি ইসলামের পক্ষে ভোট প্রয়োগ করবেন না। তাই সবাইকে এটা জানাতে হবে ইসলামের পক্ষের শক্তিকে ভোট দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মানুষের ব্যাপারে সুধারণা পোষণ করতে হবে। আমরা কূধারণা পোষণ করি না। এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অহেতুক সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আদর্শ থাকলে মানুষ কাছে আসবেই। আদর্শের মাধ্যমে মানুষকে কাছে টানতে হবে।

কর্মশালায় জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর উদ্বোধনী বক্তব্যে রাখেন।পবিত্র কুরআন থেকে দারস দেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য ও শেরেবাংলা নগর থানা দক্ষিণের আমীর মাওলানা আমিনুল ইসলাম।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমীর মো. ফখরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা আমীর দেওয়ান সিরাজুল মতলিব, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক টিম সদস্য মো. আব্দুল মান্নান, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি মো: ইয়ামীর আলী,সহকারি সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:০০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৯১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

জামায়াত নেতারা ফাঁসির মঞ্চে যেতে রাজি হয় কিন্ত দেশ থেকে পালায় না: এডভোকেট মতিউর রহমান

আপডেট সময় ০৯:০০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, জামায়াত নেতারা হাসি মূখে ফাঁসির মঞ্চে যেতে রাজি হয় কিন্তু দেশ থেকে পালায় না। প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না । এই রাজনীতি আর বাংলাদেশে থাকবে না। হিংসা বিদ্বেষ দূর করার জন্য কাজ করতে হবে। এখন থেকে এলাকায় এলাকায় গণযোগাযোগ শুরু করতে হবে। আমরা কাজ করবো দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। আমরা সব কিছু করবো আল্লাহর জন্য।

তিনি জামায়াতের সংগঠকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রত্যেক সংগঠককে ইমানের ব্যাপারে দূর্বলতা দেখানো যাবে না। ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের কোন ঘাটতি থাকা যাবে না। কুরআন, হাদিস ও ইসলামি সাহিত্য নিয়মিত অধ্যায়ন করতে হবে। তাওহীদ, রেসালাত ও আখিরাতের ধারণা লাভ করতে হবে। সকল ধরণের কু-ধারণা বজর্ন করতে হবে। হিংসা ও বিদ্বেষ দূর করতে হবে। যেখানেই মানুষ আছে সেখানে কাজ করতে হবে। মানুষের কাছে নিজেদের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি খলিফা হিসেবে মানুষকে পাঠিয়েছেন। এখন আপনি আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা বাদ দিয়ে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে লাগলেন। এটা হবে না। সমাজে যত রাজনৈতিক দল আছে তারা আল্লাহর বিধান কায়েমের জন্য চেষ্টা চালাবে। সুতরাং কোন মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের বাইরে থাকতে পারে না। যে ব্যক্তি ইসলামকে লালন করে সেই হবে আমাদের প্রতিনিধি সেটা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার পৌরসভার হলরুমে পৌর দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, কোন সময় নিজের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে না। আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। কোন ধরণের দূর্বলতা প্রদর্শন করা যাবে না। সাফল্য এবং ব্যর্থতা সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। আপনি লড়াই করেছেন সত্যের পথে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। অনেকেই নির্বাচন আসলে বলে ভোটটা নষ্ট করবেন না! আসলে ভোট তো তখনই নষ্ট হয় যখন আপনি ইসলামের পক্ষে ভোট প্রয়োগ করবেন না। তাই সবাইকে এটা জানাতে হবে ইসলামের পক্ষের শক্তিকে ভোট দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মানুষের ব্যাপারে সুধারণা পোষণ করতে হবে। আমরা কূধারণা পোষণ করি না। এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অহেতুক সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আদর্শ থাকলে মানুষ কাছে আসবেই। আদর্শের মাধ্যমে মানুষকে কাছে টানতে হবে।

কর্মশালায় জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর উদ্বোধনী বক্তব্যে রাখেন।পবিত্র কুরআন থেকে দারস দেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য ও শেরেবাংলা নগর থানা দক্ষিণের আমীর মাওলানা আমিনুল ইসলাম।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমীর মো. ফখরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা আমীর দেওয়ান সিরাজুল মতলিব, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক টিম সদস্য মো. আব্দুল মান্নান, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি মো: ইয়ামীর আলী,সহকারি সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ।