ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জে দিনমজুর গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা! Logo নবীগঞ্জে গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের মানববন্ধন Logo হবিগঞ্জে ‘চাঁদার’ ৯০ হাজার টাকাসহ ছাত্রদলের সদস্য সচিব আটক Logo চুনারুঘাটে পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ, ভাইকে কুপিয়ে হত্যা Logo হবিগঞ্জে ৯ জনকে গুলি করে হত্যার মামলায় ওসি দেলোয়ার গ্রেফতার Logo নবীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২৫ কেজি গাঁজাসহ দুই আসামী গ্রেফতার Logo শায়েস্তাগঞ্জে ডাকাতের হামলায় ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় ডাকাত আলী গ্রেফতার Logo মাধবপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ওসি সহ আহত শতাধিক Logo হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত সরকারের

ঘরের মাঠে দ. আফ্রিকাকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক

আর কোনো দল যে কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি, এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তেমন কীর্তিই গড়ল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই ঘরের মাঠে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবালেন বাবর-রিজওয়ানরা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৬ রানের জয় পেয়েছে সফরকারীরা।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) জোহানেসবার্গে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। বৃষ্টির জন্য ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে। সাইম আইয়ুবের শতকের সাথে বাবর-রিজওয়ানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ৫ ওভার আগেই ২৭১ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।

আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সাইম আইয়ুবের শতকে দুর্দান্ত সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ৯৪ বলে ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সাইম। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কা একেকটি দৃষ্টিনন্দন শট।

তবে অপর ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের ব্যাট হাসেনি এদিন। বাবর আজম ৭১ বলে ৫২ রান করেন। অর্ধশতক তুলে নেন রিজওয়ানও। ৫২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক।

স্বাগতিকদের পক্ষে ৫৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাদা। ২টি করে উইকেট নেন মারকো জানসেন ও বিয়র্ন ফুরচুইন। ১টি করে উইকেট নেন কোয়েনা মাফাকা ও করবিন।

ডি-এল মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ৩০৮ রানই। দল হেরে যাওয়ায় বৃথা হয় হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট হাতে দুরন্ত লড়াই।

ক্লাসেন ৪৩ বলে ৮১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া স্বাগতিকদের পক্ষে টনি ডি’জর্জি ২৬, রাসি ভ্যান ডার দাসেন ৩৫, মারকো জানসেন ২৬, করবিন ৪০ করলে ২৭১ রানে শেষ হয় দ. আফিকার ইনিংস।

পাকিস্তানের পক্ষে ৫২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন সুফিয়ান মুকিম। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।

ম্যাচের পাশাপাশি সিরিজসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও ওঠে সাইম আইয়ুবের হাতে।

উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্বের কোনো দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। অর্থাৎ, প্রোটিয়ারা এর আগে নিজেদের ডেরায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ হারেনি। এবার বাভুমার দলকে হারিয়ে সেই কীর্তি গড়লো শাহিন-বাবররা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
৬৭ বার পড়া হয়েছে

ঘরের মাঠে দ. আফ্রিকাকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান

আপডেট সময় ০৮:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আর কোনো দল যে কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি, এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তেমন কীর্তিই গড়ল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই ঘরের মাঠে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবালেন বাবর-রিজওয়ানরা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৬ রানের জয় পেয়েছে সফরকারীরা।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) জোহানেসবার্গে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। বৃষ্টির জন্য ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে। সাইম আইয়ুবের শতকের সাথে বাবর-রিজওয়ানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ৫ ওভার আগেই ২৭১ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।

আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সাইম আইয়ুবের শতকে দুর্দান্ত সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ৯৪ বলে ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সাইম। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কা একেকটি দৃষ্টিনন্দন শট।

তবে অপর ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের ব্যাট হাসেনি এদিন। বাবর আজম ৭১ বলে ৫২ রান করেন। অর্ধশতক তুলে নেন রিজওয়ানও। ৫২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক।

স্বাগতিকদের পক্ষে ৫৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাদা। ২টি করে উইকেট নেন মারকো জানসেন ও বিয়র্ন ফুরচুইন। ১টি করে উইকেট নেন কোয়েনা মাফাকা ও করবিন।

ডি-এল মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ৩০৮ রানই। দল হেরে যাওয়ায় বৃথা হয় হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট হাতে দুরন্ত লড়াই।

ক্লাসেন ৪৩ বলে ৮১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া স্বাগতিকদের পক্ষে টনি ডি’জর্জি ২৬, রাসি ভ্যান ডার দাসেন ৩৫, মারকো জানসেন ২৬, করবিন ৪০ করলে ২৭১ রানে শেষ হয় দ. আফিকার ইনিংস।

পাকিস্তানের পক্ষে ৫২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন সুফিয়ান মুকিম। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।

ম্যাচের পাশাপাশি সিরিজসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও ওঠে সাইম আইয়ুবের হাতে।

উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্বের কোনো দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। অর্থাৎ, প্রোটিয়ারা এর আগে নিজেদের ডেরায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ হারেনি। এবার বাভুমার দলকে হারিয়ে সেই কীর্তি গড়লো শাহিন-বাবররা।