কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার কুটিগাও গ্রামে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কুটিরগাও গ্রামের প্রধান সড়কসহ অলিগলিসহ সবকটি সড়ক ডুবে গেছে। এছাড়া ও বেশ কিছু বাসা বাড়িতেও উঠে গেছে বৃষ্টির পানি। আর এতে করে নষ্ট হয়ে গেছে অনেকেরই ঘরে থাকা মালামাল। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামের মানুষ জন।

বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। বৃষ্টির পানিতে গ্রামের বেশির ভাগ সড়ক ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী ও অফিস আদালতগামী লোকজনেরা।

বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় দুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করেছে। ওই গ্রামে ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিকল্পনা মত না হওয়ায় এবং টেকসই ভাবে রাস্তার কাজ না করায় প্রতি বছরই বৃষ্টির মৌসুমে এমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এই গ্রামবাসীদের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ওই গ্রামের পূবালী ব্যাংকের নিকটস্থ উভয়দিকে দুইটি প্রধান সড়ক কুটিরগাঁও গ্রামের বেতর প্রবেশ করেছে। যা ওই সড়ক দিয়ে উত্তর ও পূর্বদিকে খোয়াই নদীর পাড়ের সাথে মিলিত হয়েছে। অন্যদিকে গ্রামের ভেতরে অলিগলিতে সড়ক দিয়ে প্রবেশ করে দেখা গেছে। ওই গ্রামের সবকটি সড়ক ও রাস্তা গুলোতে ব্যাপক জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

শুধু প্রধান সড়কেই নয় কোন কোন সড়কে হাঁটু পানি পর্যন্ত লেগে আছে। এ গ্রামের প্রধান সড়ক গুলোতে তীব্র জলবদ্ধতার মধ্যেও চলাচল করছে রিক্সা, সিএনজি ও ছোট ছোট যানবাহন। অন্যদিকে গ্রামের সাধারণ মানুষেরা তীব্র জলবদ্ধতার মাঝেও কষ্ট করে রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন।

অনেক ছোট বড় দোকান পাঠেও উঠতে দেখা গেছে বৃষ্টির পানি। যে কারণে দিন দিন বাড়ছে দুর্ভোগের মাত্রা। গ্রামবাসীর অভিযোগ, এই সমস্যার বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন নিবেদন করেও কোন ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।

পৌর কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিচ্ছেন কিন্তু কোন সমাধান হচ্ছে না। গ্রামবাসীরা আরো জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সিক্সলেনের কাজ চলমান থাকা কালে কুটিরগাও গ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য মহাসড়কের নিচ দিয়ে ড্রেন অথবা কালভার্ট ব্যবহার করে পূর্ব দিকে গোলমরি খালের সাথে সংযোগ দিলে উক্ত জলাবদ্ধতা সমাধান হবে।