ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে অলিপুর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান Logo শিল্পের কঠিন বর্জ্যে হারিয়ে গেছে শায়েস্তাগঞ্জের সুতাং নদীর জলজ প্রাণি Logo মাধবপুরে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্যের চোরাচালান আটক Logo মঞ্চে উঠে আপ্লুত হামজা শুধু বললেন ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ Logo শায়েস্তাগঞ্জ থেকে অপহৃত শিশু বানিয়াচংয়ে উদ্ধার, আটক ৩ Logo বাড়ি ফেরা নিয়ে হামজা চৌধুরীর নিজ গ্রামে উৎসবের আমেজ Logo হবিগঞ্জে অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ Logo নবীগঞ্জে টিলা কেটে রাস্তা নির্মাণ ॥ চড়াদামে লালমাটি বিক্রি Logo আবরার হত্যা মামলা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল Logo হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ বন্ধের চক্রান্তের প্রতিবাদে শায়েস্তাগঞ্জে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

ঘরের মাঠে দ. আফ্রিকাকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক

আর কোনো দল যে কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি, এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তেমন কীর্তিই গড়ল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই ঘরের মাঠে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবালেন বাবর-রিজওয়ানরা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৬ রানের জয় পেয়েছে সফরকারীরা।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) জোহানেসবার্গে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। বৃষ্টির জন্য ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে। সাইম আইয়ুবের শতকের সাথে বাবর-রিজওয়ানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ৫ ওভার আগেই ২৭১ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।

আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সাইম আইয়ুবের শতকে দুর্দান্ত সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ৯৪ বলে ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সাইম। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কা একেকটি দৃষ্টিনন্দন শট।

তবে অপর ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের ব্যাট হাসেনি এদিন। বাবর আজম ৭১ বলে ৫২ রান করেন। অর্ধশতক তুলে নেন রিজওয়ানও। ৫২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক।

স্বাগতিকদের পক্ষে ৫৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাদা। ২টি করে উইকেট নেন মারকো জানসেন ও বিয়র্ন ফুরচুইন। ১টি করে উইকেট নেন কোয়েনা মাফাকা ও করবিন।

ডি-এল মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ৩০৮ রানই। দল হেরে যাওয়ায় বৃথা হয় হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট হাতে দুরন্ত লড়াই।

ক্লাসেন ৪৩ বলে ৮১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া স্বাগতিকদের পক্ষে টনি ডি’জর্জি ২৬, রাসি ভ্যান ডার দাসেন ৩৫, মারকো জানসেন ২৬, করবিন ৪০ করলে ২৭১ রানে শেষ হয় দ. আফিকার ইনিংস।

পাকিস্তানের পক্ষে ৫২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন সুফিয়ান মুকিম। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।

ম্যাচের পাশাপাশি সিরিজসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও ওঠে সাইম আইয়ুবের হাতে।

উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্বের কোনো দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। অর্থাৎ, প্রোটিয়ারা এর আগে নিজেদের ডেরায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ হারেনি। এবার বাভুমার দলকে হারিয়ে সেই কীর্তি গড়লো শাহিন-বাবররা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
২৭ বার পড়া হয়েছে

ঘরের মাঠে দ. আফ্রিকাকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান

আপডেট সময় ০৮:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আর কোনো দল যে কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি, এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তেমন কীর্তিই গড়ল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই ঘরের মাঠে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবালেন বাবর-রিজওয়ানরা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৬ রানের জয় পেয়েছে সফরকারীরা।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) জোহানেসবার্গে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। বৃষ্টির জন্য ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে। সাইম আইয়ুবের শতকের সাথে বাবর-রিজওয়ানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ৫ ওভার আগেই ২৭১ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।

আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সাইম আইয়ুবের শতকে দুর্দান্ত সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ৯৪ বলে ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সাইম। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কা একেকটি দৃষ্টিনন্দন শট।

তবে অপর ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের ব্যাট হাসেনি এদিন। বাবর আজম ৭১ বলে ৫২ রান করেন। অর্ধশতক তুলে নেন রিজওয়ানও। ৫২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক।

স্বাগতিকদের পক্ষে ৫৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাদা। ২টি করে উইকেট নেন মারকো জানসেন ও বিয়র্ন ফুরচুইন। ১টি করে উইকেট নেন কোয়েনা মাফাকা ও করবিন।

ডি-এল মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ৩০৮ রানই। দল হেরে যাওয়ায় বৃথা হয় হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট হাতে দুরন্ত লড়াই।

ক্লাসেন ৪৩ বলে ৮১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া স্বাগতিকদের পক্ষে টনি ডি’জর্জি ২৬, রাসি ভ্যান ডার দাসেন ৩৫, মারকো জানসেন ২৬, করবিন ৪০ করলে ২৭১ রানে শেষ হয় দ. আফিকার ইনিংস।

পাকিস্তানের পক্ষে ৫২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন সুফিয়ান মুকিম। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।

ম্যাচের পাশাপাশি সিরিজসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও ওঠে সাইম আইয়ুবের হাতে।

উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্বের কোনো দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। অর্থাৎ, প্রোটিয়ারা এর আগে নিজেদের ডেরায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ হারেনি। এবার বাভুমার দলকে হারিয়ে সেই কীর্তি গড়লো শাহিন-বাবররা।