ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পূজা উদযাপন পরিষদের এক নেতার আহ্বানে তারা গান করে, গ্রেপ্তার ১

ডেস্ক রিপোর্ট

চট্টগ্রামের একটি পূজা মণ্ডপে ‘ইসলামিক গান’ গাওয়া নিয়ে তীব্র আলোচনা তৈরি হয়েছে। সেই গানের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা আলোচনায় মাতেন নেটিজেনরা। তবে এরমধ্যে জানা গেছে, নগর পূজা উদযাপন পরিষদের এক নেতার আহ্বানে ব্যক্তি পরিচালিত একটি দল এই গান পরিবেশন করে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরের জেএমসেন হলের পূজা মণ্ডপে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি ইসলামিক গানের দল ওই গান পরিবেশন করে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই গানের দলের ছয় সদস্য গান পরিবেশন করতে মঞ্চে ওঠেন।

সংগঠনটি শাহ্ আবদুল করিমের লেখা বিখ্যাত গান ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং চৌধুরী আবদুল হালিমের লেখা ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’-শীর্ষক গান দুটি পরিবেশন করে। এর মধ্যে শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান-গানটির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই গান গাওয়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পূজা উদযাপন কমিটির এক নেতার আমন্ত্রণে সংগঠনটি ওই পূজা মণ্ডপে গান করতে যায়। তবে গান গাওয়ার পরে সনাতন ধর্মের মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি-র সভাপতি সেলিম জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পূজা উদযাপন পরিষদের সজল বাবু আমাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তিনি ফোন করে বলেন ‘‘আপনারা একটু আসেন। আপনাদের একটু ফ্লোর (সুযোগ) দেব। কিছু দেশাত্মবোধাক গান গাইবেন।’’ সে আমন্ত্রণে গিয়ে আমাদের দলটি দুটি সম্প্রীতির গান করে। কিন্তু এটি নিয়ে একটা পক্ষ প্রচারণা চালাচ্ছে ষড়যন্ত্র করতেই আমরা গান করতে গিয়েছি। আমরা তো জোরপূর্বক কিছুই করিনি। দাওয়াত পেয়েই গিয়েছিলাম।’

চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি জামায়াতের কোনো গানের দল কিনা এমন প্রশ্নে সেলিম জামান বলেন, ‘এটি জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন নয়। শুদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চার উদ্দেশে ২০১৫ সালে আমাদের গানের দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।’

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, ‘আমাদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের অনুমতি নিয়ে ওই গানের দলটি পূজা মণ্ডপে এসে গান পরিবেশ করেছে বলে জেনেছি। তবে ওই সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।’ সংগঠনটি জামায়াতের কিনা এমন প্রশ্নে হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার জানা নেই।’

চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও প্রচার বিভাগের পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,কয়েকটি ছেলে মণ্ডপে গিয়ে সম্পৃতির গান গেয়েছে শুনলাম। তবে এদের সাথে জামায়াত বা শিবিরের কোন সম্পৃক্ততা নেই।।

এদিকে চট্টগ্রাম নগরে একটি পূজামণ্ডপে ‘ইসলামিক গান’ পরিবেশনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকালে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৩৩:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
২৫ বার পড়া হয়েছে

পূজা উদযাপন পরিষদের এক নেতার আহ্বানে তারা গান করে, গ্রেপ্তার ১

আপডেট সময় ১২:৩৩:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রামের একটি পূজা মণ্ডপে ‘ইসলামিক গান’ গাওয়া নিয়ে তীব্র আলোচনা তৈরি হয়েছে। সেই গানের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা আলোচনায় মাতেন নেটিজেনরা। তবে এরমধ্যে জানা গেছে, নগর পূজা উদযাপন পরিষদের এক নেতার আহ্বানে ব্যক্তি পরিচালিত একটি দল এই গান পরিবেশন করে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরের জেএমসেন হলের পূজা মণ্ডপে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি ইসলামিক গানের দল ওই গান পরিবেশন করে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই গানের দলের ছয় সদস্য গান পরিবেশন করতে মঞ্চে ওঠেন।

সংগঠনটি শাহ্ আবদুল করিমের লেখা বিখ্যাত গান ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং চৌধুরী আবদুল হালিমের লেখা ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’-শীর্ষক গান দুটি পরিবেশন করে। এর মধ্যে শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান-গানটির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই গান গাওয়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পূজা উদযাপন কমিটির এক নেতার আমন্ত্রণে সংগঠনটি ওই পূজা মণ্ডপে গান করতে যায়। তবে গান গাওয়ার পরে সনাতন ধর্মের মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি-র সভাপতি সেলিম জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পূজা উদযাপন পরিষদের সজল বাবু আমাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তিনি ফোন করে বলেন ‘‘আপনারা একটু আসেন। আপনাদের একটু ফ্লোর (সুযোগ) দেব। কিছু দেশাত্মবোধাক গান গাইবেন।’’ সে আমন্ত্রণে গিয়ে আমাদের দলটি দুটি সম্প্রীতির গান করে। কিন্তু এটি নিয়ে একটা পক্ষ প্রচারণা চালাচ্ছে ষড়যন্ত্র করতেই আমরা গান করতে গিয়েছি। আমরা তো জোরপূর্বক কিছুই করিনি। দাওয়াত পেয়েই গিয়েছিলাম।’

চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি জামায়াতের কোনো গানের দল কিনা এমন প্রশ্নে সেলিম জামান বলেন, ‘এটি জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন নয়। শুদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চার উদ্দেশে ২০১৫ সালে আমাদের গানের দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।’

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, ‘আমাদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের অনুমতি নিয়ে ওই গানের দলটি পূজা মণ্ডপে এসে গান পরিবেশ করেছে বলে জেনেছি। তবে ওই সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।’ সংগঠনটি জামায়াতের কিনা এমন প্রশ্নে হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার জানা নেই।’

চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও প্রচার বিভাগের পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,কয়েকটি ছেলে মণ্ডপে গিয়ে সম্পৃতির গান গেয়েছে শুনলাম। তবে এদের সাথে জামায়াত বা শিবিরের কোন সম্পৃক্ততা নেই।।

এদিকে চট্টগ্রাম নগরে একটি পূজামণ্ডপে ‘ইসলামিক গান’ পরিবেশনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকালে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।