ঢাকা ০১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে জমি বিরোধে কৃষক খুন Logo হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। Logo নবীগঞ্জে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ পুলিশ সুপার Logo বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে- নাহিদ ইসলাম Logo হবিগঞ্জে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ Logo শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে ঢলে ভেসে গেছে ব্রিজ, দুর্ভোগে মানুষ

ফুটবলপ্রেমীদের নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে হামজা-শমিতরা

স্পোর্টস ডেস্ক

সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। একের পর এক প্রবাসী ফুটবলার লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়াতে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান শীর্ষ লিগের বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দেশের ফুটবলে এক অন্যরকম উন্মাদনা বিরাজ করছে।

চলতি বছর ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা হামজা চৌধুরীর। তার সাথে এবার জাতীয় দল মাতাতে যোগ দেবেন ইতালিয়ান লিগে খেলা ফাহামিদুল ইসলাম এবং কানাডা লিগ মাতানো শমিত সোম। এর আগে জামাল ভূঁইয়া এবং তারিক কাজীর মতো প্রবাসী ফুটবলাররা বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন।

আগামী ১০ জুন এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে র‌্যাংকিংয়ে ২২ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই ম্যাচ ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ। বিশেষ করে প্রবাসী ফুটবলার শমিত সোম ও ফাহামিদুল ইসলামের সম্ভাব্য অভিষেক ঘিরে বাড়ছে প্রত্যাশার পারদ।

জাতীয় দলে একসঙ্গে হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামিদুলদের মতো প্রবাসী খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলে এনেছে নতুন মাত্রা। ফুটবল বিশ্লেষক ও সমর্থকরা মনে করছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এখন বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য শক্তি হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান এই পরিবর্তনকে দেখছেন খুবই ইতিবাচকভাবে। তিনি বলেন, ‘ফুটবলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ না হলে একজন হামজাও যথেষ্ট নয়। তাকে ঘিরে ভালো মানের দেশীয় খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামজার আগমনে আমাদের ফুটবলের ব্র্যান্ডিং অনেক বেড়েছে। এতে করে স্পন্সরদের আগ্রহও অনেক বেড়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রবাসী খেলোয়াড়দের উপর নির্ভরশীলতা নিয়ে ইমরুল হাসান বলেন, ‘শুধু প্রবাসীদের উপর ভরসা করে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ তারা সবসময় জাতীয় দলের জন্য ‘অ্যাভেইলেবল’ নাও থাকতে পারে। তাই ঘরোয়া খেলোয়াড়দেরও সেই মানে নিয়ে আসতে হবে।’

নতুন মুখ শমিত সোম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শমিতের প্রোফাইল অসাধারণ। তার অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে জাতীয় দলকে আরও শক্তিশালী করবে।’

তবে হামজা ও শমিতের মতো খেলোয়াড়দের ঘরোয়া লিগে দেখা যাবে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তাদের পারিশ্রমিক ও প্রোফাইল বিবেচনায় বাংলাদেশের ক্লাবগুলো এখনো তাদের দাবি পূরণে প্রস্তুত নয়। তাই ঘরোয়া লিগে খেলানো কঠিন হবে।’

বাংলাদেশ দলের এই নতুন রূপ নিয়ে আশাবাদী কোটি ভক্ত, যারা ১০ জুনের ম্যাচে মাঠে কিংবা পর্দায় চোখ রাখবেন দেশের সম্মান ধরে রাখার প্রত্যাশায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:১০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
৮৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

ফুটবলপ্রেমীদের নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে হামজা-শমিতরা

আপডেট সময় ০৮:১০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। একের পর এক প্রবাসী ফুটবলার লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়াতে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান শীর্ষ লিগের বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দেশের ফুটবলে এক অন্যরকম উন্মাদনা বিরাজ করছে।

চলতি বছর ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা হামজা চৌধুরীর। তার সাথে এবার জাতীয় দল মাতাতে যোগ দেবেন ইতালিয়ান লিগে খেলা ফাহামিদুল ইসলাম এবং কানাডা লিগ মাতানো শমিত সোম। এর আগে জামাল ভূঁইয়া এবং তারিক কাজীর মতো প্রবাসী ফুটবলাররা বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন।

আগামী ১০ জুন এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে র‌্যাংকিংয়ে ২২ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই ম্যাচ ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ। বিশেষ করে প্রবাসী ফুটবলার শমিত সোম ও ফাহামিদুল ইসলামের সম্ভাব্য অভিষেক ঘিরে বাড়ছে প্রত্যাশার পারদ।

জাতীয় দলে একসঙ্গে হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামিদুলদের মতো প্রবাসী খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলে এনেছে নতুন মাত্রা। ফুটবল বিশ্লেষক ও সমর্থকরা মনে করছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এখন বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য শক্তি হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান এই পরিবর্তনকে দেখছেন খুবই ইতিবাচকভাবে। তিনি বলেন, ‘ফুটবলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ না হলে একজন হামজাও যথেষ্ট নয়। তাকে ঘিরে ভালো মানের দেশীয় খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামজার আগমনে আমাদের ফুটবলের ব্র্যান্ডিং অনেক বেড়েছে। এতে করে স্পন্সরদের আগ্রহও অনেক বেড়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রবাসী খেলোয়াড়দের উপর নির্ভরশীলতা নিয়ে ইমরুল হাসান বলেন, ‘শুধু প্রবাসীদের উপর ভরসা করে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ তারা সবসময় জাতীয় দলের জন্য ‘অ্যাভেইলেবল’ নাও থাকতে পারে। তাই ঘরোয়া খেলোয়াড়দেরও সেই মানে নিয়ে আসতে হবে।’

নতুন মুখ শমিত সোম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শমিতের প্রোফাইল অসাধারণ। তার অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে জাতীয় দলকে আরও শক্তিশালী করবে।’

তবে হামজা ও শমিতের মতো খেলোয়াড়দের ঘরোয়া লিগে দেখা যাবে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তাদের পারিশ্রমিক ও প্রোফাইল বিবেচনায় বাংলাদেশের ক্লাবগুলো এখনো তাদের দাবি পূরণে প্রস্তুত নয়। তাই ঘরোয়া লিগে খেলানো কঠিন হবে।’

বাংলাদেশ দলের এই নতুন রূপ নিয়ে আশাবাদী কোটি ভক্ত, যারা ১০ জুনের ম্যাচে মাঠে কিংবা পর্দায় চোখ রাখবেন দেশের সম্মান ধরে রাখার প্রত্যাশায়।