ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ Logo হবিগঞ্জ-১: রেজা কিবরিয়ার যোগদানে বিএনপিতে এখন ত্রিমুখী লড়াই Logo হবিগঞ্জের নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo ড. ফরিদুর রহমান বদলি, নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে খুন : অভিযুক্ত আটক Logo ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: শায়েস্তাগঞ্জে তরুণী গ্রেপ্তার Logo ৭ই নভেম্বর ও একজন দেশ প্রেমিক জিয়াউর রহমান Logo হবিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন নিয়ে তোড়জোর, বিএনপিতে যোগ দিলেন ড. রেজা কিবরিয়া, বদলে যাচ্ছে সমীকরণ! Logo হবিগঞ্জে ৮টির মধ্যে ৪ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ, বেড়েছে লোডশেডিং Logo হবিগঞ্জে চুনারুঘাট শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জে গুলিতে আহত আল আমিনের চোখ নষ্ট হয়েছে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় গুলিবিদ্ধ সিএনজি চালক আল আমিনের (৩৫) চোখ নষ্ট হয়েছে। সিলেট থেকে তাকে ঢাকা চক্ষু ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আহত আল আমিনের মামা রহমত আলী।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বাদ জুমা কোটা আন্দোলনকারীরা শহরের কোর্ট মসজিদ মার্কেট ও শহরের অপর প্রান্তে খোয়াই নদীর তীরে নূরুল হেরা জামে মসজিদের সামনে গণ মিছিলের আয়োজন করে। এ সময় সাইফুর রহমান টাউন হলের সামনে অবস্থান নেয় আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে নূরুল হেরা জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিল বের হলে আ.লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।

তারা আরও জানান, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। তখন আ.লীগ নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় হবিগঞ্জ পৌরশহরের উমেদনগর গ্রামের আতর আলীর ছেলে সিএনজি চালক আল আমিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আজ শনিবার তাকে ঢাকা চক্ষু ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়।

আহত আল আমিনের মামা রহমত আলী জানান, আহত আল আমিনের ঘাড়ে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আল আমিনের একটি চোখ নষ্ট হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আল আমিন জুতা কেনার জন্য বাজারে গেলে হঠাৎ সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এ সময় আল আমিন দৌড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার ঘাড়ে গুলি লাগে।

তিনি আরও জানান, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আল আমিন খুব গরিব অসহায়। তিনি সিএনজি চালিয়ে তার ছোট ৪ সন্তানকে নিয়ে জীপনযাপন করে আসছে। আমরা গরিব অসহায় মানুষ, কার কাছে বিচার চাইবো। ঋণ করে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
১১৩ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে গুলিতে আহত আল আমিনের চোখ নষ্ট হয়েছে

আপডেট সময় ০৮:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

হবিগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় গুলিবিদ্ধ সিএনজি চালক আল আমিনের (৩৫) চোখ নষ্ট হয়েছে। সিলেট থেকে তাকে ঢাকা চক্ষু ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আহত আল আমিনের মামা রহমত আলী।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বাদ জুমা কোটা আন্দোলনকারীরা শহরের কোর্ট মসজিদ মার্কেট ও শহরের অপর প্রান্তে খোয়াই নদীর তীরে নূরুল হেরা জামে মসজিদের সামনে গণ মিছিলের আয়োজন করে। এ সময় সাইফুর রহমান টাউন হলের সামনে অবস্থান নেয় আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে নূরুল হেরা জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিল বের হলে আ.লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।

তারা আরও জানান, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। তখন আ.লীগ নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় হবিগঞ্জ পৌরশহরের উমেদনগর গ্রামের আতর আলীর ছেলে সিএনজি চালক আল আমিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আজ শনিবার তাকে ঢাকা চক্ষু ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়।

আহত আল আমিনের মামা রহমত আলী জানান, আহত আল আমিনের ঘাড়ে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আল আমিনের একটি চোখ নষ্ট হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আল আমিন জুতা কেনার জন্য বাজারে গেলে হঠাৎ সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এ সময় আল আমিন দৌড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার ঘাড়ে গুলি লাগে।

তিনি আরও জানান, এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আল আমিন খুব গরিব অসহায়। তিনি সিএনজি চালিয়ে তার ছোট ৪ সন্তানকে নিয়ে জীপনযাপন করে আসছে। আমরা গরিব অসহায় মানুষ, কার কাছে বিচার চাইবো। ঋণ করে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি