১৪ দিন পর অবশেষে সচল ফেসবুক
১৪ দিন পর কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘটিত সহিংসতা ঘিরে বন্ধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সচল হয়েছে। বুধবার ( ৩১ জুলাই) বেলা ২টার পর থেকে মোবাইল ও কম্পিউটারে ফেসবুক সচল করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই ফেসবুক চালু হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। পরে বুধবার বেলা ২টার পরপরই ফেসবুক সচল হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিছুটা সময়ে জন্য সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলাম। সবকিছু বিবেচনা করে ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউবের কার্যক্রম পরিচালনা করতে আজকে থেকে আর কোনো বাধা থাকছে না। আমরা নির্দেশ দিয়েছি, আশা করি বিকেলের মধ্যে সবগুলো প্ল্যাটফর্ম চালু হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে সকালে অনলাইনে মেটা ও টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।
মেটার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, কীভাবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানি দেয়া হয়েছে। কোন অ্যাকাউন্ট থেকে, কোন পেজ থেকে সেটাও আমরা উল্লেখ করে বলেছি। কিছু ছবি ও ভিডিও তুলে ধরা হয়েছে এবং কিছু কিছু এডিট করা হয়েছে। ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডে বলা আছে, কোনো ধরনের ভিডিও-ছবি তারা তাদের প্ল্যাটফর্মে অ্যালাউ করে না। কিন্তু তারা বাংলাদেশে গত ১০ দিনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে মানেননি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অ্যাডাল্ট সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন প্রাইভেসি ভায়োলেশন সবগুলো ভঙ্গ করেছে এই পেজগুলো। যেগুলো একজন সংসদ সদস্য সম্পর্কে এবং আরো বেশ কিছু আমরা অভিযোগ দিয়েছি। তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা-ব্যক্তিগত সুরক্ষা, নারীর প্রতি অবমাননাকর। কিন্তু এটা খুবই অগ্রহণযোগ্য। তারা কনটেন্টগুলো এখনো রেখে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বলছি, ফেসবুক-ইউটিউবে গুজব ছড়িয়ে দেয়ার ফলে প্রাণহানি ও ক্ষতির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটার দায় তারা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।