আজমিরীগঞ্জে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা
এই বছর আজমিরীগঞ্জে আমন ধান দেরিতে রোপন করায় উপজেলায় কিছু কিছু স্থানে আমন ধান কাটা শুরু হলে ও বোরো ধান লাগানোর কর্মযজ্ঞ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বোরো ধানের চারা উৎপাদনের জন্য বীজ তলা তৈরি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে আজমিরীগঞ্জের ভিন্ন এলাকার কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এবার উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে মোট ৬৪৮ হেক্টর জমি বীজ তলা তৈরি লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে বীজ ও সার বীতরন করা হয়েছে।এর মধ্যে উফশী জাতের বীজ চার হাজার পাঁচশত ও হাইব্রিড বীজ তিন হাজার সাতশত কৃষকের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের এলাকাগুলোতে কৃষকদের বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কর্ম ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মত। কেউ বীজতলায় সেচ দিচ্ছে, কেউ বীজতলা চাষ করছে, অনেকেই মই দিয়ে বীজতলা সমান করতেছে। কেউ আবার সনাতন পদ্ধতিতে পা অথবা জমি মাপার বাশের তৈরি মাপ কাঠি দিয়ে জমি মেপে দিচ্ছে। কেউ আবার বীজতলার আইল বা বাতুর তুলছে অতি সুনিপুণ হাতে। আবার কোন কোন চাষি অঙ্কুরিত বীজ ধানগুলো বীজতলায় ছিটাচ্ছে (বপণ করছে) পরম যত্নে।
উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের পিঠাবাড়ি এলাকাগুলোতে এমনই দৃশ্য দেখতে পাওয়া গেছে। বীজতলার জন্য সাধারণত এসব নিচু ও খাল বিলের জমি নির্বাচন করা হয়ে থাকে। শুষ্ক মৌসুম বা নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এসব নিচু জমি ও বিলের পানি শুকিয়ে যায়। ঠিক তখনই শুরু হয় বীজতলা তৈরির এই মহোৎসব। কৃষকরা জানায়, আগে বীজ বপণ করতে পারলে ধানের চারা সতেজ সুন্দর হয়। আগাম বীজতলার চারা রোপণ করলে ধানের ফলন ভালো হয়।আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ লুৎফে আল মুঈজ মুঠোফোনে জানান এ বছর উপজেলায় ৬৪৮ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে বীজ ও সার বীতরন করা হয়েছে।এর মধ্যে উফশী জাতের বীজ চার হাজার পাঁচশত ও হাইব্রিড বীজ তিন হাজার সাতশত কৃষকের মধ্যে বিতরন করা হয়েছে।