রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,রোজার শুরুতেই দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো শায়েস্তাগঞ্জ ও চুনারুঘাটের বাজারেও বেড়েছে দ্রব্যমূল্য। উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগের পরও দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রনে আসার কোনো লক্ষণ নেই। শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ, পুরান বাজার, চুনারুঘাটসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ফল-সবজি থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্য। বিশেষ করে ইফতার ও সেহরির প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে অপ্রত্যাশিত ভাবে। বাজার গুলোতে পণ্যের দর যাচাইকালে দেখা যায়, লেবু, শসা, পোলট্রি মোরগ ও ছোলার দাম লাগামছাড়া। গত মাসেও ৮০ টাকায় বিক্রি হতো ভালো মানের ছোলা। এখন তা ১১০ টাকা। এ ছাড়া ৮০ টাকার চিনি বিক্রি হচ্ছে৮ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। রোজাদারদের জন্য তাৎক্ষণিক পুষ্টির জোগান দেওয়া সুস্বাদু খেজুরের দাম বেড়ে দ্বিগুণ। গতবারের ৩০০ টাকার খেজুর এবার ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর আলম নামে স্থানীয় এক ক্রেতা জানান, এখন খেজুর নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে। শুধু উচ্চবিত্তদের প্লেটেই এর স্থান হবে। সেহরিতে মাংসের স্বাদ নিতে পারবে না অনেক পরিবার। গেল কয়েক দিনে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজির জন্য ২২০-২৪০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি ৩৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৮০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর জাতভেদে প্রতি কেজি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৯০০ টাকায়। চুনারুঘাটের বেশ কয়েকজন মুরগির দোকানি জানান, ১৫ দিন আগেও সোনালি মুরগির কেজি ছিল ৩০০ টাকা। এখন তা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গরুর মাংসের বাজার আগে থেকেই চড়া। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। মাছের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। মাছ বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহে ১৫০ টাকায় যে ব্রিকেট বিক্রি করেছেন চলতি সপ্তাহে তার দাম ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি। বোয়াল মাছ গত সপ্তাহে ছিল ৫০০ টাকা কেজি, এখন তা ৫৫০ টাকা। প্রতিটি মাছের দাম বেড়ে গেছে রাতারাতি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুব আলম মাহবুব জানান, রমজান উপলক্ষে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।