ঢাকা ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শাহজিবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন: ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল হবিগঞ্জ Logo নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ, স্বামী গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে জমি বিরোধে কৃষক খুন Logo হবিগঞ্জে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। Logo নবীগঞ্জে “জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হবিগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ পুলিশ সুপার Logo বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে- নাহিদ ইসলাম Logo হবিগঞ্জে অর্ধশতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ Logo শায়েস্তাগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু

ছাত্রজনতা এক থাকলে দেশের যে কোন সংকট মোকাবেলা সম্ভব

অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেছেন, আমরা চাচ্ছি গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার করতে। এতদিন বিচার বিভাগ স্বাধীন ছিল না, এইভাবে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সকল প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র ও জনগনের জন্যে কাজ করবে। কোন রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নয়। সেইভাবে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আমাদের মধ্যে যে সম্প্রতি রয়েছে, অনেকেই চাইবে সেই সম্প্রতি ভেঙে দিতে। জাতীয় স্বার্থে আমরা যেমন একঅভিন্ন তা প্রমাণ করেছি, সামনেও তা প্রমান করতে হবে। এর মধ্যে যারা দাঙ্গা সৃষ্টি করবে তারাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে এবং আমাদের সম্প্রতি টিকিয়ে রাখতে হবে। এই হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের মানবিক মর্যাদা কেড়ে নিয়েছিল তা নি করতে হবে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফর উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের হাতে অস্ত্র ছিল না, গুলি ছিল না। আমাদের কাছে ছিল স্লোগান, আর বুক ভরা সাহস। তারা গুলি করেছে আমরা বুক পেতে দিয়েছি। এরমধ্যেই কিন্তু খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ছাত্রজনতা এক থাকলে দেশের যে কোন সংকট মোকাবেলা সম্ভব। আমাদের লক্ষ শুধু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন নয়। বরং এই পনেরো বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে ব্যবস্থা চালু করে গেছে এর বিপুল নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গা থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ধূসরকে উৎখাত করা। কোন ফ্যাসিস্ট ধূসরদের জায়গা এই বাংলাদেশে হবে না। এই গণঅভ্যুত্থানের পর অনেকেই মেনে নিতে পারেনি, অনেকের অন্তর জ্বালা শুরু হয়ে গেছে। তারা দেশে ও দেশের বাহিরে বসে আমাদের দেশে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে।

হাসিব বলেন, এই বিপ্লবের পরে তারা বলে উঠেছে বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয়। কিন্তু আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি এই দেশ একটি সম্প্রতির বাংলাদেশ। এই দেশের সনাতনী ভাই বোনেরা তাদের পূজা উৎসবের টাকা বন্যারর্তদের জন্য পাঠিয়েছিল আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মধ্যেমে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গণত্রাণ কর্মসূচিতে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই কাজ করেছিল। এটা বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ সম্প্রতির বাংলাদেশ।বাংলাদেশ সৌহার্দের বাংলাদেশ। বিদেশে বসে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে, জনতা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। যখন তারা বাঁধ খুলে দিয়েছে তখন তারা কি হিন্দু-মুসলিম দেখেছে?। যখন বর্ডারে তারা গুলি করে তখন তারা কি ধর্মীও পরিচয় দেখে। স্বর্ণা দাসকে যে গুলি করেছে, তখন কি পরিচয় দেখেছে। তারা আমাদেরকে বন্ধু রাষ্ট্র দেখে, আমরাও চাই বন্ধু হোক।কিন্তু এতদিন ধরে তারা যে আধিপত্ব করেছে, সেই আধিপত্ব আর চলতে দেয়া যাবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব এর সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন আশরাফুল আলম আলী, মোছাম্মৎ ছারা প্রমুখ। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির সমন্বয়ক লিপটন আলী, আদনান খান ঢাবি, হাফিজুল ইসলাম, সহ-সমন্বয়ক আমিরুল ইসলাম জীবন, আলী আব্বাস শাহীন, দেলোয়ার হোসাইন, জান্নাত তাবাসসুম, মোহাম্মদ শাকিল। ঢাবির প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন, আসিফ হোসেন, আফরাজ আল মাহমুদ, হেলাল নবীসহ মৌলভীবাজারের নেতৃৃবৃন্দরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৮৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, আজকের তারুণ্যের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। এই জাতি অর্ধশতাব্দি ধরে পিছিয়ে আছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে। অনেক অনেক নেতা আমরা পেয়েছি। অনেক বড় পরিচয় আমরা তাদের দিয়েছি। অনেক সম্মোধন আমরা করেছি। তারা কর্যত দায়িত্ব পেয়েই প্রমাণ করেছেন যে তারা এটার জন্য সঠিক ছিলেন না। যেমন শেখ মুজিবুর রহমানকে বলা হতো গণতন্ত্রের জন্য তিনি লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে তিনি সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার হয়েছেন। ঠিক তেমনি হাসিনাও। বাবা আর মেয়ে মিলে যৌথ চ্যাম্পিয়ান। এই ধরণের মানসিকতার দল একটি জাতি ও মানবতার জন্য ধ্বংস আর ধ্বংস। আমরা এধরণের ফ্যাসিবাদ থেকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। যে বাংলাদেশের জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমরা রক্তি দিয়েছেন। সেই বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মকে নিতে হবে। নিজেদেরকে গড়তে হবে বাংলাদেশ গড়ার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ তোমাকে আল্লাহ একটি মেধার সম্পদ দিয়েছেন। সেই সম্পদ, দেশ জাতি ও উম্মাহর জন্য কাজে লাগাতে হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে শিল্পকলা একাডেমীর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজেকে জানার চেষ্টা করো। নিজের লক্ষ্য ও গোল ঠিক করো। আল্লাহর কাছে দোয়া করো, যেন তিনি সঠিক ও যথার্থ লক্ষ্য ঠিক করার তাওফিক দান করেন। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ আর ওয়াসিমের বাংলাদেশ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এই সমাজেই এই মানুষ তৈরী হয়েছেন যারা- সমাজের পরিবর্তনের জন্য অবলিলায় নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। মেহরীনের মতো শিক্ষকরা এখনো আছেন। যারা শুধু শিক্ষক নন, মায়ের মতো নিজের জীবনে বিপন্ন করে অন্তত বিশটি শিশুকে বাঁচিয়েছেন। কতো মহান আর মহৎ হৃদয়ের মানুষ। এই দেশে যেন আর হাসিনারা তৈরী না হয়। এই দেশে আর যাতে ফ্যাসিবাদ তৈরী না হয়। আর যেন স্বৈরশাসন তৈরী না হয়। হাসিনাও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। দিনের বেলায় তাহাজ্জুদগুজারি এরকম নেতা নেত্রীর হাত থেকে যেন আল্লাহ বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। শুধূ নামাজ দিয়ে ভাল ও খারাপ মানুষ চিনতে পারবেন না। আমার চরিত্র, লেনদেনসহ সামগ্রীক জীবন দিয়েই বুঝতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবির সভাপতি তারেক মনোয়ার, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, ইউনিভার্সেল কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি এম. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক জেলা সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলাম, জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা। সংগীত পরিবেশনা করে মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ-মৌসাস ও জলপ্রপাত সাংস্কৃতিক সংসদ। জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় চার শত জিপিএ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

ছাত্রজনতা এক থাকলে দেশের যে কোন সংকট মোকাবেলা সম্ভব

আপডেট সময় ০৯:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেছেন, আমরা চাচ্ছি গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার করতে। এতদিন বিচার বিভাগ স্বাধীন ছিল না, এইভাবে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সকল প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র ও জনগনের জন্যে কাজ করবে। কোন রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নয়। সেইভাবে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আমাদের মধ্যে যে সম্প্রতি রয়েছে, অনেকেই চাইবে সেই সম্প্রতি ভেঙে দিতে। জাতীয় স্বার্থে আমরা যেমন একঅভিন্ন তা প্রমাণ করেছি, সামনেও তা প্রমান করতে হবে। এর মধ্যে যারা দাঙ্গা সৃষ্টি করবে তারাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে এবং আমাদের সম্প্রতি টিকিয়ে রাখতে হবে। এই হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের মানবিক মর্যাদা কেড়ে নিয়েছিল তা নি করতে হবে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফর উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের হাতে অস্ত্র ছিল না, গুলি ছিল না। আমাদের কাছে ছিল স্লোগান, আর বুক ভরা সাহস। তারা গুলি করেছে আমরা বুক পেতে দিয়েছি। এরমধ্যেই কিন্তু খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ছাত্রজনতা এক থাকলে দেশের যে কোন সংকট মোকাবেলা সম্ভব। আমাদের লক্ষ শুধু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন নয়। বরং এই পনেরো বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে ব্যবস্থা চালু করে গেছে এর বিপুল নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গা থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ধূসরকে উৎখাত করা। কোন ফ্যাসিস্ট ধূসরদের জায়গা এই বাংলাদেশে হবে না। এই গণঅভ্যুত্থানের পর অনেকেই মেনে নিতে পারেনি, অনেকের অন্তর জ্বালা শুরু হয়ে গেছে। তারা দেশে ও দেশের বাহিরে বসে আমাদের দেশে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে।

হাসিব বলেন, এই বিপ্লবের পরে তারা বলে উঠেছে বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয়। কিন্তু আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি এই দেশ একটি সম্প্রতির বাংলাদেশ। এই দেশের সনাতনী ভাই বোনেরা তাদের পূজা উৎসবের টাকা বন্যারর্তদের জন্য পাঠিয়েছিল আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মধ্যেমে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গণত্রাণ কর্মসূচিতে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই কাজ করেছিল। এটা বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ সম্প্রতির বাংলাদেশ।বাংলাদেশ সৌহার্দের বাংলাদেশ। বিদেশে বসে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে, জনতা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। যখন তারা বাঁধ খুলে দিয়েছে তখন তারা কি হিন্দু-মুসলিম দেখেছে?। যখন বর্ডারে তারা গুলি করে তখন তারা কি ধর্মীও পরিচয় দেখে। স্বর্ণা দাসকে যে গুলি করেছে, তখন কি পরিচয় দেখেছে। তারা আমাদেরকে বন্ধু রাষ্ট্র দেখে, আমরাও চাই বন্ধু হোক।কিন্তু এতদিন ধরে তারা যে আধিপত্ব করেছে, সেই আধিপত্ব আর চলতে দেয়া যাবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব এর সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন আশরাফুল আলম আলী, মোছাম্মৎ ছারা প্রমুখ। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির সমন্বয়ক লিপটন আলী, আদনান খান ঢাবি, হাফিজুল ইসলাম, সহ-সমন্বয়ক আমিরুল ইসলাম জীবন, আলী আব্বাস শাহীন, দেলোয়ার হোসাইন, জান্নাত তাবাসসুম, মোহাম্মদ শাকিল। ঢাবির প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন, আসিফ হোসেন, আফরাজ আল মাহমুদ, হেলাল নবীসহ মৌলভীবাজারের নেতৃৃবৃন্দরা।