ঢাকা ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মানবপ্রাচীর তৈরী করতে হবে-জি কে গউছ

নজরুল ইসলাম কাউসার হবিগঞ্জ প্র্রতিনিধিঃ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামীলীগ নেতারা দেশের সম্পদ লুটেপুটে খেয়েছে, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে।

তিনি বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে মানবপ্রাচীর তৈরী করতে হবে। যে কোনো অবস্থাতেই মানুষের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করতে দেয়া হবে না। আমাদেরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হবে।

তিনি গতকাল শুক্রবার বিকালে শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হত্যা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে বিএনপি হবিগঞ্জ জেলা, সকল উপজেলা, পৌরসভা ও সকল অঙ্গ সংগঠনের যৌথ মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ বলেন- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের এই জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। তাদের রক্তের বিনিময়ে একটি জালিম সরকারের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। দেশের জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য তারা যে আত্মত্যাগ করেছে তা বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুলবে না।

তাদের এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের বিজয় হয়েছে। এই বিজয়কে যাতে দুস্কৃতিকারীরা, সুযোগ সন্ধানীরা ম্লান করতে না পারে সেদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিএনপির কেউ এসব অপকর্মে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন।

জেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন শাহীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, ইসলাম তরফদার তনু, হাজী এনামুল হক, এডভোকেট এনামুল হক সেলিম ও এডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম, এডভোকেট আমিনুল ইসলাম, এম জি মোহিত, এম এ মন্নান, সরফরাজ চৌধুরী,

মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক এনামুল হক, আজিজুর রহমান কাজল, শামছুল ইসলাম মতিন, হাজী আবু তাহের, এডভোকেট শামছুল ইসলাম, শামছুল আলম, নকীব ফজলে রকিব মাখন, এডভোকেট মীর সিরাজ, হোসেন আহমেদ রাজন, ছালিক মিয়া, খালেদুর রশিদ ঝলক, ফজলুল করিম, কামাল আহমেদ চৌধুরী, গোলাপ খান, এডভোকেট মুদ্দত আহমেদ, এডভোকেট আবুল ফজল, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা মহিলাদলের সভাপতি এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন,

জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা তাতীদলের সভাপতি তোফায়েল ইসলাম কামাল, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ, সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, মফিজুর রহমান বাচ্চু, মর্তুজা আহমেদ রিপন, কারী কবির হোসেন প্রমুখ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:১৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
২১ বার পড়া হয়েছে

জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মানবপ্রাচীর তৈরী করতে হবে-জি কে গউছ

আপডেট সময় ০৫:১৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামীলীগ নেতারা দেশের সম্পদ লুটেপুটে খেয়েছে, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে।

তিনি বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে মানবপ্রাচীর তৈরী করতে হবে। যে কোনো অবস্থাতেই মানুষের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করতে দেয়া হবে না। আমাদেরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হবে।

তিনি গতকাল শুক্রবার বিকালে শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হত্যা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে বিএনপি হবিগঞ্জ জেলা, সকল উপজেলা, পৌরসভা ও সকল অঙ্গ সংগঠনের যৌথ মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ বলেন- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের এই জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। তাদের রক্তের বিনিময়ে একটি জালিম সরকারের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। দেশের জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য তারা যে আত্মত্যাগ করেছে তা বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুলবে না।

তাদের এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের বিজয় হয়েছে। এই বিজয়কে যাতে দুস্কৃতিকারীরা, সুযোগ সন্ধানীরা ম্লান করতে না পারে সেদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিএনপির কেউ এসব অপকর্মে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন।

জেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন শাহীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, ইসলাম তরফদার তনু, হাজী এনামুল হক, এডভোকেট এনামুল হক সেলিম ও এডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম, এডভোকেট আমিনুল ইসলাম, এম জি মোহিত, এম এ মন্নান, সরফরাজ চৌধুরী,

মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক এনামুল হক, আজিজুর রহমান কাজল, শামছুল ইসলাম মতিন, হাজী আবু তাহের, এডভোকেট শামছুল ইসলাম, শামছুল আলম, নকীব ফজলে রকিব মাখন, এডভোকেট মীর সিরাজ, হোসেন আহমেদ রাজন, ছালিক মিয়া, খালেদুর রশিদ ঝলক, ফজলুল করিম, কামাল আহমেদ চৌধুরী, গোলাপ খান, এডভোকেট মুদ্দত আহমেদ, এডভোকেট আবুল ফজল, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা মহিলাদলের সভাপতি এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন,

জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা তাতীদলের সভাপতি তোফায়েল ইসলাম কামাল, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ, সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, মফিজুর রহমান বাচ্চু, মর্তুজা আহমেদ রিপন, কারী কবির হোসেন প্রমুখ।