শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৫ অপরাহ্ন

জহুরচান বিবি মহিলা কলেজের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জের জহুরচান বিবি মহিলা কলেজের সীমানা প্রাচীরের একাংশ জোরপূর্বক ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বুধবার। কলেজ বন্ধের দিন কলেজ কর্তৃপক্ষের অগোচরে ১২ বছর পূর্বে নির্মিত কলেজের সীমানা প্রাচীর ভাঙার খবরে কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও
এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সরকারি ছুটি থাকায় বুধবার কলেজ বন্ধ ছিল। সীমানা প্রাচীর ভাঙার খবর পেয়ে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শায়েস্তাগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। পুলিশি নিষেধজ্ঞা অমান্য করে কলেজ বন্ধের দিন কলেজ কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলা বেআইনী, যা শায়েস্তাগঞ্জের নারী শিক্ষাকে হুমকির মূখে ফেলে দিচ্ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান জানান, নারী শিক্ষা বিস্তারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সারা দিয়ে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ এডভোকেট মোঃ আবু জাহিরের অনুপ্রেরণায় ও স্থানীয় জনগণের উৎসাহে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আব্দুল
কবির তাঁর মায়ের নামে ২০০৯ সালে কলেজটি নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৯ সালে কলেজটি এমপিও ভূক্ত হয়। বর্তমানে পাঁচ শতাধিক ছাত্রী এখানে অধ্যয়ন করছে। কলেজের ডিগ্রি কোর্স চালু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কলেজের কার্যক্রম সম্প্রসারণ এর প্রয়োজনে অত্র কলেজ সংলগ্ন সরকারি পতিত ভূমি কলেজের নামে দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্ত দেয়া হয়। কলেজ সংলগ্ন অবশিষ্ট জায়গা কলেজের ভোগ দখলে রয়েছে। সে জায়গা বন্দোবস্ত পাওয়ার হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। সে আবেদনপত্রে হবিগঞ্জ-৩ আসনে সাংসদ এডভোকেট মোঃ আবু জাহির মহোদয়ের সুপারিশ রয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণকৃত কলেজের প্রার্থীত জমি দীর্ঘদিন অব্যবহ্নত পতিত এবং কলেজের ভোগ দখলে থাকায় সরজমিন প্রতিবেদন দিয়ে উক্ত ভূমি ডি-রিকুইজিশনের মাধ্যমে ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত করে নারী শিক্ষার স্বার্থে কলেজকে প্রদানের জন্য সুপারিশ করে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস। এই জায়গা বর্তমানে কলেজের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে রয়েছে। বন্দোবস্তকৃত জমিতে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দুতলা একটি একাডেমিক ভবন রয়েছে। কলেজের দক্ষিণ পাশে রাস্তার সংলগ্ন সীমানা প্রাচীরের একাংশ বুধবার সকালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মজিদের উপস্থিতি ও নির্দেশে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড হবিঞ্জের অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন লোক হাতুড়ী, শাবুল ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সাহায্যে সদল বলে সন্ত্রাসী কায়দায় ভেঙে ফেলে। এতে কলেজের আর্থিক ক্ষতি বিশেষ করে কলেজ ও ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পরেছে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.