ডিবি পুলিশকে আটকে চটকে পড়লেন চেয়ারম্যান
মৌলভীবাজারের রাজনগরে মুন্সিবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাহেল হোসেনকে আটক করতে গিয়ে ডিবি পুলিশ হেনেস্থার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ২/৩ জন আহত হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া যায়। তবে ডিবি পুলিশের ওসি অভিযানের কথা স্বীকার করলেও হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এদিকে ডিবি পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদের সিসি ক্যামেরার রেকর্ডিং মেশিন খুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাজনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরে সাথে হামলায় অংশ নিয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছুদিন থেকে ছবি ও লেখা প্রচার হচ্ছে। চেয়ারম্যান রাহেল হোসেনকে আটকের জন্য মৌলভীবাজার ডিবি পুলিশ ইতিমধ্যে কয়েকবার অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে কখনোই আটক করতে পারেনি। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে চেয়ারম্যান রাহেল হোসেন ইউনিয়ন পরিষদে ছিলেন। এমন সময় তাকে আটকের জন্য ডিবি পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ গাড়ি নিয়ে ইউনিয়নের গেটের ভিতরে ঢোকলে চেয়ারম্যানের অনুসারিরা ডিবি পুলিশের গাড়ি ভিতরে রেখে গেট লাগিয়ে দেয়। পুলিশ ও চেয়ারম্যানের লোকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। অভিযোগ রয়েছে এসময় পুলিশের কেউ আহত হয়েছেন। এদিকে ডিবির গাড়ি আটকে রাখার খবর পেয়ে রাজনগর থানার ওসি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে যাওয়ার আগেই গেট খুলা হয়েছে বলে জানান রাজনগর থানার ওসি।
নাম গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ডিবি পুলিশ চেয়ারম্যানকে আটকের জন্য পরিষদে গেলে চেয়ারম্যানের ড্রাইভার ও লোকজন ডিবি পুলিশের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করে চেয়ারম্যানকে ছাড়িয়ে নেয়। এ সময় পরিষদের গেট লাগিয়ে ডিবি পুলিশকে আটকে রাখা হয়। পরে গেট খোলা হয়।
এব্যাপারে জানতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাহেল হোসেনের সাথে কথা বলতে মুঠোফনে একাধিকবার কল দিয়েও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আবু জাফর বলেন, আমরা একটা ইনফরমেশন পেয়ে ইউনিয়নে গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যানকে আটক করা যায়নি। তবে পুলিশের ওপর হামলা ও আহতের বিষয়টি তিনি এরিয়ে যান। সিসিটিভির ডিভিআর খুলে নেয়ার বিষয়ে বলেন, আমরা একটা কাজে নিয়ে এসেছিলাম। তাদের সাথে কথা হয়েছে। তারা নিয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে রাজনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদুল হাসান খান বলেন, ওরা অভিযানে আসছিল। ডিবি পুলিশের ফোন পেয়ে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। যাওয়ার আগেই গেট খুলে দেয়া হয়। আহতের বিষয়টি আমার জানা নেই।