ঢাকা ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের গুলিতে নিহত ৯টি পরিবারকে জি কে গউছের সাড়ে ৪ লাখ টাকা অনুদান

নজরুল ইসলাম কাউসার হবিগঞ্জ প্র্রতিনিধিঃ

বানিয়াচঙ্গে ও হবিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ৯টি পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে সাড়ে ৪ লাখ টাকা প্রদান করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ।

সোমবার নিহত প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে তিনি এই টাকা প্রদান করেন। সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে এই টাকা প্রদান করা হয়। এ সময় জি কে গউছ বলেন- জনরুষে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল।

সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করেছিল। আমরা যারা বিএনপি করি আমাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমাদেরকে বার বার কারাগারে যেতে হয়েছে। দেশের সর্বক্ষেত্রে দলীয় করণ করা হয়েছিল। এই অবস্থায় বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলে।

এতে দেশের সকল মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করে রাজপথে নেমে আসে। এই আন্দোলনকে দমণ করতে শেখ হাসিনার নির্দেশে পাখির মত গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। এই আন্দোলনে বানিয়াচঙ্গের ৮জন সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের যথাযথ সম্মান নিশ্চিত করতে বিএনপি কাজ শুরু করেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। যে কোনো প্রয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পাশে থাকবে বিএনপি। তিনি বলেন- ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু আওয়ামীলীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। যারাই বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী এনামুল হক, বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মজিবুল হাসান মারুফ, সাবেক আহ্বায়ক হাজী লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নকিব ফজলে রকিব মাখন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম ফরিদ,

হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ছালেক, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, মহসিন সিকদার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক জিল­ুর রহমান, সহ সভাপতি মহিবুর রহমান শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, লাখাই উপজেলা যুবদলের আহŸায়ক মাহমুদুল হাসান, ছাত্রদল নেতা শাহ মুরাদ, মোজাক্কির হোসেন ইমন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বানিয়াচঙ্গে ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কামালখানি মহল্লার মৃত আলী হোসেনের পুত্র শেখ নয়ন হোসেন (২০), বন্দের বাড়ি মহল্লার মৃত মোঃ তাহের আলীর পুত্র আকিনূর রহমান (৩২), মীর মহল্লার ধলাই মিয়ার পুত্র সাদিকুর রহমান (৩০), খন্দকার মহল্লা মৃত আবুল হোসেনের পুত্র মোঃ আনাছ মিয়া (১৯), পাড়াগাও মহল্লার শমশের আলীর পুত্র মোজাকির মিয়া (৩৪), যাত্রাপাশার ছানো মিয়ার পুত্র হাসান মিয়া (১৭), মাইজের মহল্লার বটের হাটির আব্দুর নুর মিয়ার পুত্র আশরাফুল (১৭) ও যাতুকর্ন পাড়ার আব্দুর রউফের পুত্র তোফাজুল মিয়া (১৮) এবং হবিগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার সাথে আওয়ামীলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন অনন্তপুর এলাকার রিপন শীল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
১৭ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের গুলিতে নিহত ৯টি পরিবারকে জি কে গউছের সাড়ে ৪ লাখ টাকা অনুদান

আপডেট সময় ১২:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

বানিয়াচঙ্গে ও হবিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ৯টি পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে সাড়ে ৪ লাখ টাকা প্রদান করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ।

সোমবার নিহত প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে তিনি এই টাকা প্রদান করেন। সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে এই টাকা প্রদান করা হয়। এ সময় জি কে গউছ বলেন- জনরুষে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল।

সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করেছিল। আমরা যারা বিএনপি করি আমাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমাদেরকে বার বার কারাগারে যেতে হয়েছে। দেশের সর্বক্ষেত্রে দলীয় করণ করা হয়েছিল। এই অবস্থায় বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলে।

এতে দেশের সকল মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করে রাজপথে নেমে আসে। এই আন্দোলনকে দমণ করতে শেখ হাসিনার নির্দেশে পাখির মত গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। এই আন্দোলনে বানিয়াচঙ্গের ৮জন সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের যথাযথ সম্মান নিশ্চিত করতে বিএনপি কাজ শুরু করেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। যে কোনো প্রয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পাশে থাকবে বিএনপি। তিনি বলেন- ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু আওয়ামীলীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। যারাই বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী এনামুল হক, বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মজিবুল হাসান মারুফ, সাবেক আহ্বায়ক হাজী লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নকিব ফজলে রকিব মাখন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম ফরিদ,

হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ছালেক, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, মহসিন সিকদার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক জিল­ুর রহমান, সহ সভাপতি মহিবুর রহমান শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, লাখাই উপজেলা যুবদলের আহŸায়ক মাহমুদুল হাসান, ছাত্রদল নেতা শাহ মুরাদ, মোজাক্কির হোসেন ইমন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বানিয়াচঙ্গে ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কামালখানি মহল্লার মৃত আলী হোসেনের পুত্র শেখ নয়ন হোসেন (২০), বন্দের বাড়ি মহল্লার মৃত মোঃ তাহের আলীর পুত্র আকিনূর রহমান (৩২), মীর মহল্লার ধলাই মিয়ার পুত্র সাদিকুর রহমান (৩০), খন্দকার মহল্লা মৃত আবুল হোসেনের পুত্র মোঃ আনাছ মিয়া (১৯), পাড়াগাও মহল্লার শমশের আলীর পুত্র মোজাকির মিয়া (৩৪), যাত্রাপাশার ছানো মিয়ার পুত্র হাসান মিয়া (১৭), মাইজের মহল্লার বটের হাটির আব্দুর নুর মিয়ার পুত্র আশরাফুল (১৭) ও যাতুকর্ন পাড়ার আব্দুর রউফের পুত্র তোফাজুল মিয়া (১৮) এবং হবিগঞ্জ শহরে ছাত্র-জনতার সাথে আওয়ামীলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন অনন্তপুর এলাকার রিপন শীল।