শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:১৯ অপরাহ্ন

“”ভূতের ধন””

 মোঃ ইয়াসিন আহমেদ রাফি
১ম অংশে ভূতের ধন গল্পের ভূতনাথের পরিচয় এবং জমিদার বাড়ির বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল।আজ ভূতের ধন গল্পের ২য় অংশ —-
মেয়েটিকে স্থির দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভূতনাথ বলে উঠল কী হলো দাঁড়িয়ে আছো যে?
তখন মেয়েটি বলল, না মানে
আমি এখানে এসেছি একটা বিশেষ কাজের জন্য।
তখন ভূতনাথ বলে উঠল সেটা তো জানি কিন্তু বিশেষ কাজটা কী?
তখন মেয়েটি ভূতনাথকে খুঁজতে শুরু করে এবং বলতে থাকে আমি এই জমিদার বাড়িতে এসেছি একটা রহস্যের সমাধান করার জন্য।
আপনি কী আমাকে সাহায্য করবেন?
তখন ভূতনাথ বলে উঠল নাহ, না,না না বাবা
আমি অসব পারব না।
তখন মেয়েটি বলল
আসলে আমি একজন গোয়েন্দা।
ভূতনাথ চিৎকার করে বলে উঠল  আমি থাকতে এই এলাকায় আর কোনো গোয়েন্দার দরকার নেই তো।
কে তোমাকে এখানে আসতে বলেছে?
মেয়েটি বলল কয়েকদিন আগে একজন বৃদ্ধ এসেছিলেন আমার কাছে।  তিনি আমাকে একটা অদ্ভুত চাবি আর এই জমিদার বাড়ির ঠিকানা দিয়ে বলেছিলেন এই জমিদার বাড়িতে একটা মস্ত বড় রহস্য আছে আমি যেন সেই রহস্য সমাধান করি।
ভূতনাথ কিছুটা অবাক হলো
এবং বলল কে সেই বৃদ্ধ?
কী নাম তার?
সে কোনো পরিচয় দেয়নি?
তখন মেয়েটি বলে উঠল পরিচয় দিয়েছেন তো তিনি বলেছিলেন তার নাম ভূত।
ভূতনাথ অবাক হয়ে বলল কী বললে! ভূত !
ভূত আবার কারো নাম হয় নাকি?
তখন মেয়েটি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল তিনি তো তার নাম বলেছিলেন ভূত।
ভূতনাথ বলল কার সাথে ফাজলামি করছ জানো?
মেয়েটি বলল না জানি না।
ভূতনাথ বেশ উচ্চস্বরে বলল আমি একজন গোয়েন্দা মস্ত বড় গোয়েন্দা। গ্রামের সব সমস্যা আমি ই সমাধান করি।
তখন মেয়েটি বলল আরে বাহ বেশ সুবিধাই হলো তাহলে আমার একজন সহকারীর দরকার। আপনাকে আমার এই রহস্য সমাধানের সহকারী বানাব।
ভূতনাথ তো রেগে আগুন সে বলে উঠল সহযোগী মানে! আমাকে কি ছোট গোয়েন্দা মনে হয় নাকি?
মেয়েটি ভূতনাথকে প্রশ্ন করল, তবে আমরা  দুইজন এক হয়ে এই রহস্যের সমাধান করি?
ভূতনাথ কিছুটা ভেবে বলল তা হতে পারে।
কিন্তু কই দেখালে না তো। সেই অদ্ভুত চাবিটা।
তখন মেয়েটি তারাহুরো করে ব্যাগ থেকে সেই চাবিটা বেড় করল এবং হাত উপরে করে বলল এই যে এই সেই চাবি।
এবার তো আপনি আমাকে দেখা দিন।
দেখা না  দিলে এই রহস্যের সমাধান করব কিভাবে?
ভূতনাথ বলল তাহলে তুমি ঐ দূরে মাঠের মাঝখানে যাও আমি সেখানে আসছি।এখানে তুমি আমাকে যতবার ই  দেখবে ততবারই জ্ঞান হারাবে।
যেমন কথা তেমন কাজ মেয়েটি চলে গেল সেই মাঠের মাঝখানে। ভূতনাথ ও গেল এইবার আমাদের ভূতনাথকে  দেখে মেয়েটি ভয় পায়নি।
ভূতনাথ প্রথমেই বলে উঠল কই চাবি টা দাও দেখি।
মেয়েটি ভূতনাথের হাতে ভয়ে ভয়ে চাবিটা দিল।
ভূতনাথ চাবিটা  দেখে বলল আসলেই তো চাবিটা অদ্ভুত।
কি যেন লিখা ও আছে এই চাবির গায়ে।
মেয়েটি অবাক হয়ে দেখল আসলেই কি যেন লিখা আছে।
ভূতনাথ বলল এটা কি কোনো গুপ্তধনের চাবি?
মেয়েটি যেন রহস্যের সমাধান পেয়ে গেছে
সে বলে উঠল হতে পারে।
কিন্তু চাবির গায়ে কী লেখা?
কোথায় এই চাবির তালা?
আসলেই কী চাবিটা কোনো গুপ্তধনের?
এরকম হাজারো প্রশ্ন তাদের মাথায় ঘুরতে থাকল।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,চলবে।
অপেক্ষা করুন ৩য় অংশের জন্য

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.