ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

হবিগঞ্জে সাবেক এমপি জাহিরসহ ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহিরকে প্রধান আসামি করে রিপন শীল হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহতের মা রুবী রানী শীল বাদি হয়ে হবিগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।

হবিগঞ্জ থানার ওসি নূরুল আলম জানান, মামলায় ৫৯ জনের নামোল্লেখ ও প্রায় ২শ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামিভুক্ত করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, আবু জাহির ছাড়াও তার ছেলে ইফাত জামিল, ভাতিজা মহসিন মিয়া, ব্যক্তিগত সহকারী সুদীপ দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ শামসুল হক, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শংখ শুভঙ্কর রায়, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান শামীম, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, সাবেক সভাপতি ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুশফিউল আলম আজাদ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল,হবিগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, বানিয়াচঙ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহিসহ আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।

গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনকারীদের মিছিল বের হয়। মিছিলটি টাউন হলের কাছে পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ ও এর অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে ছাত্র জনতাকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোঁড়া গুলিতে পথচারি রিপন শীল বুকে ও পিটে গুলিবিদ্ধ হন।

আহতাবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান। ঘটনাস্থলে রিপন শীলকে বাঁচাতে ভাই শিপন শীল এগিয়ে এলে তিনিও পেটে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় আসামিদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এতোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে হবিগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র হামজাসহ অনেক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৩৭:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
৩৬ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে সাবেক এমপি জাহিরসহ ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

আপডেট সময় ০৭:৩৭:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহিরকে প্রধান আসামি করে রিপন শীল হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহতের মা রুবী রানী শীল বাদি হয়ে হবিগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।

হবিগঞ্জ থানার ওসি নূরুল আলম জানান, মামলায় ৫৯ জনের নামোল্লেখ ও প্রায় ২শ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামিভুক্ত করা হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, আবু জাহির ছাড়াও তার ছেলে ইফাত জামিল, ভাতিজা মহসিন মিয়া, ব্যক্তিগত সহকারী সুদীপ দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ শামসুল হক, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শংখ শুভঙ্কর রায়, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান শামীম, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, সাবেক সভাপতি ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুশফিউল আলম আজাদ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল,হবিগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, বানিয়াচঙ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহিসহ আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।

গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনকারীদের মিছিল বের হয়। মিছিলটি টাউন হলের কাছে পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ ও এর অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে ছাত্র জনতাকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোঁড়া গুলিতে পথচারি রিপন শীল বুকে ও পিটে গুলিবিদ্ধ হন।

আহতাবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান। ঘটনাস্থলে রিপন শীলকে বাঁচাতে ভাই শিপন শীল এগিয়ে এলে তিনিও পেটে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় আসামিদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এতোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে হবিগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র হামজাসহ অনেক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হন।