শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৮ অপরাহ্ন

আমাকে আজীবন কারাগারে রাখতেই হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছিল জি কে গউছ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- আমাকে আজীবন কারাগারে রাখতেই হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছিল। কিন্তু মানুষের দোয়ায় আর মহান আল্লাহর দয়ায় আওয়ামীলীগের সকল ষড়যন্ত্রের জাল চিহ্ন করে আমি জনগণের মধ্যে ফিরে এসেছি। আমাকে কারাগারে হত্যা করতে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল, কিন্তু মহান আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। কোনো ষড়যন্ত্র করে আমাকে জনগণ থেকে পৃথক করা যাবে না। যতদিন বেচেঁ থাকবো মানুষের কল্যাণে কাজ করবো, নিজেকে জনসেবায় নিয়োজিত রাখবো, ইনশাআল্লাহ। তিনি গতকাল সোমবার রাতে হবিগঞ্জ পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আনোয়ারপুরে উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি, গ্যাস বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে এই উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জি কে গউছ আরও বলেন- গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্যই হচ্ছে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া। যা আওয়ামীলীগ বিশ্বাস করে না। আমরা বলি আমার ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো। আর আওয়ামীলীগ বলে আমার ভোট আমি দিবো, তোমার ভোটও আমি দিবো। এটার নাম গণতন্ত্র হতে পারে না, এটা স্বৈরতন্ত্র। তাই আওয়ামীলীগকে আর নির্বাচনের নামে প্রহসন করতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন- আমি হবিগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্ব নিয়েই মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। দল ও মতের গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। জনগণকে পৌরসভার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। পৌর এলাকার কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা-মাতার দায়িত্ব নিয়ে গণবিয়ের আয়োজন করেছি। দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের সুন্নাতে খতনার ব্যবস্থা করেছি। পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের উপহার দিয়েছি। অর্থের অভাবে যেসব শিক্ষার্থী পড়ালেখা করতে পারেনি তাদের দায়িত্ব নিয়েছি। বই দিয়েছি, ড্রেস দিয়েছি, ব্যাগ দিয়েছি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতনের ব্যবস্থা করেছি। পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালী জাতির ঐতিহ্য। তাই পৌরসভায় বৈশাখী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। পৌরসভার মাঠে খতমে কোরআন মাহফিল করেছি। পৌর এলাকার পবিত্র হজ্বযাত্রীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। পৌরসভার পক্ষ থেকে হজ্বযাত্রীদের উপহার সামগ্রী দিয়েছি। ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বছর দুইবার সংবর্ধনা দিয়েছি। পৌর এলাকার সম্মানীত খতিব, ইমাম ও মোয়াজ্জিন সাহেবকে দুটি ঈদে পৌরসভার পক্ষ থেকে সম্মানী দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। দূর্গাপুজায় প্রতিটি মন্ডপে প্রতি বছর ১০ হাজার করে টাকা দিয়েছি। ভাষার মাস ফেব্রæয়ারীতে বই মেলার আয়োজন করেছি। যে মেলাতে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদগণকে নিয়ে এসেছি। এসব কাজের মাধ্যমে পৌরবাসীর হৃদয় জয় করেছিলাম। ফলশ্রæতিতে সিলেট কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। এই জনপ্রিয়তার কারনে আমি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি, অসংখ্য মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ১৩শ ৬৩দিন কারাভোগ করেছি। আমাকে কারাগারে পাঠিয়ে পৌরবাসীকে উন্নয়ন বঞ্চিত করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, জনগণের ভালোবাসায় আমি এমপি নির্বাচিত হলে আওয়ামীলীগ ১৪ বছরে যা করতে পারেনি আমি ২ বছরে তা করে দেখাবো।
৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনোয়ার আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান জেুবর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক হাজী এনামুল হক, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক নুরুল ইসলাম নানু, যুগ্ম আহŸায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, মোঃ আলাউদ্দিন, নাজমুল হোসেন বাচ্চু, মর্তুজা আহমেদ রিপন, মজিবুর রহমান মুজিব, এস এম আওয়াল, বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নকীব ফজলে রকিব মাখন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, বিএনপি নেতা লিটন আহমেদ, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, জেলা জাসাসের আহŸায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, বিএনপি নেতা আব্দুল হান্নান, আবু মিয়া, এডভোকেট কুতুব উদ্দিন জুয়েল, মেহের আলী, আহমদ আলী, মিন্নত আলী, নুর ইসলাম, মুহিব মিয়া, তৈয়ব আলী, জলফু মিয়া, কিসমত আলী, হাজী ইদ্রিস আলী, আরব আলী, হাজী শফিক মিয়া, রফিক মিয়া, হাজী সিরাজ আলী, কাজল আহমেদ, আব্দুল আহাদ, আইরিন আক্তার, সামিনা চৌধুরী, আক্কাস আলী, জাকির হোসেন রানা, বিজয় রায়, মামুন আহমেদ, রুহুল আমিন, ইকবাল আহমেদ, আল আমিন তালুকদার, রায়হান আহমেদ প্রমুখ।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.