ঢাকা ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা নিজেকে সেবক মনে না করে মালিক মনে করেছিলেন-জি কে গউছ

নজরুল ইসলাম কাউসার হবিগঞ্জ প্র্রতিনিধিঃ

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- শেখ হাসিনা নিজেকে জনগণের সেবক মনে না করে দেশের মালিক মনে করেছিলেন। দেশের সর্বক্ষেত্রে দলীয় করণের মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলেন। দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ
করেছিলেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাজা দিয়ে কারাবন্দি করেছিলেন। আমাদের অনেক ভাই সভা-সমাবেশ থেকে ঘুম হয়েছেন, অনেকেই শহীদ হয়েছেন। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের নির্যাতনে অনেক বোন তার স্বামী হারিয়েছেন, অনেক মা তার সন্তান হারিয়েছেন। মহান আল্লাহ সীমালঙ্গনকারীকে পছন্দ করেন না। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা তাদের কর্মের পরিণতি ভোগ করতে শুরু করেছেন।
তিনি গতকাল বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। পরে একটি মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।

জি কে গউছ বলেন- ১৪ আগষ্ট আমাদের রাজপথে নামার কথা ছিল না। কিন্তু স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা গত ১৭ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা লুন্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে এই দেশকে ওই দূর্নীতিবাজদের কবল থেকে মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি চক্র আবারও নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএনপি রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। দেশের আইন শৃংখলা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ওই দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করা হবে।

এ সময় অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ন হাজী এনামুল হক, এম ইসলাম তরফদার তনু, এডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ন আজিজুর রহমান কাজল, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সৈয়দ রিয়াজ উদ্দিন, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহŸায়ক জালাল আহমেদ, সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ন সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ন রুবেল আহমেদ চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব প্রমুখ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:২১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
২২ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনা নিজেকে সেবক মনে না করে মালিক মনে করেছিলেন-জি কে গউছ

আপডেট সময় ১১:২১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- শেখ হাসিনা নিজেকে জনগণের সেবক মনে না করে দেশের মালিক মনে করেছিলেন। দেশের সর্বক্ষেত্রে দলীয় করণের মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলেন। দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ
করেছিলেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাজা দিয়ে কারাবন্দি করেছিলেন। আমাদের অনেক ভাই সভা-সমাবেশ থেকে ঘুম হয়েছেন, অনেকেই শহীদ হয়েছেন। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের নির্যাতনে অনেক বোন তার স্বামী হারিয়েছেন, অনেক মা তার সন্তান হারিয়েছেন। মহান আল্লাহ সীমালঙ্গনকারীকে পছন্দ করেন না। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা তাদের কর্মের পরিণতি ভোগ করতে শুরু করেছেন।
তিনি গতকাল বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। পরে একটি মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।

জি কে গউছ বলেন- ১৪ আগষ্ট আমাদের রাজপথে নামার কথা ছিল না। কিন্তু স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা গত ১৭ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা লুন্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে এই দেশকে ওই দূর্নীতিবাজদের কবল থেকে মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি চক্র আবারও নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএনপি রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। দেশের আইন শৃংখলা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ওই দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করা হবে।

এ সময় অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ন হাজী এনামুল হক, এম ইসলাম তরফদার তনু, এডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ন আজিজুর রহমান কাজল, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সৈয়দ রিয়াজ উদ্দিন, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহŸায়ক জালাল আহমেদ, সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ন সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ন রুবেল আহমেদ চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব প্রমুখ।