মানসিক রোগি সেজে পেনশনের টাকা নিতে চান শিক্ষক
মানসিক রোগি সেজে পেনশনের টাকা নিতে চান মৌলভীবাজার সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। অথচ তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। সূত্র বলছে ওই শিক্ষক পেনশনের টাকা নিয়ে ভিজিট ভিসায় কানাডায় যেতে যাচ্ছেন। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকের এমন জালিয়াতিতে সমালোচনা করছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জেলার সচেতন মহল। তারা বলছেন শিক্ষক এমন মিথ্যার আশ্রয় নিলে শিক্ষার্থীরা তাদের কাছ থেকে কি শিখবে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক তাহমিদা ইসলাম মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতায় উন্নয়ত চিকিৎসার জন্য কানাডায় যেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি মঞ্জুর করেন। এরই মধ্যে ওই শিক্ষক শারিরীক ও মানসিক অসুস্থতা জনিত কারনে চাকুরি হতে অব্যাহতির জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে ১২ আগস্ট আবেদন করেন। তাহমিদা ইসলাম আদৌ অসুস্থ কি না তা পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে পাঠালে মেডিকেল বোর্ড তার আবেদন বাতিল করেন।
সূত্র জানায়, বিগত সরকারের আমলে কতিপয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে তাহমিদা ইসলামের ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। এর প্রভাবকাটিয়ে তিনি সহকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং বিদ্যালয়ে ইচ্ছামতো আসা যাওয়া করতেন।
এ বিষয় জানতে শিক্ষক তাহমিদা ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়েই তিনি সংযোগ কেটে দেন।
মৌলভীবাজার সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রোহেনা খানম বলেন, তাহমিদা ইসলাম শারিরীক ও মানসিক ভাবে সুস্থ রয়েছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: খোরশেদ আলম বলেন, যেহেতু মেডিকেল বোর্ড উনাকে ইনভেলিড ঘোষণা করেনি। তাই তাকে দেশেই চিকিৎসা নিতে হবে এবং বহি: বাংলাদেশ ছুটিও বাতিল হবে। ওই শিক্ষক কি মানসিক রোগী এটা কি কারো কাছ থেকে কখনও শুনেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমনটি কখনও শুনিনি।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, ওই শিক্ষিকার মানসিক অসুস্থ্যতার আবেদন বাতিল করা হয়েছে। উনাকে সিলেট এম এ জি ওসামানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে।