ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল Logo আজমিরীগঞ্জ কুশিয়ারা নদীতে মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার Logo পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প Logo দায়িত্ব নিয়েই বাইডেনের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল করল ট্রাম্প Logo সাইবার নিরাপত্তা আইনের সব মামলা প্রত্যাহার হবে: আইন উপদেষ্টা Logo বেনজীরের রিসোর্টে এনবিআরের বিশেষ অভিযান Logo সুনামগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর আহসান এর জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ Logo এবার পাকিস্তানের নাম থাকায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি নিয়ে আপত্তি ভারতের Logo সুইজারল্যান্ড পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নাটোরে মোটরসাইকেল-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ তরুণের মৃত্যু

জনগণের সম্পদ চুরি করে যারা খায়, তা জাহান্নামের আগুন

অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, জনগণের সম্পদ চুরি করে যারা খায়, এটা কোনো বৈধ সম্পদ নয়, এই সম্পদ হলো জাহান্নামের আগুন। প্রচলিত রাজনৈতিক বন্দবস্ত দিয়ে এইভাবে এক শ্রেণির মানুষ, তারা হারামখুরি করে জনগণের সম্পদ চুরি করে। তারা ক্ষমতায় গেলে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে। আবার ক্ষমতা হারিয়ে গেলে শুরু হয় তাদের ইনভেস্টমেন্ট।

রবিবার(১৯ জানুয়ারি) সকালে ইটা ইসলামিয়া মাদরাসার উদ্যোগে ইটা চা-বাগান ঈদগাহ ময়দানে ১৪ তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সারা পৃথিবী জুড়ে পশ্চিমা সভ্যতা যে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যে পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, এই পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা ভোগবিলাসের অর্থব্যবস্থা, এই অর্থব্যবস্থা গরীবের রক্ত শোষণ করে বড়লোকদের আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করবার অর্থব্যবস্থা। আর এই অর্থব্যবস্থা দিয়ে রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমারা গোটা পৃথিবীতে জুলুমতন্ত্র কায়েম করছে। এই ব্যবস্থাকে উৎখাত করার জন্যে একমাত্র বিকল্প ইসলাম ও খেলাফত।
তিনি বলেন, অন্য কোনো ব্যাবস্থার মাধ্যমে শুধুমাত্র নেতাদের স্বার্থ উদ্ধার হয়, প্রচলিত শাসন ব্যবস্থার মাজে কিছু মানুষের স্বার্থ উদ্ধার হয়, প্রকৃতঅর্থে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় না। কারণ এই ব্যবস্থার সিস্টেমের মধ্যে সেটা নাই। আছে জনগণের অধিকার হনন করে, রাস্ট্রীয় সম্পদ চুরি করে এক দলের উপর আরেকদল লালিত পালিত হয়।

বাংলাদেশে একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। যারা রাজনীতির চর্চা করে, সংগঠন করে, নেতৃত্ব দেয় তাদের অবস্থা হলো, পাঁচ-দশ-পনেরো বছর ইনভেস্ট করো, ক্ষমতায় আসতে পারবে। সব ইনভেস্ট সুদে আসলে উশুল করে নিবে। যারা রাজনীতি করে তাদের সকলের ইচ্ছা থাকে পার্টি ক্ষমতায় গেলে সব উশুল করে নিবো।

প্রশ্ন হলো, পার্টি ক্ষমতায় গেলে যে সব উশুল করবা, এই সম্পদ তোমাকে কে দিবে? কোথাও থেকে বৈধ উপায়ে দেওয়ার কেউ নাই। উপায় একটাই, রাস্ট্রের সম্পদ চুরি করতে হবে, জনগণের সম্পদ চুরি করতে হবে, মানুষের অধিকার হনন করতে হবে।

এর আগে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় অভিভাবক পরিষদের সদস্য মাও. শেখ ফরিদ আহমদ খান, কেদ্রীয় সদস্য মাও. জালাল উদ্দীন আহমদ, সিলেট মহানগর সভাপতি গাজী রহমতুল্লাহ, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমি, সাধারণ সম্পাদক মাও. মুফতি হেলালুর রহমান হেলাল, বড়লেখা উপজেলা সভাপতি মাও. শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাও. হাবিবুর রহমান, মুন্সিবাজার ইউপি সভাপতি মাও. মুহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাও. আব্দুল জব্বার, রাজনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুবের চৌধুরী, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রাহেল হোসেন প্রমূখ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৩২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
৩ বার পড়া হয়েছে

জনগণের সম্পদ চুরি করে যারা খায়, তা জাহান্নামের আগুন

আপডেট সময় ০৪:৩২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, জনগণের সম্পদ চুরি করে যারা খায়, এটা কোনো বৈধ সম্পদ নয়, এই সম্পদ হলো জাহান্নামের আগুন। প্রচলিত রাজনৈতিক বন্দবস্ত দিয়ে এইভাবে এক শ্রেণির মানুষ, তারা হারামখুরি করে জনগণের সম্পদ চুরি করে। তারা ক্ষমতায় গেলে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে। আবার ক্ষমতা হারিয়ে গেলে শুরু হয় তাদের ইনভেস্টমেন্ট।

রবিবার(১৯ জানুয়ারি) সকালে ইটা ইসলামিয়া মাদরাসার উদ্যোগে ইটা চা-বাগান ঈদগাহ ময়দানে ১৪ তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সারা পৃথিবী জুড়ে পশ্চিমা সভ্যতা যে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যে পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, এই পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা ভোগবিলাসের অর্থব্যবস্থা, এই অর্থব্যবস্থা গরীবের রক্ত শোষণ করে বড়লোকদের আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করবার অর্থব্যবস্থা। আর এই অর্থব্যবস্থা দিয়ে রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমারা গোটা পৃথিবীতে জুলুমতন্ত্র কায়েম করছে। এই ব্যবস্থাকে উৎখাত করার জন্যে একমাত্র বিকল্প ইসলাম ও খেলাফত।
তিনি বলেন, অন্য কোনো ব্যাবস্থার মাধ্যমে শুধুমাত্র নেতাদের স্বার্থ উদ্ধার হয়, প্রচলিত শাসন ব্যবস্থার মাজে কিছু মানুষের স্বার্থ উদ্ধার হয়, প্রকৃতঅর্থে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় না। কারণ এই ব্যবস্থার সিস্টেমের মধ্যে সেটা নাই। আছে জনগণের অধিকার হনন করে, রাস্ট্রীয় সম্পদ চুরি করে এক দলের উপর আরেকদল লালিত পালিত হয়।

বাংলাদেশে একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। যারা রাজনীতির চর্চা করে, সংগঠন করে, নেতৃত্ব দেয় তাদের অবস্থা হলো, পাঁচ-দশ-পনেরো বছর ইনভেস্ট করো, ক্ষমতায় আসতে পারবে। সব ইনভেস্ট সুদে আসলে উশুল করে নিবে। যারা রাজনীতি করে তাদের সকলের ইচ্ছা থাকে পার্টি ক্ষমতায় গেলে সব উশুল করে নিবো।

প্রশ্ন হলো, পার্টি ক্ষমতায় গেলে যে সব উশুল করবা, এই সম্পদ তোমাকে কে দিবে? কোথাও থেকে বৈধ উপায়ে দেওয়ার কেউ নাই। উপায় একটাই, রাস্ট্রের সম্পদ চুরি করতে হবে, জনগণের সম্পদ চুরি করতে হবে, মানুষের অধিকার হনন করতে হবে।

এর আগে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় অভিভাবক পরিষদের সদস্য মাও. শেখ ফরিদ আহমদ খান, কেদ্রীয় সদস্য মাও. জালাল উদ্দীন আহমদ, সিলেট মহানগর সভাপতি গাজী রহমতুল্লাহ, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমি, সাধারণ সম্পাদক মাও. মুফতি হেলালুর রহমান হেলাল, বড়লেখা উপজেলা সভাপতি মাও. শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাও. হাবিবুর রহমান, মুন্সিবাজার ইউপি সভাপতি মাও. মুহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাও. আব্দুল জব্বার, রাজনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুবের চৌধুরী, মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রাহেল হোসেন প্রমূখ।