ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাখো মুসল্লির জমায়েতে মুখর তুরাগ তীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) ফজরের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

আম বয়ানের পরে আলেম-ওলামারা খিত্তাভিত্তিক তালিম ও বয়ান করেন।

নামাজে তাবলিগের জামাতের মুসল্লি ছাড়াও অংশ নেবেন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য মুসল্লি।

ইজতেমা আয়োজকেরা জানান, আরবি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই তাঁদের ইজতেমার দিনক্ষণ শুরু হয়ে গেছে। ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। এরপর আজ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। তাঁর বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা নুরুর রহমান। আজ বেলা দেড়টায় বড় জামাতে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। নামাজ পড়াবেন বাংলাদেশি মাওলানা জোবায়ের হোসেন।

বিগত বছরগুলোতে তাবলিগের দুই পক্ষ মাওলানা জোবায়ের ও সাদ কান্ধলভী অনুসারীরা দুই পর্বে আলাদাভাবে ইজতেমা করতেন। তবে এবারই প্রথম মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা একাই দুই ধাপে ইজতেমা করবেন। এর মধ্যে আজ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হবে প্রথম ধাপের ইজতেমা। এ ধাপে অংশ নেবেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লি। এরপর ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। ২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। আর ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা পালনের কথা আছে।

ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানাতে গতকাল দুপুরে ইজতেমা মাঠসংলগ্ন র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব। সেখানে র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইজতেমাকে ঘিরে নিরাপত্তাঝুঁকি তেমন নেই, একমাত্র দুই পক্ষের আত্মকলহ ছাড়া। আশা করছি, সুন্দরভাবে ইজতেমাটি শেষ হবে।’

প্রথম ধাপের ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশ

ইজতেমার প্রথম ধাপে অংশ নিয়েছেন গাজীপুর, নড়াইল, রাজশাহী, নাটোর, গাইবান্ধা, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় এবং ঢাকার ডেমরা, কাকরাইল, মিরপুর, ধামরাই, দোহার ও নবাবগঞ্জ এলাকার মুসল্লিরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:২৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
২ বার পড়া হয়েছে

লাখো মুসল্লির জমায়েতে মুখর তুরাগ তীর

আপডেট সময় ০৫:২৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) ফজরের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

আম বয়ানের পরে আলেম-ওলামারা খিত্তাভিত্তিক তালিম ও বয়ান করেন।

নামাজে তাবলিগের জামাতের মুসল্লি ছাড়াও অংশ নেবেন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য মুসল্লি।

ইজতেমা আয়োজকেরা জানান, আরবি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই তাঁদের ইজতেমার দিনক্ষণ শুরু হয়ে গেছে। ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। এরপর আজ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। তাঁর বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা নুরুর রহমান। আজ বেলা দেড়টায় বড় জামাতে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। নামাজ পড়াবেন বাংলাদেশি মাওলানা জোবায়ের হোসেন।

বিগত বছরগুলোতে তাবলিগের দুই পক্ষ মাওলানা জোবায়ের ও সাদ কান্ধলভী অনুসারীরা দুই পর্বে আলাদাভাবে ইজতেমা করতেন। তবে এবারই প্রথম মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা একাই দুই ধাপে ইজতেমা করবেন। এর মধ্যে আজ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হবে প্রথম ধাপের ইজতেমা। এ ধাপে অংশ নেবেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লি। এরপর ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। ২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। আর ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা পালনের কথা আছে।

ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানাতে গতকাল দুপুরে ইজতেমা মাঠসংলগ্ন র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব। সেখানে র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইজতেমাকে ঘিরে নিরাপত্তাঝুঁকি তেমন নেই, একমাত্র দুই পক্ষের আত্মকলহ ছাড়া। আশা করছি, সুন্দরভাবে ইজতেমাটি শেষ হবে।’

প্রথম ধাপের ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশ

ইজতেমার প্রথম ধাপে অংশ নিয়েছেন গাজীপুর, নড়াইল, রাজশাহী, নাটোর, গাইবান্ধা, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় এবং ঢাকার ডেমরা, কাকরাইল, মিরপুর, ধামরাই, দোহার ও নবাবগঞ্জ এলাকার মুসল্লিরা।