ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বাংলাদেশিদের খোঁজে ভারতীয় পুলিশের অভিযান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

‘বাংলাদেশি’দের খোঁজে অপারেশন শুরু করছে ভারতীয় পুলিশ। অভিযান শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে আহমেদাবাদ পুলিশের ‘ক্রাইম ব্রাঞ্চ’ দফতরের সামনে মিজ. ফারজানা নামের এক গুজরাতিকে আটক করেন।

মেহেন্দি করা হাত দেখিয়ে মিজ. ফারজানা একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে একটা বিয়ের কার্ড বার করেন।

ফারজানা বললেন, “বাড়িতে বিয়ে আছে। বরযাত্রীরা এসেছিল। আমাদের বাড়ি খুবই ছোট, তাই তাদের ঘুমোনোর ব্যবস্থা করেছিলাম চান্দোলা এলাকায় এক আত্মীয়র বাড়িতে। সেখান থেকেই বাংলাদেশি সন্দেহ করে বরযাত্রীদের ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।”

“মহারাষ্ট্রের আকোলা থেকে এসেছিল আমার বড় ভাই আর ভাতিজা। তারা না থাকলে কী করে বিয়ে হবে! ওইদিনই বাড়িতে হলদি (গায়ে হলুদ) অনুষ্ঠান ছিল। সেটাও পিছিয়ে দিতে হয়েছে,” বলছিলেন মিজ. ফারজানা।তাদের বিয়েতেই স্বপরিবারে এসেছিলেন মিজ. জেবুন্নেসা। তার ছেলে আর ভগ্নীপতিকে পুলিশ ধরে নিয়ে এসেছিল ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে।

তার কথায়, “আমরা মহারাষ্ট্রের আকোলা থেকে বিয়েতে যোগ দিতে এসেছিলাম বরযাত্রী হিসাবে। আমাদের কাছে জন্মের শংসাপত্র থেকে শুরু করে আধার কার্ড সব আছে।”

বিয়ে বাড়ি ছেড়ে সারাদিন খাওয়া দাওয়া না করে তারা বসেছিলেন ক্রাইম ব্রাঞ্চের দফতরে। সব নথিপত্র জমা দেওয়ার পরে শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে সবাইকে ছাড়া হয়।

মিজ. ফারজানা বা তার আত্মীয়রা কেউ বাংলাদেশি নন, এমনকি বাংলাভাষীও নন। তারা গুজরাত আর মহারাষ্ট্রের মুসলমান।

সূত্র: বিবিসি

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
৬৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশিদের খোঁজে ভারতীয় পুলিশের অভিযান

আপডেট সময় ০৬:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

‘বাংলাদেশি’দের খোঁজে অপারেশন শুরু করছে ভারতীয় পুলিশ। অভিযান শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে আহমেদাবাদ পুলিশের ‘ক্রাইম ব্রাঞ্চ’ দফতরের সামনে মিজ. ফারজানা নামের এক গুজরাতিকে আটক করেন।

মেহেন্দি করা হাত দেখিয়ে মিজ. ফারজানা একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে একটা বিয়ের কার্ড বার করেন।

ফারজানা বললেন, “বাড়িতে বিয়ে আছে। বরযাত্রীরা এসেছিল। আমাদের বাড়ি খুবই ছোট, তাই তাদের ঘুমোনোর ব্যবস্থা করেছিলাম চান্দোলা এলাকায় এক আত্মীয়র বাড়িতে। সেখান থেকেই বাংলাদেশি সন্দেহ করে বরযাত্রীদের ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।”

“মহারাষ্ট্রের আকোলা থেকে এসেছিল আমার বড় ভাই আর ভাতিজা। তারা না থাকলে কী করে বিয়ে হবে! ওইদিনই বাড়িতে হলদি (গায়ে হলুদ) অনুষ্ঠান ছিল। সেটাও পিছিয়ে দিতে হয়েছে,” বলছিলেন মিজ. ফারজানা।তাদের বিয়েতেই স্বপরিবারে এসেছিলেন মিজ. জেবুন্নেসা। তার ছেলে আর ভগ্নীপতিকে পুলিশ ধরে নিয়ে এসেছিল ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে।

তার কথায়, “আমরা মহারাষ্ট্রের আকোলা থেকে বিয়েতে যোগ দিতে এসেছিলাম বরযাত্রী হিসাবে। আমাদের কাছে জন্মের শংসাপত্র থেকে শুরু করে আধার কার্ড সব আছে।”

বিয়ে বাড়ি ছেড়ে সারাদিন খাওয়া দাওয়া না করে তারা বসেছিলেন ক্রাইম ব্রাঞ্চের দফতরে। সব নথিপত্র জমা দেওয়ার পরে শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে সবাইকে ছাড়া হয়।

মিজ. ফারজানা বা তার আত্মীয়রা কেউ বাংলাদেশি নন, এমনকি বাংলাভাষীও নন। তারা গুজরাত আর মহারাষ্ট্রের মুসলমান।

সূত্র: বিবিসি