সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন

গ্যাস-বিদ্যুতে কত ভর্তুকি দেওয়া যায়, কেন দেব: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃআওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি আবারও বলবো, গ্যাস-বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া যাবে যদি ক্রয়মূল্য যা হয় সেটা সবাই দিতে রাজি থাকে। তাছাড়া কত ভর্তুকি দেওয়া যায়! আর এ ক্ষেত্রে কেন ভর্তুকি দেবো?’

আজ রোববার সকালে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত (বিডা) ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবো, আমরা পৌঁছে দিয়েছি।’

‘বিদ্যুতের জন্য যে হাহাকার…জেনারেটারে যে ট্যাক্স ছিল, সেটা আমি প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র বিদ্যুৎকেন্দ্র, কল-কারখানা; আপনারাও যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেন, ১০ মেগাওয়াট থেকে ৩০ মেগাওয়াট সে ব্যবস্থাও আমি করেছিলাম। শুধু তাই না, আপনারা নিজেরা উৎপাদন করে নিজেরা ব্যবহার করবেন, আবার অন্যকে দিতে পারবেন। অর্থাৎ ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে ভালোভাবে চলে, বিনিয়োগ আসে সেই চেষ্টাই আমরা করি। তবে আজকে (বিদ্যুৎ) আমরা শতভাগ দিতে পেরেছি,’ বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে বিদ্যুৎ দেই এটা উৎপাদন করতে ১ কিলোওয়াটে খরচ হয় ১২ টাকা। সেখানে আমরা নিচ্ছি মাত্র ৬ টাকা। তাতেই আমরা অনেক চিৎকার শুনি। ইংল্যান্ডে কিন্তু ১৫০ ভাগ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা কিন্তু এখনো সে পর্যায়ে যাইনি।’

‘আমি আবারও বলবো, গ্যাস-বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া যাবে যদি ক্রয়মূল্য যা হয় সেটা সবাই দিতে রাজি থাকে। তাছাড়া কত ভর্তুকি দেওয়া যায়! আর এ ক্ষেত্রে কেন ভর্তুকি দেবো? ভর্তুকি দিচ্ছি আমরা কৃষিতে, খাদ্য উৎপাদনে। আমরা করোনাভাইরাস যখন মোকাবিলা করি, আমরা বিশেষ প্রণোদনা দেই যাতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কল-কারখানা চালু থাকে। এই প্রণোদনা দেওয়ার ফলেই কিন্তু আমাদের অর্থনীতির গতিটা সচল থাকে। প্রতিকূল অবস্থা অতিক্রম করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এটা মাথায় রাখতে হবে—বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। আজকে সেই অবস্থায় আমাদের চলতে হবে,’ বলেন তিনি।’তারপরও আমাদের গতি থেমে থাকেনি, সে জন্য অবশ্যই আমাদের ব্যবসায়ীদের অবদান আছে,’ বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত করতে চেয়েছিলাম। অত্যন্ত সফলভাবে সেটা আমরা করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। আমরা বিদেশি বিনিয়োগ চাই, তার সঙ্গে সঙ্গে চাই যে, আমাদের দেশের যুব সমাজ নিজেরাই বিনিয়োগকারী হবে। আমাদের যুব সমাজের জন্য স্টার্টআপ প্রোগ্রাম করে দিয়েছি। সেজন্য আলাদা বাজেটও আছে। কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে এক ব্যক্তি কোম্পানি করতে পারে সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি। যাতে করে আমাদের নিজেদের ছেলেমেয়েরা উঠে আসতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পারে। বাঙালি পারে। একটা চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু নিয়ে। এ সেতু তৈরিতে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। আমি বলেছিলাম নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু করব, করেছি। এক্ষেত্রে জনগণ আমাকে সমর্থন করেছিল।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.