শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ন

টাঙ্গুয়ার হাওরে বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরে আল্ট্রাসনিক ইলেকট্রিক ফিশিং ইনভার্টারের সাহায্যে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে কিছু অসাধু জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কম সময়ে বেশি মাছ পাওয়ার আশায় কিছু অসাধু লোভী জেলে এ পন্থা বেছে নিয়েছে। এভাবে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ ধরার কারণে হুমকিতে পড়েছে হাওরের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত হাতির গাতা, আইন্যা, পাগলাকোনা, তেকুইন্যা, বাল্লার ডোবা এসব বিলে বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করা হয়। আল্ট্রাসনিক ইলেকট্রিক ফিশিং ইনভার্টার মেশিন উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের জেলেদের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলে জানান, ওই মেশিনটি মূলত তারা পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা জেলার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ক্রয় করেন। আল্ট্রাসনিক ইলেকট্রিক ফিশিং ইনভার্টার মেশিন দিয়ে হাওরের গভীর জলাশয়গুলোতে ৪০-৬০ ফুট জায়গা জুড়ে পানির মধ্যে ১ থেকে দেড় মিনিট বৈদ্যুতিক শক দিতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে হাওরের পানিতে থাকা ছোট বড় মাছ, জীববৈচিত্র্য ও অন্যান্য জলজ প্রাণী অজ্ঞান হয়ে পানির উপর ভেসে ওঠে। পরে সেসব মাছ তারা সহজে শিকার করে থাকে।

টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের বাসিন্দা আমির মিয়া বলেন, বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে মাছ ধরার কারণে হাওরের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিছু অসাধু জেলে এ পথ বেছে নিয়েছে। এতে করে আগামীতে হাওরের মাছ ও জীববৈচিত্র্য বিপন্ন হয়ে যাবে। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, আমরা খবর পেয়েছি কিছু অসাধু জেলে বৈদ্যুতিক শক মেশিন দিয়ে হাওরে মাছ শিকার করছে। এতে হাওরের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.