সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
১২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজনগরে সড়ক সংস্কারের ভিত্তিপ্রস্তর করলেন এমপি জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগ মানুষের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করেছে -এমপি আবু জাহির ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল রাজনগরে চোলাই মদসহ আটক -১ দেড়শ রানেই ভারতকে আটকাল বাংলাদেশ হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলেয়া আক্তারকে শায়েস্তাগঞ্জের বাণীর সম্মাননা প্রদান শায়েস্তাগঞ্জ নদীতে গোসল করতে নেমে ২ ভাই নিখোঁজের পর একজনের লাশ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশিক্ষন না করানো ও সম্মানহানিকর বক্তব্যের অভিযোগ

আজমিরীগঞ্জে সময় শেষ কাজ বাকি, চিন্তায় কপালে ভাঁজ কৃষকের

আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজের নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ। ফলে আকস্মিক বন্যায় ফসল হারানোর শঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে শত শত স্থানীয় কৃষকের কপালে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলার হাওর এলাকায় (আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, নবীগঞ্জ, লাখাই ও হবিগঞ্জ সদর) আগাম বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষার্থে কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পের মাধ্যমে ডুবন্ত বাঁধ মেরামতের জন্য জেলায় মোট ৪০টি প্রকল্পে ৪৩ হাজার ১৩৩ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার কাজের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

তন্মধ্যে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৯টি প্রকল্প (বদলপুর ইউনিয়নে পাঁচটি বাঁধ মেরামত ও দুটি ইনটেক চ্যানেল খাল খনন) শিবপাশা ইউনিয়নে ১টি এবং কাকাইলছেও ইউনিয়নে ১টি বাঁধ সংস্কারের কাজ। উপজেলার ৯টি প্রকল্পে ১২ হাজার ৫৫ মিটার বাঁধ সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯০ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ না হওয়ায় আকস্মিক বন্যায় হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল হারানোর শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা। আর পাউবো কর্তৃপক্ষ ও পিআইসি কমিটির দাবী কাজ শেষ করতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির কাছ থেকে সাত দিনের সময় নেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের ঝিলুয়ার গোয়ারবন্দের ৬, ৭ ও করাতির ৮নং প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেছে, ৬ ও ৮নং প্রকল্পের ৪ হাজার ৫শ মিটার পুরাতন বাঁধ মেরামতের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়েছে। ৭নং প্রকল্পে নতুন বাঁধ র্নিমাণের ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়েছে।

মাটির কাজ পুরোপুরি শেষ করে বাঁধের উভয় পাশে কার্পেটিং ও ঘাস লাগাতে সময় লাগবে আরও অন্তত পনেরো দিনের বেশি। নিয়ম অনুযায়ী, বাঁধে প্রকল্প চলাকালীন কাজের বিবরণ, প্রাক্কলিত ব্যয়ের তথ্য সম্বলিত বোর্ড টানানোর নিয়ম থাকলেও এসবের দেখা মিলেনি। দেখা মিলেনি প্রকল্প কমিটির লোকজনেরও।

উক্ত তিনটি প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে তিনটি প্রকল্পে বিল প্রদান করা হয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ টাকা।এ সময় আলাপকালে স্থানীয় কৃষক রনজিৎ চৌধুরী, শ্রীকান্ত রায়, মতিলাল অধিকারীসহ একাধিক কৃষক জানান, সময় পেরিয়ে গেলেও কাজ বাকি রয়ে গেছে। যে কাজ বাকি আছে সেটা সম্পন্ন করতে কম করে হলেও ১২-১৫দিন লাগবে। আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পেলে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসলের কী হবে তাই ভাবছি। যদিও প্রকল্প আলাদা কিন্তু তিনটি প্রকল্প একই সিন্ডিকেট গ্রুপের।

কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে ৬, ৭ ও ৮নং প্রকল্পের পিআইসি কমিটির সভাপতি, সুতলাল সরকার, রাখাল সরকার ও গুণমনি দাসের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, আশা করছি সপ্তাহ খানেকের ভেতরেই কাজ শেষ করা যাবে। বোর্ড লাগিয়েছিলাম বৃষ্টির জন্য খুলে রাখছি।

সিন্ডিকেটের বিষয়ে গুণমনি দাস জানান, আমার বাড়ির কিছু কাজ থাকায় আমার প্রকল্পের কাজ সুতলাল দেখাশোনা করেন। তবে এ বিষয়ে সুতলাল সরকার ও রাখাল সরকার কোনো কথা বলতে অসম্মতি জানান।

জেলা পাউবোর দায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলী একরামুল হক বলেন, নিয়মিত আমরা কাজের দেখাশোনা করছি। দ্রুতই কাজ শেষ হবে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল ভৌমিক কালবেলাকে বলেন, কাজ দেরিতে শুরু হওয়াতে উনারা সাত দিনের সময় চেয়েছেন। দ্রুত কাজ শেষ করতে আমরা তাদের প্রতিনিয়ত তাগাদা দিচ্ছি এবং সার্বক্ষণিক কাজের খোঁজ নিচ্ছি।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.