মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
১২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজনগরে সড়ক সংস্কারের ভিত্তিপ্রস্তর করলেন এমপি জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগ মানুষের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করেছে -এমপি আবু জাহির ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল রাজনগরে চোলাই মদসহ আটক -১ দেড়শ রানেই ভারতকে আটকাল বাংলাদেশ হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলেয়া আক্তারকে শায়েস্তাগঞ্জের বাণীর সম্মাননা প্রদান শায়েস্তাগঞ্জ নদীতে গোসল করতে নেমে ২ ভাই নিখোঁজের পর একজনের লাশ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশিক্ষন না করানো ও সম্মানহানিকর বক্তব্যের অভিযোগ

কিশোরী ধর্ষণে প্রধান আসামি সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,সিলেটে কিশোরীকে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১১নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৯।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাব ৯ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অধিনায়ক মো. মোমিনুল হক।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর মা মামলা দায়ের করার পর আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে র‌্যাব-৯। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ২টায় সিলেটের গোলাপগঞ্জে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অন্যান্য পলাতক আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান। সালামের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

সালাম নগরীর লালাদিঘির পার এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে এবং ১১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আব্দুস সালাম নগরের লালাদিঘির পার এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে। এ ছাড়াও এ মামলার অপর আসামি আব্দুল মনাফ (৩৮) একই এলাকার ইশাদ মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। এ ছাড়াও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা ওই তরুণী নগরীর শেখঘাটের একটি বোতল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীকে সিলেট শহরের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। এই সুযোগে একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম লালদিঘিরপাড়ের আবদুস সালামের সঙ্গে তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দেয়। আবদুস সালাম ‘ভালো কাজ’ দেওয়ার প্রলোভন দেখায় তরুণীকে।

গত ৭ জানুয়ারি রেখা বেগম তরুণীটিকে আবদুস সালামের লালদিঘিরপাড়ার বাসায় নিয়ে যায়। পরে বাসার একটি রুমে ২২ দিন আটকে রেখে আবদুস সালাম তাকে ধর্ষণ করে। পরিবারের সদস্যরা সিলেটের বাসায় ফিরে তরুণীকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেন। কিন্তু কোথাও না পেয়ে থানায় জিডি করতে চাইলে রেখা বেগম তাদের বাধা দেয় এবং আবদুস সালামের কাছে নিয়ে যায়। তিনি তরুণীটিকে উদ্ধারের ব্যাপারে আশ্বাস দেয়। কয়েকদিন পর পরিবারের সদস্যরা আবারও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার কাছে গেলে তিনি জানায় লন্ডন প্রবাসী একটি পরিবারের কাছ থেকে তরুণীটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় ও প্রবাসীর পরিচয় জানতে চাইলে আবদুস সালাম ক্ষেপে যায়। একপর্যায়ে তরুণী মা-বাবাকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনাটি জানালে সালাম তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করেন।

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, এ ঘটনার ৩ দিন পর আবদুস সালাম বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে মামলার অন্য আসামি আবদুল মনাফের মাধ্যমে তাকে হবিগঞ্জে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে সালাম-মনাফসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন তরুণীকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।

এদিকে ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণীর বাবা রোববার রাতে বলেন, মামলা দায়েরের পর তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আসামিদের ভয়ে তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা এলাকাছাড়া। তিনি অসুস্থ অবস্থায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.