ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জ মসজিদে মাইকিং করে পুলিশের ওপর হামলা, আসামি ছিনতাই আটক ১৩ Logo চুনারুঘাটে হত্যা মামলার আসমী আ. মান্নান আটক-তাবলীগ জামাতে গিয়ে অপহরণ মামলা সাজিয়েছেন Logo আজমিরীগঞ্জ কালনী নদীর ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে পাড়ে বসে চোখ মুছছেন সুনিতী Logo কুলাউড়ায় হত্যাকান্ডের শিকার আনজুমের বাড়িতে আমিরে জামায়াত Logo মাধবপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট নেই ৩০ বছর ধরে Logo নবীগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিএনজি চুরি-ডাকাতি, মাদক নিয়ে উদ্বেগ, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ! Logo হবিগঞ্জে পুকুর থেকে মাদ্রাসা ছাত্রের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার Logo নাফিসা হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল মৌলভীবাজার, আদালত ঘেরাও Logo শেখ হাসিনা-সাবেক ৩ সিইসিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা Logo ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩২৯

বাহুবল পতিত জমিতে ওলকপি চাষে সফল কৃষক আউয়াল

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আউয়াল ওলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। পতিত ৩০ শতাংশ জমিতে তিনি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নন ক্রিপার প্রদর্শনীর মাধ্যমে রোপণ করেন উন্নতজাতের ওলকপির চারা। এ জন্য তাকে ব্যয় করতে হয়েছে আট হাজার টাকা। এই কৃষক আশা করছেন, ৬৫ হাজার টাকার ওলকপি বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।

জানা গেছে, আব্দুল আউয়াল নভেম্বর মাসের শেষের দিকে পতিত জমিতে প্রায় ৪ হাজার ওলকপির চারা রোপণ করেন। এর প্রায় ৪৫ দিনের মধ্যে ওলকপি পরিপক্ক হয়। বর্তমানে তিনি এই সবজি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। তার আশা, ওলকপি বিক্রি করে ৬৫ হাজার টাকা পাবেন। জমি চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা।

জানা গেছে, আব্দুল আউয়াল নভেম্বর মাসের শেষের দিকে পতিত জমিতে প্রায় ৪ হাজার ওলকপির চারা রোপণ করেন। এর প্রায় ৪৫ দিনের মধ্যে ওলকপি পরিপক্ক হয়। বর্তমানে তিনি এই সবজি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। তার আশা, ওলকপি বিক্রি করে ৬৫ হাজার টাকা পাবেন। জমি চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা।

কৃষক আব্দুল আউয়াল জানান, তিনি পতিত জমি আবাদ করেন। আবাদকৃত জমিতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নন ক্রিপার প্রদর্শনীর মাধ্যমে রোপণ করেন উন্নতজাতের ওলকপির চারা। চাষাবাদে তার প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন তিনি ওলকপি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। ক্রেতারা আগ্রহের সঙ্গে জমি থেকে সবজিটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, শীতকালীন সবজি হিসেবে ওলকপি চাষ করেছেন। বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে পাতামরা রোগ ও পোকার আক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও ওলকপি চাষে ঝুঁকি কম। ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ওলকপি বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে। হালকা দো-আঁশ মাটি ওলকপি চাষের জন্য বেশি উপযোগী। অধিক বৃষ্টিপাত এই সবজি চাষের জন্য ক্ষতিকর। গাছের দ্রুত বেড়ে ওঠার জন্য আলোর প্রয়োজন হয়।

দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, ‍“ওলকপি চাষ করতে কৃষক আব্দুল আউয়ালকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি এই সবজিটি চাষ করে সফল হয়েছেন। তার সফলতা দেখে অন্যান্য কৃষকরাও ওলকপি চাষে উৎসাহিত হয়েছেন। আশা করছি, আগামী মৌসুমে ওলকপির চাষ বাড়বে।”

তিনি আরো বলেন, “খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় ওলকপি চাষ বৃদ্ধিতে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মূলত এটি (ওলকপি) একটি শীতকালীন সবজি। এ সবজির পুষ্টিগুণ প্রচুর। কৃষকরা বেশিরভাগ সময়ে চারা রোপণ করে ওলকপির চাষ করে থাকেন। তবে, চারা রোপণ না করাই ভালো। কারণ এতে কোনোভাবে রোপণের সময় প্রধান শিকড় ভেঙ্গে যেতে পারে। কৃষি বিভাগের মতে, সারিতে বীজ বুনলে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সেন্টিমিটার বা ১ ফুট রাখতে হয়। আর চারা রোপণ করলে চারা থেকে চারা ২০ সেন্টিমিটার বা ৮ ইঞ্চি দূরত্বে রোপণ করতে হবে।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
৬৬ বার পড়া হয়েছে

বাহুবল পতিত জমিতে ওলকপি চাষে সফল কৃষক আউয়াল

আপডেট সময় ০৮:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আউয়াল ওলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। পতিত ৩০ শতাংশ জমিতে তিনি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নন ক্রিপার প্রদর্শনীর মাধ্যমে রোপণ করেন উন্নতজাতের ওলকপির চারা। এ জন্য তাকে ব্যয় করতে হয়েছে আট হাজার টাকা। এই কৃষক আশা করছেন, ৬৫ হাজার টাকার ওলকপি বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।

জানা গেছে, আব্দুল আউয়াল নভেম্বর মাসের শেষের দিকে পতিত জমিতে প্রায় ৪ হাজার ওলকপির চারা রোপণ করেন। এর প্রায় ৪৫ দিনের মধ্যে ওলকপি পরিপক্ক হয়। বর্তমানে তিনি এই সবজি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। তার আশা, ওলকপি বিক্রি করে ৬৫ হাজার টাকা পাবেন। জমি চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা।

জানা গেছে, আব্দুল আউয়াল নভেম্বর মাসের শেষের দিকে পতিত জমিতে প্রায় ৪ হাজার ওলকপির চারা রোপণ করেন। এর প্রায় ৪৫ দিনের মধ্যে ওলকপি পরিপক্ক হয়। বর্তমানে তিনি এই সবজি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। তার আশা, ওলকপি বিক্রি করে ৬৫ হাজার টাকা পাবেন। জমি চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা।

কৃষক আব্দুল আউয়াল জানান, তিনি পতিত জমি আবাদ করেন। আবাদকৃত জমিতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নন ক্রিপার প্রদর্শনীর মাধ্যমে রোপণ করেন উন্নতজাতের ওলকপির চারা। চাষাবাদে তার প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন তিনি ওলকপি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। ক্রেতারা আগ্রহের সঙ্গে জমি থেকে সবজিটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, শীতকালীন সবজি হিসেবে ওলকপি চাষ করেছেন। বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে পাতামরা রোগ ও পোকার আক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও ওলকপি চাষে ঝুঁকি কম। ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ওলকপি বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে। হালকা দো-আঁশ মাটি ওলকপি চাষের জন্য বেশি উপযোগী। অধিক বৃষ্টিপাত এই সবজি চাষের জন্য ক্ষতিকর। গাছের দ্রুত বেড়ে ওঠার জন্য আলোর প্রয়োজন হয়।

দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, ‍“ওলকপি চাষ করতে কৃষক আব্দুল আউয়ালকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি এই সবজিটি চাষ করে সফল হয়েছেন। তার সফলতা দেখে অন্যান্য কৃষকরাও ওলকপি চাষে উৎসাহিত হয়েছেন। আশা করছি, আগামী মৌসুমে ওলকপির চাষ বাড়বে।”

তিনি আরো বলেন, “খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় ওলকপি চাষ বৃদ্ধিতে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মূলত এটি (ওলকপি) একটি শীতকালীন সবজি। এ সবজির পুষ্টিগুণ প্রচুর। কৃষকরা বেশিরভাগ সময়ে চারা রোপণ করে ওলকপির চাষ করে থাকেন। তবে, চারা রোপণ না করাই ভালো। কারণ এতে কোনোভাবে রোপণের সময় প্রধান শিকড় ভেঙ্গে যেতে পারে। কৃষি বিভাগের মতে, সারিতে বীজ বুনলে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সেন্টিমিটার বা ১ ফুট রাখতে হয়। আর চারা রোপণ করলে চারা থেকে চারা ২০ সেন্টিমিটার বা ৮ ইঞ্চি দূরত্বে রোপণ করতে হবে।”