সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
১২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজনগরে সড়ক সংস্কারের ভিত্তিপ্রস্তর করলেন এমপি জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগ মানুষের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করেছে -এমপি আবু জাহির ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল রাজনগরে চোলাই মদসহ আটক -১ দেড়শ রানেই ভারতকে আটকাল বাংলাদেশ হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলেয়া আক্তারকে শায়েস্তাগঞ্জের বাণীর সম্মাননা প্রদান শায়েস্তাগঞ্জ নদীতে গোসল করতে নেমে ২ ভাই নিখোঁজের পর একজনের লাশ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশিক্ষন না করানো ও সম্মানহানিকর বক্তব্যের অভিযোগ

স্ত্রীর অধিকার পেতে বিষ হাতে সন্তানসম্ভবা নারীর অনশন

মাধবপুর প্রতিনিধিঃ দুজন ছিলেন পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। হঠাৎ একদিন মোবাইল নম্বর দেওয়া-নেওয়া হয়। এরপর মন দেওয়া-নেওয়া। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। যেই ভাবনা সেই কাজ। হবিগঞ্জ শহরের একটি কাজী অফিসে গিয়ে চার লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেন তারা।

বিয়ের পরে এখন সন্তানসম্ভবা। এরপর মেয়েটি তার সামাজিক স্বীকৃতির জন্য স্বামীকে বলেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। স্ত্রীকে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় ছেলের পরিবার। প্রথমে ছেলে তার স্ত্রীকে ঘরে তুলতে রাজি ছিলেন। এমনকি নিজের পরিবারকে রাজি করাতে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। এখন সেও পারিবারিক চাপে ও লোকমুখের কথায় স্ত্রীকে ঘরে তুলছেন না।

অবশেষে স্ত্রী বাধ্য হয়ে নিজের স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়িতে বিষহাতে অনশন শুরু করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়ের এক্তিয়ারপুর গ্রামে। অভিযুক্ত স্বামী আরব আলী ওই গ্রামের জমির আলী ছেলে। ভুক্তভোগী নারীও একই ইউনিয়নের দাশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে বিষহাতে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেন। স্ত্রীর অধিকার না পেলে ওই স্থান ত্যাগ করবেন না বলে জানান কিশোরী।

কিশোরী বলেন, আমার এবং আমার অনাগত সন্তানের স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাব না। আমার স্বামী আমাকে ঘরে তুলতে চায় কিন্তু একটি মহল আমার স্বামীকে কুপরামর্শ দিচ্ছে, আমার নামে অপবাদ রটাচ্ছে। তারা বলছে আমি না কি জোরপূর্বক স্বামীকে কাবিননামায় স্বাক্ষর করাতে বাধ্য করিয়েছি। আমার এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আমি স্বামীর ঘরে যাব, না হয় পরপারে।

স্বামী আরব আলী মুঠোফোনে বলেন, আমরা দ্রুত এ বিষয়ের সমাধান করব।

মাধবপুরের মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা পেয়ারা বেগম জানান, কাবিননামা ও যাবতীয় প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এক ধরনের অপরাধ। আমি ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছি। সার্বিক আইনি সহযোগিতার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।

মাধবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমান বলেন, থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর গঠনাস্থলে কাজ করছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আমরা সূক্ষ্ম দৃষ্টি রাখছি।এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.