ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হবিগঞ্জে ৭০টি ইটভাটা বন্ধের আশঙ্কা কর্মহীন হওয়ার শঙ্কায় ৪০ হাজার শ্রমিক Logo হবিগঞ্জে ভিপি নুরুল হক নুর আশাকরি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে Logo হবিগঞ্জের রশিদপুরে আরো ২৯ বিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা Logo শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ Logo হবিগঞ্জ-১: রেজা কিবরিয়ার যোগদানে বিএনপিতে এখন ত্রিমুখী লড়াই Logo হবিগঞ্জের নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo ড. ফরিদুর রহমান বদলি, নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে খুন : অভিযুক্ত আটক Logo ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: শায়েস্তাগঞ্জে তরুণী গ্রেপ্তার Logo ৭ই নভেম্বর ও একজন দেশ প্রেমিক জিয়াউর রহমান

গাইবান্ধায় পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ, ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানির প্রবল স্রোতে রাতে গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটাউ পজেলার অন্তত ৩০০টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির কারণে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলা ২৯টি ইউনিয়নের ৬৭ হাজার ৭২৯ পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, বাদাম ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।

ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনার চর বেষ্টিত ১৬৫টি চরের মানুষের বন্যায় বাড়িঘর ডোবার কারণে বন্যার্ত মানুষগুলো গরু, ছাগল, ভেড়া, হাস-মুরগি কোনো রকমে উঁচু বালির ঢিবিতে বসবাস করছে। সেখানে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট।

নিরাপত্তা না থাকায় নৌকা অভাবে তারা গবাদি পশুগুলো উঁচু আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারছে না। চোর-ডাকাতের ভয়ে তারা গবাদি পশুর সঙ্গে গাদাগাদি করে বসবাস করছে।

বন্যার কারণে ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪টি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শহীদুল ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল ৪টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি জেলার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার‌ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল মিয়া ভোরের আকাশকে জানান, জেলা প্রশাসন কর্তৃক ৩০৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৬৫ মেট্রিক টন জি আর চাল, ১০ লাখ টাকা জি আর ক্যাশ ৪টি উপজেলায় উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২৬৫ মেট্রিক টন জি আর চাল মজুদ রয়েছে। ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নৌকা, স্পীড বোট প্রস্তুত রয়েছে। জেলা এবং উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৮১টি।

এদিকে, পানিবন্দী পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন এনজিও। ৪ উপজেলার ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে ৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন ডাব্লিউ এফপি। বিভিন্ন এনজিও মশারি, জুতা, সাবান, তেল, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বালতিসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:১৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
১৫৩ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধায় পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ, ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

আপডেট সময় ০৮:১৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানির প্রবল স্রোতে রাতে গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটাউ পজেলার অন্তত ৩০০টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির কারণে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলা ২৯টি ইউনিয়নের ৬৭ হাজার ৭২৯ পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, বাদাম ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।

ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনার চর বেষ্টিত ১৬৫টি চরের মানুষের বন্যায় বাড়িঘর ডোবার কারণে বন্যার্ত মানুষগুলো গরু, ছাগল, ভেড়া, হাস-মুরগি কোনো রকমে উঁচু বালির ঢিবিতে বসবাস করছে। সেখানে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট।

নিরাপত্তা না থাকায় নৌকা অভাবে তারা গবাদি পশুগুলো উঁচু আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারছে না। চোর-ডাকাতের ভয়ে তারা গবাদি পশুর সঙ্গে গাদাগাদি করে বসবাস করছে।

বন্যার কারণে ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪টি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শহীদুল ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল ৪টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি জেলার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার‌ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল মিয়া ভোরের আকাশকে জানান, জেলা প্রশাসন কর্তৃক ৩০৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৬৫ মেট্রিক টন জি আর চাল, ১০ লাখ টাকা জি আর ক্যাশ ৪টি উপজেলায় উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২৬৫ মেট্রিক টন জি আর চাল মজুদ রয়েছে। ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নৌকা, স্পীড বোট প্রস্তুত রয়েছে। জেলা এবং উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৮১টি।

এদিকে, পানিবন্দী পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন এনজিও। ৪ উপজেলার ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে ৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন ডাব্লিউ এফপি। বিভিন্ন এনজিও মশারি, জুতা, সাবান, তেল, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বালতিসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন।