আগামী ৭তারিখ ঈগল প্রতীকে আমাকে ভোট দিবেন,,,স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, আমি আপনাদের সন্তান সুনামগঞ্জ ১ আসনের আমিসহ রতন ও রঞ্জিতকে একত্রে দাড় করিয়ে দেখেন,আপনারা সার্বিকভাবে চিন্তা করেন বিচার বিশ্লেষণ করেন ভেবে দেখন আমি আমি যোগ্য না অযোগ্য,কোন দিক দিয়ে আমাকে অযোগ্য মনে হলে বলেন আমার কোনো আপত্তি নাই। যদি আপনাদের বিচারে যোগ্য হই তাহলে আগামী ৭ জানুয়ারি ঈগল প্রতীকে আপনাদের সন্তান আমাকে ভোট দেবার আহবান জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ ১ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আহমেদ।

তিনি বুধবার(০২ জানুয়ারি) দিনভর তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে ও বাজারে নির্বাচনী পথ সভায় এই কথা গুলে বলেন।

যার মেধা,শিক্ষা,দক্ষতা, সততা,নিষ্টা আদর্শ দিয়ে এই অবহেলিত পিছিয়ে থাকা মানুষের জীবন জীবিকার উন্নয়নে কাজ করবে। মানুষের প্রতি যে তার প্রতিশ্রুতি রয়েছে সে লক্ষ্যেই কাজ করবে। অদক্ষ নেতৃত্ব কে সড়িয়ে দিয়ে দক্ষ,যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন।

আমি নির্বাচনে আশার পূর্বে কিন্তু চাঁদাবাজি শুরু হয়েছি। মনোনয়ন পাওয়ার পরেই অনেকে ব্যবসায়ীদের কে ফোন করে করে চাঁদার জন্য তাগিদ দেয়া হয়। তাদের কিছু সিন্ডিকেট ছিল তারা। যখন আমি নির্বাচনে আসলাম যখন শুনল প্রতিরোধ গড়ে উঠবে,যখন বুজল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে তখনেই কান্না কাটি শুরু হল। আপনারা বুজেন না এই কান্নাকাটি দেখে নির্বাচন শুষ্ট ও নিরপেক্ষ হবে না হবে না। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেলিম আহমেদ।

এসময় তিনি আরও জানান,আমাকে আটকাতে একটি অপশক্তি যারা যাদুকাটায় ড্রেজার চালায় অথবা যারা এই সিন্ডিকেট করে মানুষের অধিকার হরন করে লুটপাট করছে। তারা চাঁদ তুলে প্রটোনাইছ করছে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার চরিত হরন করার চেষ্টা করছে। আমি চেলেঞ্জ করে বলতে পারি একজন ১৫ বছর এমপি ছিলেন আরেক জন্য সিলেটে কিভাবে রাজনীতি করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন,একজন এমপি তার সামান্য তম বরাদ্দ এই এলাকার মসজিদ মাদ্রাসার জন্য বরাদ্দ দিত তাহলে এভাবে মুখ থোবড়ে পরে থাকতে হত না। মসজিদের ইমামের পিছনে মন্ত্রী এমপি রাজনীতিবিদ সবাই নামাজ পড়ি অথছ তাদের বেতন সামন্য,বাড়ি বাড়ি গিয়ে খেতে হয় আমাদের প্রকৃত নেতা এই ইমাম সাহেব গন। যদি আমি এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমাদের প্রকৃৃত নেতা মসজিদের ইমামের কেও যাতে স্কুলের শিক্ষকগনের মত বেতন প্রনশন পান তার জন্য সংসদে আমি উত্থাপন করব।

আমি ওয়াদা করে গেলাম আমি এমপি হলে আমার নির্বাচনী এলাকার কোনো মসজিদ মাদ্রাসাসহ কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মান ও পরিচালনার ক্ষেত্রে অর্থের জন্য কারো কাছে হাত পাততে হবে না।

আমি দেখেছি এলাকার নেতা নামধারীরা আপনাদের মত সহজ সরল মানুষের মাথা বিক্রি করে নিজেদের আখের গোচ্ছে। তাই আমি নেতাদের বাদ দিয়ে আমি নিজে নিজেই আপনাদের পাশে যাচ্ছি কথা বলছি আমাকে আপনাদের চেনার সুযোগ দিচ্ছি।

আমি এই অবহেলিত হাওরাঞ্চলে মানুষের পাশে সব সময় আছি এমপি পদপ্রার্থী হওয়ার আগেও ছিলাম এমপি না হলেও থাকব। আমার আয়ের একটি অংশ আমি দীর্ঘদিন ধরেই মসজিদ মাদ্রাসা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যয় করেছি আর করব। আমার কোনো পিছু টান নেই। আমি আপনাদের কথা বলতে,এলাকার সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন,শিক্ষাসহ যুব সমাজের আশা আখাংকা পুরন করতে বেকারত্ব গোছাতে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে গিয়ে বলতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে আর পিছনে থাকাতে হবে না।

নির্বাচনী পথ সভায় বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন,উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক মিয়াসহ আওয়ামিলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী,সমর্থক ও ভোটারগন উপস্থিত ছিলেন।