সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
১২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজনগরে সড়ক সংস্কারের ভিত্তিপ্রস্তর করলেন এমপি জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগ মানুষের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করেছে -এমপি আবু জাহির ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল রাজনগরে চোলাই মদসহ আটক -১ দেড়শ রানেই ভারতকে আটকাল বাংলাদেশ হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলেয়া আক্তারকে শায়েস্তাগঞ্জের বাণীর সম্মাননা প্রদান শায়েস্তাগঞ্জ নদীতে গোসল করতে নেমে ২ ভাই নিখোঁজের পর একজনের লাশ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশিক্ষন না করানো ও সম্মানহানিকর বক্তব্যের অভিযোগ

সুনামগঞ্জে ধান কাটার মেশিন প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ,সরকারের বরাদ্দকৃত কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কৃষক বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের রফিক মিয়া। সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন এক কৃষক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষক রফিক মিয়ার ভাতিজা শরিফ আহমদ বলেন,আমাদের পরিবার আর্থিকভাবে তেমন স্বাবলম্বী না হওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে আমি সরকারের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষিযান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ৭০% ভতুর্কী মূল্যে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি অফিসে একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের জন্য আবেদন করি।

আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণে রফিক মিয়ার নামে একটি হারভেস্টার মেশিন অনুমোদন হয়, এরই প্রেক্ষিতে কৃষি অফিস কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হলেও পরবর্তীতে জানতে পারি বরাদ্দকৃত কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনটি বাতিল করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে আমি বা আমার পরিবার কোন কথা না বললেও গেল বছরের ২৬ ও ২৮ নভেম্বর আমার চাচার (রফিক মিয়ার)ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (০১৭১২-৭৪০৫৮৮ নম্বর থেকে) একটি ফোন আসে। যেটি রিসিভ করেন আমার চাচী(রফিক মিয়ার স্ত্রী)। এসময় ফোনের ওপাশে থাকা ব্যক্তি আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনটি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে এবং কোথায় আছে সেটি জানতে চান।

তিনি আরও জনান,এসময় রফিক মিয়ার স্ত্রী ফোনের ওপাশে থাকা ব্যক্তিটিকে আমাদের নামে কোন হারভেস্টার মেশিন পাইনি জানালে তিনি(যিনি ফোন করেছিলেন)আমাদের জানান,২০২১-২২ অর্থ বছরে আমার নামে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ৭০% ভতুর্কী মূল্যে একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন প্রদান করা হয়েছে এবং এটি নাকি আমরা গ্রহণ করেছি বলেও জানানো হয়। এ খবর শোনার পর বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মিয়ার কাছে গেলে তিনি এটির কোন উত্তরই দিতে পারেননি।

পরে ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,কৃষি অফিস থেকেই আমার নামে একটি মেশিন বিক্রি দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্তের জন্য ইউএনও বরাবর আমরা অভিযোগ করি এবং ইউএনও এটি তদন্তের জন্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠালেও এটির কি তদন্ত হয় তা আমরা জানতে পারেনি।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগটি প্রত্যাহারের জন্য লোভ দেখান কৃষি অফিসার নয়ন মিয়া। এতে সফল না হয়ে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে একটি লেখাযুক্ত কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেন এবং কৃষক রফিক মিয়াকে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেন।

তাছাড়া রফিক মিয়ার শ্যালক শফিউল আলম বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে তদবির করলে তাকেও বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মিয়া ও প্রভাবশালী একটি মহল।

গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা কৃষি অফিসার অফিসে নিয়ে গিয়ে আমাদের একটি পুরোনো হারভেস্টার মেশিন দেখিয়ে বলেন,এটি নাকি আমাদের কিন্তু ওই ভাঙা পুরোনো মেশনটি আমরা গ্রহণ করিনি।

এ ব্যাপারে রফিক মিয়ার শ্যালক শফিউল আলম বলেন,আমি আমার দুলাভাইয়ের মেশিনটির বিষয় জানতে উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছে গেলে তিনি প্রথমে জানান, এটি বাতিল হয়ে গেছে। পরে জানতে পারি এটি নাকি আমার দুলাভাইয়ের নামেই এসেছিলো। তবে কৃষি অফিসার এটি আমাদের হস্তান্তর করেননি। আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলায় আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মিয়া বলেন,আমার উপর আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা,রফিক মিয়ার নামে বরাদ্দকৃত হারভেস্টার মেশিনটি উপজেলায় অফিসেই আছে। তারা এটি নিচ্ছেন না। এছাড়া এর বেশি কিছু আমি আপনাদের বলতে পারব না।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, আমি ছুটিতে আছি। ছুটি থেকে এসে সবকিছুর সমাধান করে দেব।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.